মঙ্গলবার ৯ জুলাই, ২০২৪


গার্ডেনরিচের পরিবহণ ব্যবসায়ী আমির খানের বাড়িতে এখনও নোট গোনার কাজ চলছে। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) সূত্রে জানা গিয়েছে, আপাতত ১১ কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে আমিরের নিউটাউনের অফিস থেকে। মোট আটটি টাকা গোনার যন্ত্র দিয়ে আমিরের বাড়িতে উদ্ধার বিশাল অঙ্কের টাকা গোনার জন্য। উদ্ধার হওয়া টাকা নিয়ে যেতে ১০টি ট্রাঙ্ক আনা হয়েছে।
শনিবার ফের পাহাড়প্রমাণ টাকার সন্ধান পায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি-র আধিকারিকেরা গার্ডেনরিচে পরিবহণ ব্যবসায়ী নিসার খানের বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে এই বিশাল অঙ্কের টাকা উদ্ধার করেন।
আরও পড়ুন:

আরও ১৫ হাজার স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড দেবে নবান্ন, নভেম্বরের মধ্যে মোট ৫০ হাজারের লক্ষ্যমাত্রা নিল রাজ্য

শিশুকে নিয়ে বেড়াতে যাচ্ছেন? কোন কোন বিষয়ে সতর্কতা প্রয়োজন? কী কী ওষুধ সঙ্গে রাখবেন? রইল পরামর্শ

শনিবার সকালে কলকাতায় মোট ৮টা জায়গায় ইডি তল্লাশি শুরু করেছে। ইডির আধিকারিকেরা নিউটাউন, পার্ক স্ট্রিট, মোমিনপুরের বন্দর এলাকা-সহ গার্ডেনরিচের শাহি আস্তাবল গলিতে তল্লাশি অভিযান শুরু করেন। জানা গিয়েছে, মোবাইল অ্যাপ প্রতারণা সংক্রান্ত একটির মামলার তদন্তের অংশ হিসেবে তল্লাশি অভিযান চালায় ইডি।
ইডি দুপুর নাগাদ জানায়, আমির খানের দোতলার বাড়ি থেকে আট কোটি টাকা উদ্ধার কোরা হয়েছে। ওই বাড়ির একটি ঘরের খাটের তলায় প্লাস্টিকের থলিতে ৫০০ এবং ২০০০ টাকাড় নোটের বান্ডিল ভরে রাখা ছিল। ওই বিশাল অঙ্কের টাকা গুনতে ব্যাঙ্কের আধিকারিকদের সাহায্য নেওয়া হয়।
শনিবার ইডি একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। সেই বিজ্ঞপ্তি বলা হয়েছে, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি পার্ক স্ট্রিট থানায় নিসার আহমেদ খানের ছেলে আমির খানের বিরুদ্ধে প্রতারণা অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এঁদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪০৬, ৪০৯-সহ প্রতারণা, বিশ্বাসভঙ্গ-সহ একাধিক ধারা আনা হয়েছে। মোবাইল গেমিং অ্যাপের মাধ্যমে আমির-সহ একাধিক ব্যক্তি গ্রাহকদের প্রতারণা করেছেন। শনিবার সকাল এই মামলার তদন্তে ইডি তল্লাশি অভিযান শুরু করে আমিরের গার্ডেনরিচের বাড়ি ও তাঁর নিউটাউনের অফিস। গার্ডেনরিচেড় বারই ছাড়াও নিউটাউনের অফিস থেকেও বীষাল অঙ্কের টাকা উদ্ধার করা হয়। ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, ‘ই-নাগেটস’ নামে একটি মোবাইল গেমিং অ্যাপের সাহায্যে গ্রাহকদের কাছ থেকে টাকা হাতাতেন আমিররা।

Skip to content