শুক্রবার ৫ জুলাই, ২০২৪


ছবি তো অনেকেই আঁকেন। যিনি পারেন তিনি তো বটেই, যিনি ততোটা ভালো পারেন না, অবসরের মুহূর্তে তিনিও কখনও কখনও আঁকিবুঁকি কেটেই ফেলেন সামনে রাখা কাগজটিতে। তবে ছবিকে কথা বলাতে হলে, তাতে প্রাণ আনতে হলে ছবিতে প্রাণ ঢালতে হয় বৈ কি। মনের কথা রং-তুলির আঁচড়ে প্রাণবন্ত করে তোলাটা শুধু যে শিল্পীকেই সাফল্য এনে দেয় তা তো না, যাঁরা দেখছেন কোথাও যেন তাঁরাও নিজের মননের প্রতিফলন খুঁজে পান সেই সব সৃষ্টির মধ্যে।
রং-তুলির এই মেলবন্ধনের আসর বসেছিল গতকাল রবিবার, আইসিসিআর-এ। ‘প্রেরণা’ নামে এই প্রদর্শনীর আয়োজন করেছিল ইকো (অর্গানাইজেশন ফর এডুকেশন, কাউন্সেলিং অ্যান্ড হেল্পিং)। আর এই ইকো উদ্যোগ ও তত্ত্বাবধানে ‘প্রেরণা’-র ডাকে সাড়া দিয়ে নিজেদের সৃজশীলতার সম্ভার নিয়ে হাজির ছিলেন বিভিন্ন বয়স ও পেশার তেরো জন শিল্পী— সুতপা বসু, সৈকত কুমার বসু, পিয়ালী নন্দী, অস্মি চৌধুরি, জয়িতা চাকি, সান্ত্বনা বসু, সুহান মণ্ডল, নেহা ঘোষ, অঙ্কিতা সাহা, বিক্রম মিত্র, পম্পা বন্দ্যোপাধ্যায়, তিলোত্তমা দে এবং সুতপা বর্ধন। বহু মানুষ প্রদর্শনীটি দেখতে ভিড় জমিয়েছিলেন।
প্রদর্শনীতে বিভিন্ন রং এবং মাধ্যমের ছবি ছাড়াও ছিল পুঁতির নানারকমের গহনা, কারুশিল্প, শাড়িতে চিত্রমালা, পুনর্ব্যবহারযোগ্য রকমারি বস্ত্রসমগ্রীর পশরা। ইকো-র এই প্রচেষ্টার সমর্থনে এগিয়ে এসেছে কাসা-দেই-বাম্বিনি-সিডিবি, দ্য সায়েন্স অ্যাসোসিয়েশন অফ বেঙ্গল- এসএবি, গোবরডাঙ্গা গবেষণা পর্ষদ-জিজিপি, সেন্টার ফর মাল্টিডিসিপ্লিনারি রিসার্চ অ্যান্ড অ্যাকশন-সিএমআরএ-এর মতো সংস্থাগুলি। বস্তুত আধুনিক জীবনের উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা, হতাশা, মন খারাপের মোকাবিলা কীভাবে করতে হবে তা শেখায় ইকো। পাশাপাশি সংস্থাটি মহিলাদের কর্মমুখী প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সমাজে তাঁদের সদর্থক ভূমিকা নেওয়ার গুরুত্ব, স্বাবলম্বী হওয়ার পথ, সমাজ পরিচালনার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা নেওয়ার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে জন জাগরণের লড়াইকে সমানে এগিয়ে নিয়ে যায়।

ছবি সৌজন্য: সৈকতকুমার বসু

Skip to content