রবিবার ২৪ নভেম্বর, ২০২৪


আজ উদ্বোধন হয়েছে নবনির্মিত টালা সেতুর। বৃহস্পতিবার বিকেলে ৫টা ৪৯ মিনিট নাগাদ রিমোটে নবনির্মিত টালা সেতুর উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বললেন, ‘‘পুজোর আগে এটা উপহার’’।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রেল কর্তৃপক্ষ টালা সেতু ভাঙতে প্রায় মাস চারেক নিয়েছে। তার পরেও সেতু নির্মাণের কাজ সম্পন্ন হয়েছে তাড়াতাড়িই। বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী এর জন্য রাজ্যের পুরমন্ত্রী ববি হাকিম, পূর্তমন্ত্রী পুলক রায় এবং যুবকল্যাণ মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। এখন সেতুতে গাড়ি চলাচলে কিছু নিষেধাজ্ঞা রয়েছে বলে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন। তিনি জানান, ‘‘নবনির্মিত সেতুটিতে এখনও কোনও বড় গাড়ি চলাচল করবে না। কেবল ছোট গাড়িই যাতায়াত করবে। আগামী কয়েক দিন সিস্টেম মেনটেন করার জন্য।’’
মমতা জানান, ‘‘নতুন সেতু তিরির আগে পুরনো সেতুটি ভাঙতে হয়েছে। এর জন্য রেল কর্তৃপক্ষ চার মাস সময় নেয়। তার পরেও দ্রুত কাজ শেষ হয়েছে। আবার কোভিডের জন্যেও সমস্যা হয়েছে। তবে অরূপ, ববি, পুলক অনেক সাহায্য করেছে।’’ এলাকাবাসীকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি এও বলেছেন, শুনেছি স্থানীয়দের সিঁড়ি, ফুটপাথ, সার্ভিস রোড নিয়ে সমস্যা রয়েছে। পিডব্লুডিকে বলব, বিষয়টি দেখতে।’’
আরও পড়ুন:

সামান্থা ত্বকের বিরল রোগে আক্রান্ত? চিকিৎসা করাতে পাড়ি দিয়েছেন আমেরিকায়?

ছোট্ট সোনামণি সাজতে খুব ভালবাসে? কেমন হবে এ বারের পুজোর বিশেষ রূপটান? রইল টিপস

মমতা বলেন, সেতু নির্মাণের খরচ রাজ্য সরকারই বহন করেছে। এর জন্য ৫০৪ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। সেই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী এও বলেন, ‘‘আমি ভেবেছিলাম, রেল হয়তো সোশ্যাল ওয়ার্ক হিসাবে ছাড় দেবে। যদিও ব্রিজ ভাঙার জন্যও রেল কর্তৃপক্ষেও টাকা দিতে হয়েছে রাজ্য সরকারকে। এর জন্য প্রায় ৯০ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে রেলকে। সব টাকাই রাজ্য দিয়েছে।’’ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, পুরানো সেতুর চেয়ে নবনির্মিত সেতু বেশি চওড়া। আগের সেতুটি ছিল দু’লেনের। নতুন সেতুটিতে চারটি লেন রয়েছে। এর ভারবহনের ক্ষমতাও অনেক বেশি। পরে সেতুর স্বাস্থ্য এবং ভারবহনের ক্ষমতা পরীক্ষা করে তবেই পণ্যবাহী গাড়ি চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

Skip to content