ছবি: প্রতীকী। সংগৃহীত।
আবার আন্দামান সাগরে একটি নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে। যা আগামী বুধবার নাগাদ দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরের বুকে নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। তারও ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সেই নিম্নচাপ, ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবার সম্ভাবনা আছে বলে মনে করা হচ্ছে। এমনটাই জানিয়েছে, মৌসম ভবন।
আবহবিদদের মতে, যদি নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়, তা হলে তা দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর থেকে পশ্চিম এবং উত্তর-পশ্চিম দিকে ধাবিত হতে পারে। যদিও এই ঘূর্ণিঝড় এ রাজ্যে তার প্রভাব কতটা পড়বে বা কতটা ঝড়বৃষ্টি হবে, সে ব্যাপারে আবহবিদেরা এখনই সুনিশ্চিত নন। তবে নিম্নচাপের প্রভাবে দক্ষিণবঙ্গ আগামী কয়েক দিন আকাশ মেঘলা থাকবে। মঙ্গলবার উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং এবং কালিম্পং-এ বৃষ্টি হবার সম্ভাবনা আছে। ইতিমধ্যেই হাওয়া অফিসের তরফে সোম থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের সাগরে যেতে বারণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:
দিনদিন আপনার ত্বক যে আর্দ্রতা হারাচ্ছে বুঝবেন কীভাবে? রইল ৫টি সহজ উপায়
চলো যাই ঘুরে আসি, অন্নপূর্ণা বেস ক্যাম্পের পথে, পর্ব-২: দু’ চোখ ভরে স্বপ্ন পূরণের আনন্দাশ্রু, অদূরেই যে অন্নপূর্ণা বেস ক্যাম্প!
এর আগে আবহাওয়া অফিস সারা দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে শীত শীত ভাব নভেম্বরের বাকি দিনগুলিতেও বজায় থাকবে বলে আশ্বস্ত করেছিল। কিন্তু মাসের শেষ দিকে এসে সেই শীতভাব উধাও হয়ে যায়। নিম্নচাপ অঞ্চলের কারণে আগামী দু’দিন রাজ্যের তাপমাত্রা ১-২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়বে বলে হাওয়া অফিস আগাম জানিয়েছে।
আরও পড়ুন:
উত্তম কথাচিত্র, পর্ব-৫৩: ‘সুরের পরশে’ তুমি-ই যে শুকতারা
এগুলো কিন্তু ঠিক নয়, পর্ব ৪৭: শীতকালে দই খেতে নেই?
তবে কড়া শীত পড়তে আর বেশি দেরি নেই বলেও আশশ্ত করছে আবহাওয়া দফতর। বাংলায় ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকেই শীত পড়তে পারে। আগামী শুক্রবার সাগরে যদি ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয়, তা হলে তার নাম হবে ‘মিগজাউম’। ‘মিগজাউম’ নামটি মায়নমারের দেওয়া। যদিও এখনও পর্যন্ত সরকারি ভাবে ঘূর্ণিঝড়ের নাম ঘোষণা করা হয়নি।