বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪


সন্তানকে নিরিবিলিতে পড়তে দিন। ছবি: প্রতীকী।

আজকের পর্বে সরাসরি আপনাদের সঙ্গে কথা বলব, হ্যাঁ অভিভাবকদের সঙ্গে। সন্তানদের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ বোর্ডের পরীক্ষা ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষাও সামনে। পরীক্ষার দিয়ে ফেরার পরবর্তী কথোপকথন সন্তানের মানসিক ও আবেগের স্বাস্থ্যের উপর গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলে। আবার দেখুন, কিছুদিনের মধ্যে এই পরীক্ষা ও শেষ হবে। তারপরই শুরু হবে পরবর্তী সময়ে আপনার সন্তান কী বিষয় নিয়ে পড়বে! কোন স্ট্রিমে পড়াশোনা করলে যথার্থ কর্মজীবনের স্বপ্ন দেখতে পারবে! এসব নিয়ে একটা সামগ্রিক চিন্তার পরিস্থিতি তৈরি হয় যতদিন না পর্যন্ত সন্তান পরবর্তী ধাপে কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হচ্ছে। আর এর মাঝে রইল এত দিনের পরিশ্রম আর প্রাপ্ত নম্বর নিয়ে বিভিন্ন স্তরের বোঝাপড়া। প্রতি স্তরের এই বোর্ডের পরীক্ষা যেহেতু পরবর্তী পর্যায়ের উচ্চশিক্ষাকে অনেকটা প্রভাবিত করে। স্বভাবতই এই নিয়ে দুর্ভাবনা, চিন্তা এসেই যায়। কীভাবে এই পরিস্থিতিতে সন্তানের সহযোগী হয়ে ওর জন্য, ওর মতো করে শ্রেষ্ঠ এবং সর্বোত্তম বিকল্প দিতে পারা যায়, সেই নিয়েই আজকের আলোচনা।
 

কেমন হবে অভিভাবকদের ভূমিকা?

 

পরিবারের সদস্যদের সতর্ক হতে হবে

ক্লিনিক্যাল কাজের সূত্রে দেখেছি, অনেক পড়ুয়া আমাদের কাছে এসে বলে বাড়িতে সব সময় বিভিন্ন কারণে অত্যন্ত জোরে কথা বলা হয়। হ্যাঁ, বোর্ডের পরীক্ষা দেবে এমন ছাত্রছাত্রী এসেও একথা বলেছে। অনেক সময় বাবা-মায়ের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় সামগ্রিকভাবেই বাড়ির প্রত্যেক সদস্যের মধ্যে এই উচ্চস্বরে কথা বলার প্রচলন আছে। এমত পরিস্থিতিতে পরিবারের সদস্যদের সতর্ক হতে হবে। ধরুন বাড়ির সবাইকে আপনি বুঝিয়ে উঠতে পারলেন না। অন্তত কোনও একজন অভিভাবক সন্তানের পাশে দাঁড়ান। অন্তত সমর্থন করুন যে, সন্তানের অসুবিধা হয় এবং হচ্ছে।
 

মতানৈক্যের উৎস সম্বন্ধে সজাগ ও সাময়িক বিরতি নিয়ে সিদ্ধান্ত আপনাকেই নিতে হবে

এই উদাহরণের রেস ধরেই বলছি পারিবারিক ইতিহাস থেকে জানা যায়, বিভিন্ন কারণে সদস্যদের মধ্যে হয়তো মতের অমিল প্রকট ভাবে আছে। ওই যে বলেছিলাম, কোনও একজন একটু সন্তানদের পাশে দাঁড়ান। একটু অন্তরদৃষ্টি দিয়ে বিশ্লেষণ করুন, কোন কোন বিষয়গুলোতে এই মতানৈক্য চূড়ান্ত হয়ে ওঠে। সচেতন ভাবে চেষ্টা করুন এই কদিন যথাসম্ভব সেই বিষয়গুলো এড়িয়ে চলা যায়। বাড়ির পরিবেশ যথাসম্ভব শান্ত রাখার চেষ্টা করুন।
 

নিরিবিলিতে পড়তে দিন

অনেক সময় বাচ্চারা দরজা বন্ধ করে পড়লে বাবা-মায়ের মধ্যে দুশ্চিন্তার সৃষ্টি হয়। বিভিন্ন সঙ্গত এবং অসঙ্গত কারণে। সন্তানকে বিশ্বাস করুন। ওকে নিরিবিলিতে নিজের ঘরে পড়তে দিন।

 

আপনারাও ওর এই প্রয়াসের অন্যতম সঙ্গী

আবারও সেই ক্লিনিক্যাল কাজের সূত্রই বলব— অনেক পরীক্ষার্থীর থেকে শুনেছি, ও যে ঘরে পড়ে সে ঘরেই হয়তো কোনও একটি বা দুটি প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র আছে। এবং সেই প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র উদাহরণস্বরূপ আলমারি হতে পারে। কোনও ড্রয়ার হতে পারে, যেখানে গুরুত্বপূর্ণ কাগজ, নথি জমা করা থাকে। পরিবারের বিভিন্ন মানুষকে বিভিন্ন সময় সেই ঘরে প্রবেশ করার প্রয়োজন হয়ে পড়ে। চেষ্টা করুন সচেতন ভাবে প্রতিদিনের প্রয়োজন একবারের মধ্যে সীমাবদ্ধ করা যায় কিনা। যখন আসছেন তখন কতটা শান্তভাবে ঘরে প্রবেশ করা যায়, সেটাও মাথায় রাখুন। অথবা কিছু দিনের জন্য সম্ভাব্য প্রয়োজনীয়তা বিচার করে সেই ঘর থেকে মূল্যবান নথিপত্র বা সামগ্রী সরিয়ে আনা যায় কিনা। আমাদের বুঝতে হবে, সন্তানরাও অত্যন্ত চাপের মধ্যেই আছে, আপনারাও ওদের এই প্রয়াসে অন্যতম সঙ্গী।
 

দুশ্চিন্তা ভীষণ ছোঁয়াচে

বহু ক্ষেত্রে দেখা যায় অভিভাবকরা অত্যন্ত মানসিক চাপের মধ্যে দিয়ে যান এই বোর্ডের পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে। আপনাকে আপনার মানসিক চাপ কিন্তু ব্যক্তিগতভাবে যুঝতে হবে। না হলে আপনার দুশ্চিন্তা খুব সহজেই সন্তানের মধ্যে স্থানান্তরিত হবে। দুশ্চিন্তা ভীষণ ছোঁয়াচে। অথবা কী হতে পারে? আপনি দুশ্চিন্তাবশত বিভিন্নভাবে সন্তানের প্রতি রাগ, বিরক্তি অযথা চাপ সৃষ্টি মূলক মন্তব্য করে ফেলতে পারেন। বাবা-মা হিসাবে এই দুশ্চিন্তার মূলে কিন্তু বস্তুত সন্তানের মঙ্গল থাকে। কিন্তু একটু ভেবে বলুন তো, আপনাদের এই আচরণে সেই উদ্দেশ্য সাধন কি হবে? উল্টে সন্তানের মধ্যে সৃষ্টি চাপ তার প্রস্তুতিতে, সন্তানের আবেগের স্বাস্থ্যে এবং পরবর্তী দিনের পরীক্ষাতে প্রভাব ফেলবে।

আরও পড়ুন:

সামনে পরীক্ষা? চূড়ান্ত প্রস্তুতির জন্য রইল ১০টি জরুরি পরামর্শ

গল্পকথায় ঠাকুরবাড়ি, পর্ব-৫২: বইয়ের সব কপি কবির নির্দেশে বাজার থেকে তুলে নেওয়া হয়েছিল

সোনার বাংলার চিঠি, পর্ব-১০: ‘একুশ মানে মাথা নত না করা’

 

ব্যাক্তিগত বৈবাহিক সম্পর্কে বোঝাপড়ায় অভিভাবক হিসেবে সহযোগীতা করুন

ক্লিনিক্যাল কাজের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, বাবা-মায়ের মধ্যেকার সম্পর্ক সৌহার্দ্যমূলক না থাকার কারণে অশান্তি মূলক আবহাওয়া সূত্রপাত হতে পারে। সন্তানরা বিভিন্ন সময়ে আমাদের কাছে তাদের অসহায়তা প্রকাশ করে। সতর্ক হোন এই পরীক্ষা চলাকালীন মতানৈক্য তৈরি হয় এমন বিষয়গুলো থেকে বাবা-মা দু’জনেই যাতে সাময়িক বিরতি মূলক পরিকল্পনায় থাকেন। বৈবাহিক সম্পর্ক ব্যাতি রেখে অভিভাবক হিসাবে আপনার এই মুহূর্তে করণীয় বিষয়ের উপর জোর দিন।
 

সোশ্যাল মিডিয়া, স্মার্টফোন, টিভি

আমরা সব সময় বলি, সোশ্যাল মিডিয়া ফোন, টিভি এগুলো থেকে দূরে থাকার কথা। আমার কাছে আমার অভিজ্ঞতা জানতে চাইলে কি বলব জানেন? সন্তানেরা অনেক সময় এসে বলে যে, তাদের বাবা-মায়েরা অফিস থেকে ফেরার পর সারাক্ষণ ফোন নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। আমি মানছি, হয়তো আপনাদের কাজের সঙ্গে স্মার্টফোনের সম্পর্ক এখন অনস্বীকার্য। বহু সময় বহু মিটিং, বহু কাজের কারণে স্মার্টফোনটি আপনার খুব প্রয়োজন। এই সময়টা একটু সচেতন হলে সন্তানের প্রস্তুতির জন্য আমরা এই জাতীয় আচরণ থেকে বিরত থাকতে পারি। খেয়াল রাখুন, স্মার্টফোন ব্যবহার করার জন্য বা টিভি দেখার কারণে অতিরিক্ত আওয়াজ হচ্ছে কিনা। অনেকে আবার এটাও বলেন যে, বাড়িতে হয়তো বয়স্ক ঠাকুমা-দাদু আছেন, তাঁরা টিভি দেখেন। তাঁদের সিরিয়াল আছে। এবং হয়তো ক্রমাগত ড্রয়িংরুম থেকে সেই শব্দ সারাক্ষণ বাড়ির পরিবেশে থাকছে। সবার পরিবারে থাকেই বলছি না। আমরা প্রত্যেকে অন্তত নিজের পরিবারের দিকে তাকাই। নিজেদের মূল্যায়ন করি, আমার সন্তান এই সমস্যায় জর্জরিত নয় তো!

আরও পড়ুন:

স্বাদে-আহ্লাদে: সকালে জলখাবারে থাক নতুনত্ব, বানিয়ে ফেলুন সুস্বাদু পালক পনির পরোটা

রহস্য রোমাঞ্চের আলাস্কা, পর্ব-৬: বাড়িতে ঢুকে জুতো মজা দস্তানা খুলে প্রথমেই দেখলাম ‘ফ্রস্টবাইট’ হয়ে গিয়েছে কিনা!

চেনা দেশ অচেনা পথ, পর্ব-৭: কুডার ছুঁয়ে শিরপুর

 

তুলনামূলক মন্তব্য সন্তানের আত্মবিশ্বাসে আঘাত হানে

পরীক্ষা চলাকালীন নিজের অজান্তে আমরা অনেক সময় তুলনামূলক মন্তব্য করে থাকি। ধরুন একই পরিবারে খুড়তুতো পিসতুতো মাসতুতো ভাই বোনেদেরদের সঙ্গে তুলনা করা। সমবয়সী পাড়ার কোনও বন্ধুদের সঙ্গে তুলনা করা। কিংবা আপনার অফিসের সহকর্মীদের সন্তানের সঙ্গে ওর তুলনা করা। এই তুলনামূলক মন্তব্য সন্তানের আত্মবিশ্বাসের উপর আঘাত হানে। সচেতন হন এমন কোনও মন্তব্য নিজের অজান্তে বলে ফেলছেন কিনা।
 

টেস্টের নম্বর ধরে রাখতেই হবে

অন্যের সঙ্গে নয়, অনেক সময় স্কুলের টেস্টে বা প্রি-টেস্টের নম্বরের সঙ্গে সন্তানকে ক্রমাগত সতর্কতামূলক মন্তব্য করে থাকেন অনেক বাবা-মা। প্রি-টেস্টের থেকে নম্বর কিন্তু বেশি হতে হবে। অমুক মক (Mock test) টেস্টে তুমি অনেক নম্বর পেয়েছিলে, ওটাই কিন্তু ধরে রাখতে হবে। এ জাতীয় আলোচনা অহেতুক চাপের সৃষ্টি করে।
 

‘পরীক্ষা কেমন হল’ না জিজ্ঞেস করে ‘প্রশ্নপত্র কেমন ছিল’ এমনও বলা যায়

পরীক্ষা দিয়ে যখন ফিরছে, তখন সন্তানকে একটু বন্ধুত্বপূর্ণ সহায়ক পরিবেশ দিন। ‘কিরে পরীক্ষা কেমন হল’ না জিজ্ঞেসা করে, ‘প্রশ্নপত্র কেমন ছিল’ এটাও জিজ্ঞাসা করা যায়। পরীক্ষার হল থেকে বেরোনার পরে সঙ্গে সঙ্গেই পরীক্ষা কেমন হয়েছে জিজ্ঞাসা না করে, কিছুটা সময় ওকে দিন।

আরও পড়ুন:

দশভুজা: তিনিই সারস্বত সাধনার প্রতিরূপা সত্যিকারের দশভুজা

উত্তম কথাচিত্র, পর্ব-২৪: মন তোর শক্তিই ‘মন্ত্রশক্তি’

অবাধ অ্যান্টিবায়োটিক ডেকে আনছে বড় বিপদ, সতর্ক হন এখনই

 

সন্তানের প্রতি আপনার ভালোবাসা পরীক্ষার নম্বরের উপর নির্ভর করে না, সেটা জানান দিন

যেমন বলেছিলাম, আপনার দুশ্চিন্তা ওর মধ্যে স্থানান্তরিত হতে পারে। ঠিক তেমনি আপনার মুখের কথায় ‘তুমি পারবে’ ওর মধ্যেও আত্মবিশ্বাসের সঞ্চার করতে পারে। কোনও একটি পরীক্ষা খারাপ হলে বা মনের মতো না হলে আপনি নিজে আগে নিজেকে সামলে নিন। সম্ভব হলে আপনার সঙ্গীর থেকে সহযোগিতা চেয়ে নিন। তারপর সন্তানের পাশে দাঁড়ান। প্রাথমিকভাবে ওর আবেগের বহিঃপ্রকাশ হতে সাহায্য করুন। তারপর যত্নশীল ভাবে আগামী পরীক্ষার জন্য উৎসাহ দিন। দৃঢ়তার সঙ্গে বলুন জীবনে পরীক্ষা অনেক রকম খারাপ-ভালো ফল নিয়ে আসে। শুধুমাত্র আগের দিনের পরীক্ষার কথা ভাবলে সামনের দিনের পরীক্ষায় তার প্রভাব পড়বে। দৃঢ়তার সঙ্গে ওকে জানান ওর প্রতি আপনার ভালোবাসা পরীক্ষার নম্বরের উপর নির্ভরশীল নয়। যেটা বলতে চাইছি পরীক্ষা নিয়ে আপনার মনোভাব, পরীক্ষা নিয়ে আপনার অবস্থান অত্যন্ত জরুরি ওর নিজের আত্মবিশ্বাস দৃঢ় রাখার জন্য।

 

খাওয়াদাওয়া নিয়ে ওকে ওর মতো করে বোঝান

ও হ্যাঁ, একটা গুরুত্বপূর্ণ কথা তো বলতেই ভুলে গিয়েছিলাম। এটাও সেই ক্লিনিক্যাল কাজের অভিজ্ঞতা থেকেই বলছি। পড়ুয়ারা এসে বলে, বাবা-মায়েরা পরীক্ষার সময় খুব জোর করেন খাবার খেতে। উল্টোদিকে এটাও সত্য, অনেক পরীক্ষার্থীই ভয়ে কিচ্ছু খেতে চায় না। দুটোই চূড়ান্ত একটা অবস্থান। এক্ষেত্রে ওর সঙ্গে কথা বলুন। ওকে ওর মতো করে একটু বোঝান। গাড়ির যেরকম পেট্রোল দরকার, ওর তেমনি খাবার দরকার। এ বার পরিমাণের উপর আর জোর জবরদস্তি করবেন না। ওকে এই অপশনটাও দিন যে, চাইলে অল্প অল্প করে এবং অনেকবার খেতে পারে। অনেক সময় বাড়িতে যিনি খাবার রান্নাবান্নার দায়িত্বে (গার্হস্থ কাজে সাহায্যকারী) আছেন কর্মরত বাবা-মার থেকে নির্দেশের কারণে হতে পারে বা সম্পূর্ণ বুঝতে না পারার জন্যও হতে পারে খাবার ব্যাপারে ভীষণ জোর করেন। এ বিষয়ে একটু সতর্ক হোন। আপনার সন্তান এমন পরিস্থিতির শিকার হচ্ছে কিনা।

আরও পড়ুন:

হেলদি ডায়েট: ডার্ক চকোলেট হার্টের অসুখ-সহ নানা রোগের দাওয়াই, কতটা খাবেন, কেন?

এগুলো কিন্তু ঠিক নয়. পর্ব-৭: যত কাশি, তত কাফ সিরাপ?

যোগা-প্রাণায়াম: পিসিওডি এবং পিসিওএস-এর সমস্যা? চিন্তা নেই যোগায় আছে সমাধান

 

আপনার অভিজ্ঞতা সন্তানের আত্মবিশ্বাসের সঞ্চার করবে

ওর আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে আনার জন্য আপনার অভিজ্ঞতাও কিন্তু ভীষণ মূল্যবান। সন্তানের সঙ্গে ভাগ করে নিন আপনার কর্মজীবনের অভিজ্ঞতা। নম্বর জরুরি। কিন্তু তা যে সফলতার একমাত্র নির্ধারক নয়, সেটাও ওকে দু-এক কথায় বোঝান। ওর সামনে সেই মনোভাব এবং এমন কিছু উদাহরণ রাখুন। ভালো করে মন দিয়ে পড়াশোনা করে নিজের সর্বোত্তম ক্ষমতা আরোহণের চেষ্টা করা যে ওর দায়িত্বের মধ্যে পড়ে সেটা যেমন বোঝাবেন, তেমন জীবন যে নম্বরে থেকেও অনেক বড়, জীবন পরীক্ষার থেকেও অনেক বড়—সেই পাঠও কিন্তু আপনারাই দেবেন। আগামী দিনের ভবিষ্যতে চড়াই-উতরাইয়ে এই পাঠ কিন্তু ওকে দৃঢ়তার সঙ্গে এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে।

আমার এই কলামের সমস্ত পাঠক ,বাবা-মায়ে দের উদ্দেশ্যে বলি— অভিভাবকত্ব একটি স্কিল। কোনও ভাবে সমস্যা তৈরি হলে, আমরা তা বদলানোর প্রয়াস করতে পারি। এবং সন্তান সঙ্গে বাবা-মায়ের কথোপকথনেরও ইতিবাচক পরিবর্তন আনা সম্ভব। আপনারাও আপনাদের জীবনে, কর্মজীবনে, সম্পর্কের আঙিনায় অনেক রকম পরিস্থিতির মধ্যে পড়েন।
সেই সব কিছু মাথায় রেখে আজকের কলমে কিছু গুরুতপূর্ণ দিক তুলে ধরার চেষ্টা করলাম। মূলত এই বোর্ডের পরীক্ষা কে কেন্দ্র করে।

ভবিষ্যতে অভিভাবকত্ব নিয়ে আরও অনেক লেখা আমার পরিকল্পনায় আছে। আপনার যদি কোনও প্রশ্ন থাকে এবং সে বিষয়ে পরামর্শ চাই, তাহলে নিচে দেওয়া ইমেইল-এ ‘ভিতরে বাহিরে অন্তরে অন্তরে’ বিভাগে প্রশ্ন পাঠাতে পারেন। এই বিভাগে আমি সেই প্রশ্নের বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করব। তাই আপনি নির্দ্বিধায় আপনার প্রশ্ন আমাদের ইমেইল করুন, আমাকে জানান।

প্রশ্ন পাঠাবার জন্য ইমেইল: samayupdates.mentalhealth@gmail.com

* ভিতর বাহিরে অন্তরে অন্তরে (Menthal health and awareness) : লেখিকা সাহেলী গঙ্গোপাধ্যায় কনসালট্যান্ট ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট, আমরি হাসপাতাল, কলকাতা।

Skip to content