শুক্রবার ৫ জুলাই, ২০২৪


ছবি প্রতীকী

ফের ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড়। নাম ‘মনদৌস’। আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে ক্রমশ ঘনীভূত হওয়া নিম্নচাপ পরিণত হতে পারে ঘূর্ণিঝড়ে। শেষমেশ সেটি যদি ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নেয় তাহলে তাঁর নাম দেওয়া হবে ‘মনদৌস’।
এ নিয়ে বিশ্ব আবহাওয়া দফতরের রিপোর্ট অনুযায়ী, ঘূর্ণিঝড় তৈরি হলে পর্যায়ক্রমে সেটির নামকরণ করে কোনও একটি দেশ। এবার সংযুক্ত আরব আমিরাশাহি এর নামকরণ করেছে। ‘মনদৌস’ আরবি শব্দ। এর অর্থ ‘গয়নার বাক্স’। যদিও নিম্নচাপ পরিণত হয় ঘূর্ণিঝড়ে তবে ওই নাম কার্যকর হবে।
হাওয়া দফতর জানিয়েছে, দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে তৈরি সুগভীর নিম্নচাপ বুধবার দিনেবেলায় ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নিতে পারে। আবহবিদরা জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব বেশি পড়বে তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ এবং পুদুচেরির উপকূলবর্তী অঞ্চলে।
দিল্লির মৌসম ভবন যথাক্রমে আগামী ৮ ডিসেম্বর ১৩টি জেলায় এবং ৯ ডিসেম্বর ১২টি জেলায় কমলা সতর্কতা জারি করেছে৷ চেন্নাই, কাঞ্চিপুরম, তিরুভাল্লুর এবং চেঙ্গলপেটে ভারী বর্ষণের পূর্বাভাস রয়েছে৷ এ প্রসঙ্গে চেন্নাইয়ের আবহাওয়া দফতরের ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল এস বালাচন্দ্রনের কথায়, ৭ থেকে ৯ ডিসেম্বর তামিলনাড়ু, পুদুচেরি এবং কারাইকালে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে৷ মনে করা হচ্ছে ‘সিত্রং’-এর থেকে ‘মনদৌস’ বেশি শক্তিশালী হবে। ফলে তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ এবং পুদুচেরিতে ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন:

বিদ্যাসাগর ও বঙ্কিমচন্দ্রের পরে বাংলাভাষার স্বচ্ছন্দ, স্বাভাবিক প্রয়োগ ও বিস্তারে তাঁর অবদান ভোলার নয়/১

নাট্যকার গিরিশচন্দ্রের সন্ধানে, পর্ব -২৪: ন্যাশনাল থিয়েটারে মধুকবির ‘মেঘনাদবধ কাব্যে’র গিরিশচন্দ্রের নাট্যরূপ মুগ্ধ করেছিল দর্শকদের

বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে সোমবার ভোর সাড়ে ৫টায়। এর পরে সেটি ক্রমশ পশ্চিম থেকে উত্তর-পশ্চিম দিকে এগিয়ে চলেছে। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যা নাগাদ ওই নিম্নচাপ, গভীর নিম্নচাপের রূপ নিতে পারে।
এর পর সে উত্তর-পশ্চিমে অগ্রসর হবে। ক্রমশ শক্তি সঞ্চয় করে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে ৮ ডিসেম্বর সন্ধ্যার মধ্যে। এর পরে তা উত্তর তামিলনাড়ু-পুদুচেরি এবং পার্শ্ববর্তী দক্ষিণ অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে। এদিন উত্তর তামিলনাড়ুতে ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে। তিরুপত্তুর, কৃষ্ণগিরি, ধর্মপুরী এবং সালেমে ৯ ডিসেম্বর ভারী বৃষ্টি হতে পারে।
মৌসম ভবনের রিপোর্ট অনুযায়ী, দক্ষিণ আন্দামান সাগর ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলেও ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়বে। সেই সঙ্গে আগামীকাল ৭ ডিসেম্বর হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে।
আরও পড়ুন:

মহাভারতের আখ্যানমালা, পর্ব-৪৫: পরশুরামের আশ্রমে এসে পৌঁছলেন পাণ্ডবেরা

ইংলিশ টিংলিশ: আজকে এসো দেখি Prefix আর Suffix কাকে বলে

বাংলায় কি ‘মনদৌস’-এর প্রভাব পড়বে?
আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে তৈরি সুগভীর নিম্নচাপের জেরে বাংলার বাতাসে কিছুটা বাড়বে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ। পাশাপাশি উত্তুরে হাওয়া বাধা পড়বে। কিছু দিনের জন্য উধাও হতে পারে শীতের শিরশিরানি। ঊর্ধ্বমুখী হতে পারে পারদ। ঘূর্ণিঝড়ের রেস কাটলেই আগামী সপ্তাহ নাগাদ ফের বাংলা জুড়ে শীতের দেখা মিলবে।

Skip to content