এবার সুজিতের পরিবার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ দায়ের করল বেনিয়াপুকুর থানায়। পরিবারের অভিযোগ, সুজিত সুস্থ হয়ে যাওয়ায় আজ শনিবারই তাঁর বাড়ি ফেরার কথা ছিল। তা হলে এমন ঘটনা ঘটল কী করে? প্রশ্ন পরিবারের। ঘটনাস্থল থেকে শনিবারই ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা নমুনা সংগ্রহ করেছেন। এনআরএস হাসপাতালে সুজিতের মৃতদেহ নিয়ে যাওয়া হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য। সুজিতের এক আত্মীয়ের প্রশ্ন, সুজিতকে বাঁচানোর জন্য কি নীচে কোনও জাল পাতা যেত না? যদিও সুজিত কার্নিশের এমন জায়গায় ছিলেন সেখানে জাল পাতা সম্ভব ছিল না বলে বক্তব্য উদ্ধারকারী দলের। এই প্রশ্নও উঠতে শুরু করেছে যে, এইচডিইউয়ের মতো জায়গা থেকে রোগী কার্নিশে গেলেন কী ভাবে? হাসপাতালের বক্তব্য, এইচডিইউ-তে সব সময় নার্স থাকেন না। তবুও সুজিত জানালার দিকে যাওয়ার সময় তাঁকে নার্স আটকানোর চেষ্টা করলে সেই নার্সকে সুজিত কামড়ে দেওয়ার ভয় দেখান। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের মতে, ওই যুবক সম্ভবত ‘বেড কি’ দিয়ে জানালার ল্যাচের স্ক্রু কেটে কার্নিশে চলে যান। প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, এক জন অসুস্থ ব্যক্তি ‘বেড কি’ ব্যবহার করে জানালা কেটে ফেললেন, আর তা কেউই জানতে পেলেন না, এটা কী করে সম্ভব।