শুক্রবার ৫ জুলাই, ২০২৪


ছবি: প্রতীকী।

শীত বিদায় নিলেও দেশের কোনও কোনও জায়গায় এখনও হালকা শীতের আমেজ রয়েছে। কেউ কেউ আবার পাখা চালাতে শুরু করেছেন। অনেকে এসি চালাচ্ছেন। এদিকে, মৌসম ভবন মার্চের শুরু থেকেই ‘এল নিনো’র পূর্বাভাস শুনিয়েছে। হাওয়া দফতর জানিয়েছে, গ্রীষ্মকাল শুরু হলেই দেশ ‘এল নিনো’র প্রভাবে ভুগবে। আবহবিদেরা মনে করছেন এ বছর তাপমাত্রার পারদ স্বাভাবিকের থেকে বেশি থাকবে। এমনকি, তীব্র তাপপ্রবাহের আশঙ্কাও রয়েছে।
পরিবেশ বিজ্ঞানীরা আগেই ‘এল নিনো’র প্রভাব নিয়ে সতর্ক করেছিলেন। পরিবেশ বিজ্ঞানীদের পূর্বাভাস ছিল, এ বছর তাপমাত্রার পারদ রেকর্ড হারে বাড়বে। তাঁদের সেই আশঙ্কাই এ বার সত্যি হতে চলেছে। ‘এল নিনো’র প্রভাবদক্ষিণ ভারতেই সবচেয়ে বেশি পড়বে। এমনটাই আবহবিদদের বক্তব্য। তীব্র তাপপ্রবাহের দাপট থাকবে অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলঙ্গানা এবং কর্নাটকের কিছু জেলায়। তবে ভুগবে ওড়িশা এবং মহারাষ্ট্রও। এপ্রিল মাসেই কোনও কোনও জায়গার তাপমাত্রার পারদ ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়াবে যাবে। এমনটাই বলেও আশঙ্কা করছেন পরিবেশ বিজ্ঞানীরা।
আরও পড়ুন:

ছবিতে আর শুধু ‘আইটেম ডান্স’ ভালো লাগছে না! পরিচালকদের কাছে কী আর্জি জানালেন নোরা

হৃদ্‌রোগের আশঙ্কা বাড়ায় কোলেস্টেরল, হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমাতে কোন ফল খাবেন?

মৌসম ভবনের রিপোর্ট বলছে, ভারতের বেশির ভাগ অংশে মার্চ মাস থেকে মে মাস পর্যন্ত তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে বেশি থাকবে। অন্যদিকে, মার্চ মাসে মধ্য ও উত্তর ভারতের কিছু জায়গায় তাপপ্রবাহ শুরু হতে পারে। আবার এই মার্চ মাসেই স্বাভাবিকের থেকে বেশি বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। যদিও সর্বনিম্ন এবং সর্বোচ্চ তাপমাত্রার পারদও বেশি থাকবে। উল্লেখ্য, ২০১৬ সাল ছিল বিশ্বের উষ্ণতম বছর। সে বার ভারতেও ‘এল নিনো’র প্রভাব পড়েছিল। ‘এল নিনো’ ২০২৩ সালেও দাপট দেখিয়েছে। এ বার ২০২৪ সাল নাকি গরমের সব রেকর্ড ভেঙে দিতে পারে।
আরও পড়ুন:

আলোকের ঝর্ণাধারায়, পর্ব-৩৫: মা সারদার ভ্রাতৃবিয়োগ

গল্পকথায় ঠাকুরবাড়ি, পর্ব-৮১: কবির ‘গানের ভাণ্ডারী’ দিনেন্দ্রনাথ বৈষয়িক-কারণে শান্তিনিকেতন ত্যাগ করেছিলেন

মৌসম ভবনের ডিরেক্টর জেনারেল মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্রের কথায়, ‘‘মার্চ থেকে মে মাস পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গেও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পারদ স্বাভাবিকের থেকে বেশি থাকতে পারে। সেই সঙ্গে রাতের দিকে বাড়বে গরম।’’ গত বছরও দেশে ‘এল নিনো’র ভয়ঙ্কর প্রভাব পড়েছিল। আবহবিদদের একাংশের আশঙ্কা, গত বছরের তুলনায় এ বছর তাপমাত্রার পারদ আরও বৃদ্ধি পাবে। আবহবিদরা মনে করা হচ্ছে, চলতি বছর গরমের সব রেকর্ড ভেঙে দিতে পারে।
আরও পড়ুন:

পর্দার আড়ালে, পর্ব-৪৯: শ্রদ্ধাঞ্জলি— প্রযোজক-গায়িকা অসীমা মুখোপাধ্যায়, অভিনেত্রী অঞ্জনা ভৌমিক ও গীতিকার মিল্টু ঘোষ

ডায়েট টিপস, ১০ খাবার: নিয়মিত খাওয়ালে শিশুর বুদ্ধির বিকাশ হবে দ্রুত

দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশের পশ্চিম উপকূলের কাছাকাছি রয়েছে পেরু ও ইকুয়েডর। পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরের দুই দেশ পেরু ও ইকুয়েডর উপকূলে কোনও কোনও বছর ডিসেম্বর মাস নাগাদ এক ধরনের দক্ষিণমুখী উষ্ণ স্রোত সৃষ্টি হয়। একেই ‘এল নিনো’ বলা হয়। আবার এই পেরু, ইকুয়েডর উপকূলেই কখনও কখনও এল নিনোর বিপরীত শীতল স্রোতের সৃষ্টি হয়। একে বলা হয় ‘লা নিনা’। বিশ্বের আবহাওয়ায় ‘এল নিনো এবং ‘লা নিনা’ এই দুই স্রোতেরই ব্যাপক প্রভাব পড়ে।

Skip to content