মঙ্গলবার ৯ জুলাই, ২০২৪


ইকো একটি বিশেষ প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে। একদিনের এই প্রদর্শনী আজ রবিবার ২৪ জুলাই ৯, হোম চি মিন সরণি, আইসিসিআর-এ চলছে। ইকো (অর্গানাইজেশন ফর এডুকেশন, কাউন্সেলিং অ্যান্ড হেল্পিং) আয়োজিত এই প্রদর্শনীর নাম ‘প্রেরণা’। কলকাতা ভিত্তিক এই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার প্রদর্শনীতে ভিন্ন ধরনের পেইন্টিং, কারুশিল্প, পুঁতির গহনা, পুনর্ব্যবহারযোগ্য পণ্যের পাশাপাশি শিল্পীদের তৈরি হরেক রকম শিল্পকর্ম এখানে দেখা যাবে। খোলা থাকবে বিকেল ৩টে থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত।
প্রদর্শনীটিকের সফল করতে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে কাসা-দেই-বাম্বিনি-সিডিবি, দ্য সায়েন্স অ্যাসোসিয়েশন অফ বেঙ্গল- এসএবি, গোবরডাঙ্গা গবেষণা পর্ষদ-জিজিপি, সেন্টার ফর মাল্টিডিসিপ্লিনারি রিসার্চ অ্যান্ড অ্যাকশন-সিএমআরএ-এর মতো সংস্থাগুলি। মোট তেরো জন শিল্পী এতে অংশগ্রহণ করছেন। অংশগ্রহণকারীরা হলেন – সুতপা বসু, সৈকত কুমার বসু, পিয়ালী নন্দী, অস্মি চৌধুরি, জয়িতা চাকি, সান্ত্বনা বসু, সুহান মণ্ডল, নেহা ঘোষ, অঙ্কিতা সাহা, বিক্রম মিত্র, পম্পা বন্দ্যোপাধ্যায়, তিলোত্তমা দে এবং সুতপা বর্ধন। প্রত্যেক শিল্পী তাঁদের সৃজনশীল শিল্পকর্ম নিয়ে এখানে উপস্থিত হয়েছেন।
ইকো, মূলত মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করে। এই ধরনের মনোগ্রাহী অনুষ্ঠানগুলির মাধ্যমে সুখ, আত্মমর্যাদা, প্রেরণা এবং মানসিক ভাবে সুস্থ থাকার উপায় নিয়ে এরা সচেতনতামূলক প্রচার করে। আধুনিক জীবনের হতাশা, উদ্বেগ, মন খারাপ কমাতে সাহায্য ও উদ্বুদ্ধ করে।
স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন হিসাবে ইকো সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে মহিলাদের ভূমিকা ক্রমাগত কাজ করে চলেছে। এরা নারীদের উপযুক্ত প্রশিক্ষণ প্রদান করে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার মাধ্যমে ক্ষমতায়নের দিকে গিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করে। মহিলাদের অর্থনৈতিকভাবে স্বাধীন করার জন্য শিল্প ও কারুশিল্প শেখানো ইকো-র প্রধান উদ্দেশ্যগুলির মধ্যে একটি। তাই এই সংগঠনে বিভিন্ন আর্থ-সামাজিক স্তরের প্রতিনিধিত্বকারী মহিলা শিল্পীদের একটি উপস্থিতি রয়েছে।
শিল্প ও কারুশিল্প শুধু একটি সৃজনশীল শিল্পকর্ম নয়, রং এবং সৃজনশীলতা সহজ-সরল পদ্ধতির মাধ্যমে জীবনকে রূপান্তরিত করতে সাহায্য করে। ইকো বৃহত্তর সমাজের সঙ্গে যুক্ত হতে একাধিক কর্মশালার বাইরে একটি চারু ও কারুশিল্প প্রদর্শনী আয়োজন করেছে। এটি তাদের প্রথম প্রয়াস।

Skip to content