শনিবার ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫


শুনানি চলাকালীন কেঁদে ফেললেন জেলবন্দি রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। স্কুল সার্ভিস কমিশনের ‘নিয়োগ-দুর্নীতি’ মামলার শুনানির সময় আদালতে কাঁদতে কাঁদতে পার্থ বলেন, ‘‘আমাকে জামিন দিন, বাঁচতে দিন।’’ ইতিমধ্যে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ১৪ দিনের জেল হেফাজত শেষ হয়েছে। তাঁকে বুধবার ভার্চুয়াল মাধ্যমে আদালতে পেশ করা হয়। পার্থের ‘ঘনিষ্ঠ’ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কেও আজ ভার্চুয়ালি আদালতে হাজির করানো হয়। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবী তাঁর জামিনের আবেদন করেন। শুনানির সময় জামিন কথা উঠতেই পার্থ কান্নায় ভেঙে পড়েন। উল্লেখ্য, স্কুল সার্ভিস কমিশনের ‘নিয়োগ-দুর্নীতি’ মামলা পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গত ২৩ জুলাই গ্রেফতার করা হয়। মোট তিন দফায় ইডি হেফাজতে থাকার পর তাঁর বর্তমানে ঠিকানা প্রেসিডেন্সি জেল।
আরও পড়ুন:

বুধবার থেকে হাওড়া-বর্ধমান মেন শাখায় কাজ শুরু, শুক্রবার পর্যন্ত ৫৪টি এক্সপ্রেস ট্রেন বাতিল

ট্রেনে যন্ত্রণায় ছটফট করছেন অন্তঃসত্ত্বা মহিলা, দুরন্ত এক্সপ্রেসে সন্তান প্রসব করালেন ডাক্তারি পড়ুয়া

শুনানির সময় বিচারক বিদ্যুৎকুমার রায় বলেন, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কিছু বলার থাকলে বলতে পারেন। এর পর বিচারকের উদ্দেশে পার্থ নিজের রাজনৈতিক জীবন নানান দিক তুলে ধরেন। বাম আমলে তিনি যে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা সেই প্রসঙ্গেও তাঁকে বলতে শোনা যায়। আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বিচারককে জানিয়েছেন, তাঁকে একাধিক ওষুধ খেতে হয়। নিয়মিত চিকিৎসার প্রয়োজন। বাড়িতে একটানা ৩০ ঘণ্টা তল্লাশি অভিযান চালিয়েও তদন্তকারীরা কোনও কিছুই পাননি। এর পরেও জামিন পাচ্ছেন না কেন, তিনি জানতে চান। তাঁর এও বক্তব্য, জেলবন্দি অবস্থায় চিকিৎসা পেলেও, বিচার পাচ্ছেন না। স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য যে ভাবে জোকার ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, তা বলতে গিয়ে তিনি কেঁদে ফেলেন। উল্লেখ্য, এবারও পার্থ-অর্পিতার জেল হেফাজতের আবেদন করেছে ইডি। বিচারপতি পার্থর আরজিতে সায় দেন কিনা সেটাই এখন দেখার।
এদিকে, অর্পিতা মুখোপাধ্যায় আদালতে স্পষ্ট জানান, তাঁর ফ্ল্যাটে টাকা কীভাবে কোথা থেকে এল, তিনি জানেন না। তিনি বলেন, “আমি জানি না, কী করে এমন হল?” বিচারপতি তাঁকে প্রশ্ন করেন, “আপনার বাড়িতে কী হয়েছিল?” অর্পিতা জানান, “ইডি হানা দেওয়ার পর ৬ থেকে ৮ ঘণ্টা আমি কোথাও বেরতে পারিনি। ৪ ঘণ্টা বাথরুমে ছিলাম। কিছু সময় ছিলাম বেডরুমে। তাই এই পরিমাণ নগদ টাকা কী ভাবে এল জানি না।” অর্পিতার এই দাবিতে বিস্ময় হন বিচারপতি। তিনি বলেন, “আপনার ফ্ল্যাট, কিন্তু আপনিই জানেন নয়া সেখানে টাকা কীভাবে এল?” অর্পিতার বক্তব্য, আমার দু’টি এন্টারটেইনমেন্টের সংস্থা থেকেই আমার আয় হয়।” তবে অর্পিতার আইনজীবী এদিন তাঁর জামিনের আর্জি জানাননি।

Skip to content