মঙ্গলবার ৯ জুলাই, ২০২৪


বুধবার দুর্ঘটনার জেরে শিয়ালদহ থেকে অনেক ট্রেন গন্তব্যের আগেই আটকে পড়েছে। অন্যদিকে, শিয়ালদহ স্টেশনে ঢোকার মুখেও বেশ কিছু ট্রেন আটকে রয়েছে। দুর্ঘটনার জেরে এখনও পর্যন্ত মোট ১৮টি লোকাল ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। রেলের অ্যাপ থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, শিয়ালদহ শাখার একাধিক রুটের বেশ কিছু ট্রেন প্রায় সোয়া এক ঘণ্টা থেকে দেড় ঘণ্টা পর্যন্তও দেরিতে চলছে। এর জেরে হাজার হাজার যাত্রী ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। যাত্রীরা শিয়ালদহে প্রবেশ বা শিয়ালদহ থেকে বেরতে পারছেন না। শিয়ালদহে ঢুকতে না পারার জন্য দমদমেও বেশ কিছু ট্রেন আটকে পড়েছে।
রেল সূত্রে খবর, দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রেন দু’টিকে এখনও লাইন থেকে সরানোই যায়নি। ফলে একাধিক ট্রেন শিয়ালদহে ঢুকতে বা শিয়ালদহ থেকে বেরতে পারছে না। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, শিয়ালদহ স্টেশনে ঢুকতে না পারার জন্য একের পর এক ট্রেন দাঁড়িয়ে পড়েছে দমদমে। পাশাপাশি দুর্ঘটনার জেরে শিয়ালদহ শাখার অনেক স্টেশনে ট্রেন দাঁড়িয়ে আছে। যদিও রেল জানিয়েছে, লাইন মেরামতির কাজ দ্রুত গতিতে চলছে। শীঘ্রই সেই কাজ শেষও হয়ে যাবে। তার পর রেলের পরিষেবা স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
ক্রমশ শিয়ালদহগামী একাধিক রেল স্টেশনে যাত্রীদের ভিড় বাড়তে শুরু করেছে। তাঁরা এখন রেল পরিষেবা হওয়ার অপেক্ষা করছেন। এদিকে, যাঁরা মাঝ পথে আটকে পড়েছেন তাঁদের মধ্যে অনেককেই রেললাইন ধরে শিয়ালদহের দিকে হাঁটতে শুরু করতে দেখা গিয়েছে।
ধাক্কা লাগল দু’টি ট্রেনের। বুধবার সকালে দুর্ঘটনাটি ঘটে শিয়ালদহ কারশেডের কাচাকাছি। দু’টি ট্রেনের মধ্যে একটি ফাঁকা ছিল। তবে অন্যটি ট্রেনটি দুর্ঘটনার সময় যাত্রীবোঝাই ছিল। প্রবল জরে ধাক্কা লাগলে বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটতেও পারত বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন:
ঘটনাটি ঘটে বুধবার দুপুর ১২টা নাগাদ। রেল সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী, শিয়ালদহের ৬ নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে যখন একটি খালি ট্রেন কারশেডের দিকে যাচ্ছিল তখন সে সময়ই ৩ নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে আপ রানাঘাট লোকালও বেরোচ্ছিল। শিয়ালদহ ডিআরএম অফিস ছেড়ে কিছুটা এগিয়েই খালি ট্রেনটি আচমকা রানাঘাট লোকালকে পাশাপাশি ধাক্কা মারে। যদিও সেই ধাক্কা তীব্র ছিল না বলে দাবি রেলের। রেল জানিয়েছে, এই ঘটনায় কেউ আহত হননি। ট্রেনেরও খুব একটা ক্ষতি হয়নি। এই ঘটনায় কোনও যাত্রী পড়েও যাননি।
আরও পড়ুন:

মহাভারতের আখ্যানমালা, পর্ব-৪৪: বনের পথে গল্প রাশি রাশি— যাত্রাপথ যত এগোয় তত অভিজ্ঞতার ঝুলি ভরে ওঠে পাণ্ডবদের

বিয়েবাড়ি হোক বা পিকনিক, ভরপেট খেয়েও রোগা থাকতে মানে চলুন এই সব নিয়ম

যদিও দেখা গিয়েছে, কারশেডগামী ট্রেনটির চাকা খুলে গিয়েছে। রানাঘাটগামী ট্রেনের কেবিনের দরজার ক্ষতি হয়েছে। রেললাইনেরও ক্ষতি হয়েছে। রেল তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, এই দুর্ঘটনায় কোনও ‘হিউম্যান এরর’ হয়ে থাকলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে খুঁজে শাস্তি দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন:

গল্পকথায় ঠাকুরবাড়ি, পর্ব-৪১: ঠাকুরবাড়িতে এসে সাহেব খেতেন ভাজা চিঁড়ের সঙ্গে কড়াইশুঁটি

ফেসবুক প্রোফাইলে ১ ডিসেম্বর থেকে ব্যবহারকারীদের এই তিনটি তথ্য দেখা যাবে না, কী কী জানেন?

রেল প্রাথমিক ভাবে মনে করছে, দুর্ঘটনাটি সিগন্যালের সমস্যা থেকেও হতে পারে। অনুমান করা হচ্ছে, এমনও হতে পারে ট্রেনের কোনও এক জন চালক সিগন্যাল দেখতে ভুল করেছেন। তবে রেল ‘হিউম্যান এরর’-এর সম্ভাবনাকেও একবারে উড়িয়ে দিচ্ছে না।
পূর্ব রেলের মুখ্য জন সংযোগ আধিকারিক একলব্য চক্রবর্তী জানান, “এই রেল দুর্ঘটনায় বিশেষ কোনও ক্ষতি হয়নি। কেউ আহতও হননি। ক্ষতি হয়নি রেকেরও। তবে ঠিক কী কারণে এই দুর্ঘটনাটি ঘটল তা তদন্ত করে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”

Skip to content