মঙ্গলবার ৯ জুলাই, ২০২৪


পার্থের ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের নামে ডায়মন্ড সিটি আবাসনে তিনটি ফ্ল্যাট রয়েছে। ২ নম্বর টাওয়ারে একটি ফ্ল্যাটের নম্বর ১এ। এ ছাড়াও রয়েছে ১৮ডি এবং ১৮ই ফ্ল্যাট দু’টি। শেষের দু’টি ফ্ল্যাট একসঙ্গে জুড়ে রাখা হতো পোষ্য। ১৮ডি এবং ১৮ই ফ্ল্যাট দু’টিতে মোট আটটি কুকুর রয়েছে। তার মধ্যে দু’টি ল্যাব্রাডর, একটি করে পাগ, ফ্রেঞ্চ বুলডগ, ইংলিশ বুলডগ, রটওয়াইলার, গোল্ডেন রিট্রিভার এবং বিগল। ফ্ল্যাট এবং ফ্ল্যাটের ছাদ মিলিয়ে তাদের রাজত্ব।
ফ্ল্যাটে উপস্থিত এক ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে পুলিশ জানতে পারে, কুকুরগুলিকে দেখাশোনা করার জন্য সর্বক্ষণের এক ব্যক্তি রয়েছেন। এ ছাড়াও কুকুরগুলিকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য দু’জন আসতেন। কিন্তু পার্থ গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে প্রথম দু’দিন তাঁদের দেখা মেলেনি। পরে তাঁরা নিজেরাই আবার ফিরে আসেন। পোষ্যদের দেখাশোনার দায়িত্বে থাকা ব্যক্তি পুলিশকে জানিয়েছেন, দুই প্রশিক্ষক প্রথমটায় ভয়ে না আসার কথা জানালেও পরে প্রাণীগুলোর কী অবস্থা হবে ভেবে আসতে শুরু করেছেন। কুকুরগুলির জন্য এই দু’দিন বাইরে থেকে খাবার আসত ওই ফ্ল্যাটে। এখন থেকে তাদের খাওয়ানোর দায়িত্ব পার্থের এক আত্মীয় নিজেই নিয়েছেন বলে পুলিশ জেনেছে।
অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র ফেসবুকে পোষ্যদের নিয়ে একটি পোস্ট করেন। সারমেয়দের রক্ষার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন পশুপ্রেমী সংগঠনও পুলিশের দ্বারস্থ হয়। বিষয়টি নিয়ে শোরগোল পড়তে পুলিশ কমিশনার নিজে স্থানীয় থানাকে ওই আবাসনে যেতে বলেন। সেই মতো রবিবার হরিদেবপুর থানার ওসি ওই আবাসনে যান। পশু চিকিৎসকেরা যদিও জানান আপাতত সব ঠিক থাক মতো চললেও পশুপ্রেমী সংগঠনগুলির উচিত মাঝেমধ্যে ওদের খোঁজ নেওয়া। মনিবের দেখা না পেয়ে ওরা কেমন আছে আর ওদের প্রতিপালনের কোনও অসুবিধা হচ্ছে কি না, সেটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

Skip to content