বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর, ২০২৪


কলকাতায় বৃষ্টি

ছবি: প্রতীকী। সংগৃহীত।

সোমবার থেকে আবহাওয়ার কিছুটা পরিবর্তন হয়েছিল। মঙ্গলবার কলকাতার আকাশ খানিক মেঘমুক্ত ছিল। তবে শরতের আকাশের আভাসের ফাঁকেও কলকাতার অল্প বিস্তর বৃষ্টি হয়েছে। বুধবার ঝলমলে রোদ আকাশ। যদিও সপ্তাহশেষে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় আবার বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এমনটাই জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।
উত্তর আন্দামান সাগরে আগামী শুক্রবার ঘূর্ণাবর্ত তৈরির প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। এই ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হলে এক সময় নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে বলে হাওয়া দফতর মনে করছে। এর প্রভাবে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হতে পারে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায়। শনিবার বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরের মতো উপকূলবর্তী জেলায়। পাশাপাশি মাঝারি পরিমাণ বৃষ্টি হতে পারে কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান জেলায়।
আরও পড়ুন:

আলোকের ঝর্ণাধারায়, পর্ব-১৩: নহবতবাড়ির ‘এতটুকু বাসা’

ঋতু পরিবর্তনের অসুস্থতায় হাতের কাছে কী কী হোমিওপ্যাথি ওষুধ রাখবেন? রইল ডাক্তারবাবুর পরামর্শ

বুধবার বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বর্ষণের পূর্বাভাস রয়েছে দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর এবং মালদহ জেলায়। এই সব জেলায় হলুদ সতর্কতাও জারি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবারেও বৃষ্টির জন্য হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে মালদহ, উত্তর দিনাজপুর এবং দক্ষিণ দিনাজপুরে। উত্তরবঙ্গে সপ্তাহ শেষেও বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।
আরও পড়ুন:

পঞ্চমে মেলোডি, পর্ব-৩০: আ দেখে জারা কিসমে কিতনা হ্যায় দম… এই গানে পঞ্চমের বাজি ছিলেন কিশোর ও আশা

এগুলো কিন্তু ঠিক নয়, পর্ব-৩৮: চল্লিশ পার হলেই নিরামিষ?

আন্দামান সাগরে পুজোর আগে আগেই ঘূর্ণাবর্ত থেকে ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। হাওয়া দফতর সে দিকে কড়া নজর রেখেছে। এখনও পর্যন্ত জানা গিয়েছে, আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর ওই ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হতে পারে। ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই সে তার শক্তি বৃদ্ধি করবে। তার পরে ঘূর্ণাবর্তটি ধীরে ধীরে নিম্নচাপের রূপ নিয়ে স্থলভাগের দিকে ধেয়ে আসতে পারে। যদিও সেই নিম্নচাপ থেকে ঘূর্ণিঝড় তৈরি হবেই এমনটা বলতে পারছে না আবহাওয়া দফতর। কিছু দিন পরে তা জানা যাবে।

নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নিলে বাংলায় তার কী প্রভাব পড়বে? এ বিষয়ে এখনই পরিষ্কার ভাবে বলা সম্ভব নয়। তবে আন্দামান সাগরে এই ঘূর্ণাবর্তের যে অনুকূল পরিস্থিতি রয়েছে, এখন তার দিকেই হাওয়া দফতর নজর রেখেছে। ঘূর্ণাবর্ত থেকে নিম্নচাপ হলে তার প্রভাবে ঘূর্ণিঝড়ের জন্ম হলে পুজোর আগে ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। এ-ও জানা গিয়েছে, আন্দামান সাগরে তৈরি নিম্নচাপ থেকে ঘূর্ণিঝড় তৈরি হলে তার নাম হবে ‘তেজ’। যদি তা হয়, তবে পুজোর মুখে বাংলার উপকূলেও ঝড়বৃষ্টি হতে পারে।

Skip to content