বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর, ২০২৪


ছবি:প্রতীকী।

প্যাচপ্যাচে গরমের মধ্যে ফের বঙ্গবাসীকে বাধ্যতামূলক ভাবে মাস্ক ব্যবহার করতে হতে পারে। সম্প্রতি রাজ্যে নতুন করে করোনা সংক্রমণ বাড়ায় এমনই রাজ্য সরকার সিদ্ধান্ত নিতে পারে। তবে ঠিক কী কী নিয়ম মানতে হবে মঙ্গলবার সরকার সে বিষয়ে নির্দেশিকা জারি করতে পারে।
নবান্ন সূত্রে খবর, সোমবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠক হয়। সেখানে বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উপস্থিতিতে রাজ্যের সাম্প্রতিক করোনা পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। ওই বৈঠকে কেউ কেউ রাজ্যে করোনার সংক্রমণ ফিরে আসা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
আরও পড়ুন:

বৃহস্পতিবার বিরল ‘হাইব্রিড’ সূর্যগ্রহণ! মহাজাগতিক সেই দৃশ্য কখন, কী ভাবে দেখবেন?

অসহনীয় গরম কমবে রাজ্যে, কবে থেকে পারদপতন? স্বস্তির বার্তা হাওয়া দফতরের

বাংলায় এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে ১০০-র গণ্ডি পেরিয়েছিল সংক্রামিতের সংখ্যা। কলকাতায় দ্বিতীয় সপ্তহে এক করোনা আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে। চলতি বছরে রাজ্যে গত ২৫ মার্চ প্রথম কোভিডে মৃত্যু হয়েছিল। আবার কলকাতায় ১৩ এপ্রিল এক করোনা আক্রান্ত বৃদ্ধের মৃত্যুর হয়েছে বলে খবর পাওয়া যায়।

সারা দেশের বিভিন্ন জায়গায় করোনা সংক্রমণ বেড়েছে। তথ্য বলছে, পরিস্থিতি উদ্বেগজনক না হলেও আগাম সতর্কতার প্রয়োজন। এপ্রিলের দ্বিতীয় সপ্তাহে এক দিনে করোনা আক্রান্ত ১১ জনের মৃত্যু হয়। গত ১৩ এপ্রিল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডবিয়া জানিয়েছেন, আগামী আট থেকে দশ দিন সংক্রমণ ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাবে। তার পরে আবার সংক্রমণ কমতে শুরু করবে।
আরও পড়ুন:

যৌনমিলনে আকর্ষণ কমছে? কী করলে মিলবে সমাধান

স্বাদে-গন্ধে: সামনেই জন্মদিন? বিশেষ দিনের ভূরিভোজে বানিয়ে ফেলুন কাশ্মীরি পদ মটন রোগান জোস!

এ রকম পরিস্থিতিতে বাংলাতেও করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি নিয়ে উদ্বেগ বেড়েছে। এখন রাজ্যে মোট করোনা সংক্রমিত ৬৪১ জন। রবিবার ৫০০ এর গণ্ডি পেরিয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৯০ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য আগাম সতর্কতা নিতে চায়। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার হওয়া রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে শীঘ্রই রাজ্যে করোনাকালের নিয়ম কানুন ধীরে ধীরে কার্যকর করা হবে। এ ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারি দফতর দিয়েই কাজ শুরু করার পরিকল্পনা নিয়েছে। সরকারি দফতরে সঠিক ভাবে স্যানিটাইজের সঙ্গে সঙ্গে কর্মীরাও যাতে মাস্ক ব্যবহার করেন, সে বিষয়ে জোর দেওয়া হবে।

পাশাপাশি গুরুত্ব দেওয়া হবে থার্মাল গান এবং স্যানিটাইজার ব্যবহারেও। গরমের ছুটি শেষ হলে স্কুলেও একই নিয়ম প্রয়োগ করা যায় কি না, সে বিষয়েও ভাবনা চিন্তা করছে রাজ্য সরকার। এখন পুরসভাগুলিকে তাদের এলাকা পরিষ্কার রাখার নির্দেশ দেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে। তবে আমজনতার জন্য কী কী নিয়ম কার্যকর হবে, তা নিয়ে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি।

Skip to content