শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪


এসএসসি ‘দুর্নীতি’ মামলায় গ্রেফতার হওয়া প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং তাঁর ‘ঘনিষ্ঠ’ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে বৃহস্পতিবার আদালতে পেশ করা হয়। পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ফের জেল হেফাজত। দ্বিতীয় দফায় পার্থ ও অর্পিতাকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে ব্যাঙ্কশাল আদালত। আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত তাঁরা জেলে থাকবেন।
বৃহস্পতিবার আদালতে ঢোকার মুখে পার্থ চট্টোপাধ্যায় মন্তব্য করেন, ‘কেউ ছাড়া পাবে না।’ এর পর তিনি আরও বলেন, ‘সময়ে সব কিছু প্রমাণিত হবে।’ যদিও ‘কেউ’ প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী কাদের ইঙ্গিত করে বলেছেন তা অবশ্য খলসা করেনি। একই ভাবে ‘সময়ে কী প্রমাণ হবে’ এ নিয়েও তিনি আরও কোনও মন্তব্য করেননি।
বৃহস্পতিবার পার্থর আইনজীবী স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে তাঁর জামিনের আবেদন করেন। তিনি আদালতকে জানান, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের হিমোগ্লোবিন কম, ক্রিয়েটিনিনও বেড়েছে। একা চলাফেলা করতে অসুবিধা হচ্ছে।
পাল্টা দাবি ইডি-র আইনজীবীর বলেন, প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় তদন্তে সহযোগিতা করেননি। তাঁর ‘ঘনিষ্ঠ’ অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে যে বিশাল অঙ্কের টাকা উদ্ধার হয়েছে তার উৎস নিয়েও তিনি মুখ খোলেননি। ইডি প্রথমে ৫০টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের কথা জানিয়েছিল। যদিও বৃহস্পতিবার ইডি দাবি করেছে, আরও ১০টি অ্যাকাউন্টের হদিশ পাওয়া গিয়েছে। একটি ট্রাস্টের হদিশও পাওয়া গিয়েছ, সেটি তাঁর স্ত্রী বাবলি চট্টোপাধ্যায়ের নামে রয়েছে।
আদালতকে ইডি-র আইনজীবী জানিয়েছেন, ওই ট্রাস্টের নামে একটি ‘ইন্টারন্যাশনাল স্কুল’ আছে। আর ওই ট্রাস্টের মাধ্যমেই নাকি টাকা তছরুপ করা হতো বলেও দাবি ইডি-র। ৩০টি ভুয়ো সংস্থার মাধ্যমে আর্থিক লেনদেন হতো বলে মনে করছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। উত্তর ২৪ পরগনায় একটি ফার্ম হাউসেরও সন্ধান মিলেছে। সেই ফার্ম হাউসকে পিকনিক স্পট হিসেবে ব্যবহার হতো বলে দাবি ইডির আইনজীবীদের।

Skip to content