শনিবার ২৩ নভেম্বর, ২০২৪


অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তিলজলায়। সাত বছরের শিশু মৃত্যুর জেরে বিক্ষোভকারীরা ভাঙচুরের পরে আগুন ধরিয়ে দেয় পুলিশের গাড়িতে। দাউ দাউ করে জ্বলে ওঠে পুলিশের গাড়ি। সেই সঙ্গে আগুন নেভাতে আসা দমকলের গাড়িতেও শুরু হয় ইটবৃষ্টি। পরিস্থিতি মোকাবিলায় তৎপর পুলিশ। শুরু হয়েছে লাঠিচার্জ এবং ব্যাপক ধরপাকড়। ঘটনাস্থলে উপস্থিত রয়েছেন পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরাও। প্রচুর পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। কাঁদানে গ্যাস এবং লাঠি হাতে র্যা ফ রাস্তায় নেমেছে।
তিলজলার স্থানীয়রা রাস্তার এবং রেল অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছেন। এর জেরে শিয়ালদহের দক্ষিণ শাখার রেল চলাচল বন্ধ হয়ে গিয়েছে। অবরোধের জন্য ২০টি রেল দাঁড়িয়ে রয়েছে। চরম দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীদের।

ইতিমধ্যেই পুলিশ তিলজলায় শিশুকে যৌন নির্যাতনের পর খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত অলোক কুমারকে গ্রেফতার করেছে। অভিযোগ, তান্ত্রিকের কথা শুনে সন্তান লাভের আশায় ওই শিশুকে খুন করেছেন নিঃসন্তান আলোক। সূত্রের খবর, পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত এই কথা জানিয়েছেন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কলকাতা পুলিশের একটি দলকে ওই তান্ত্রিককে ধরার জন্য বিহারে পাঠানো হতে পারে।
আরও পড়ুন:

করদাতাদের জন্য নতুন অ্যাপ আনল আয়কর বিভাগ, সহজেই দেওয়া যাবে আয়কর রিটার্ন

দুধ না মধু? চ্যবনপ্রাশের সঙ্গে কী খেলে বেশি উপকার মিলবে

ইতিমধ্যেই পুলিশ তিলজলায় শিশুকে যৌন নির্যাতনের পর খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত অলোক কুমারকে গ্রেফতার করেছে। অভিযোগ, তান্ত্রিকের কথা শুনে সন্তান লাভের আশায় ওই শিশুকে খুন করেছেন নিঃসন্তান আলোক। সূত্রের খবর, পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত এই কথা জানিয়েছেন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কলকাতা পুলিশের একটি দলকে ওই তান্ত্রিককে ধরার জন্য বিহারে পাঠানো হতে পারে।
আরও পড়ুন:

পঞ্চমে মেলোডি, পর্ব-৪: পঞ্চমকে সিনেমা হলে বসিয়েই বেরিয়ে যান রীতা

রাতেরবেলায় কাজ শুরু হয়? কী ভাবে খাওয়া-দাওয়া করলে শরীর সুস্থ থাকবে

প্রাথমিক ভাবে পুলিশ মনে করছে, স্ক্রু ড্রাইভার জাতীয় কিছু দিয়ে মৃত শিশুকে মাথায় আঘাত করে খুন করা হয়। তা পরে হাত পা বেঁধে শিশুকে বস্তার ভিতর ফেলে রাখা হয়েছিল। মৃত শিশুর পরিবার জানিয়েছেন, রবিবার সকালে ফ্ল্যাটের নীচে আবর্জনা ফেলার জন্য শিশুটিকে পাঠানো হয়েছিল। তার পর সে আর ফেরেনি। মনে করা হচ্ছে, দোতলার ফ্ল্যাটের বাসিন্দা অলোক শিশুটি উপরে ওঠার আগেই তাকে ঘরে টেনে নেন। তার পরই চলে নির্যাতন।

তিলজলার স্থানীয় বাসিন্দারা এই ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার সকালে বন্ডেলে রাস্তা আটকে বিক্ষোভ দেখান। বিক্ষোভকারীরা পিকনিক গার্ডেন-হাওড়া রুটের একটি বাসের ছাদে চেপে পড়েন। অনেকেই রাস্তায় বসে পড়ে প্রতিবাদে শামিল হন। অনেকেই রাস্তাতেও বসে পড়েন। বিক্ষোভকারীদের দাবি, অভিযুক্তরা যত ক্ষণ না শাস্তি পাবে, তত ক্ষণ তাঁরা প্রতিবাদ করতে থাকবেন। স্থানীয়রা রবিবার রাতেও তিলজলা থানায় বিক্ষোভ দেখান। উত্তেজিত জনতা রবিবার রাতে তিলজলা থানা লক্ষ্য করে পাটকেলও ছোড়ে। এলাকা খালি করার জন্য পুলিশ লাঠি নিয়ে বেরোলে পরিস্থিতি আরও অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। তখনই তিন স্থানীয়কে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন।

Skip to content