সোমবার ৮ জুলাই, ২০২৪


প্রতীক্ষার অবসান। অবশেষে খুলে গেল নবনির্মিত টালা ব্রিজ। বৃহস্পতিবার বিকেলে ৫টা ৪৯ মিনিট নাগাদ রিমোটে নবনির্মিত টালা সেতুর উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বললেন, ‘‘পুজোর আগে এটা উপহার’’।
বরাহনগর, সিঁথির মোড় থেকে উত্তর কলকাতায় আসার জন্য আর বেলগাছিয়া ব্রিজ পেরোতে হবে না। পুজোর আগে নতুন সেতু চালু হয়ে যাওয়ায় অনেকটাই যানজট কমবে। উত্তর কলকাতা ও উত্তরের শহরতলির মধ্যে যোগাযোগের জন্য টালা সেতু গুরুত্বপূর্ণ। মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, নতুন সেতুটি তইরি করতে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। ফলে আগের সেতুর থেকে এটি বেশি মজবুত।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে টালা সেতুরও স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর বিশেষজ্ঞরা পূর্ত দফতরকে যে রিপোর্ট দিয়েছিলেন, তাতে বলা হয়েছিল, সেতুটি বেশ পুরনো হয়ে গিয়েছে। এতে অনেকগুলি ফাটলও দেখা দিয়েছে। তাঁরা পুরানো সেতুটি ভেঙে নতুন সেতু তৈরির করার প্রস্তাব দেন। সেই মতো ২০১৯ সালে পুজোর আগে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হয়। ২০২০ সালের পয়লা ফেব্রুয়ারি যান চলাচল বন্ধ করে শুরু হয় ভাঙার কাজও। লকডাউন পর্বের মধ্যেও ব্রিজ ভাঙার কাজ চালু ছিল। নবনির্মিত টালা সেতুটি লম্বায় ৭৫০ মিটার। এটি তৈরি করতে খরচ হয়েছে ৫০৪ কোটি টাকা। এতে চারটি লেন থাকবে। মাঝেরহাট ব্রিজের মতো এটিও ‘কেবল স্টেড রেলওভার’ নক্সায় তৈরি।
আরও পড়ুন:

শম্ভু, শম্ভু, শিব মহাদেব শম্ভু, খুদার ইবাদত যাঁর গলায় তাঁর আর কাকে ভয়?

গৃহিণীদের মধ্যে বইয়ের নেশা বাড়াতে কাঁধে ঝোলা নিয়ে ঘুরে বেড়ান রাধা, ‘চলমান পাঠাগার’ তাঁর পরিচয়!

সেতুটি নির্মাণ করে লার্সেন অ্যান্ড টুবরো লিমিটেড। পথচারীদের নবনির্মিত সেতুটির ‘ওয়াকিং বে’ ব্যবহার করতে দেওয়া হতে পারে জানা গিয়েছে। এদিকে, নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, উদ্বোধন হওয়ার পরে যানবাহন যাতায়াত নিয়ে যে সিদ্ধান্তই নেওয়া হোক না কেন, তা হবে নবনির্মিত টালা সেতুর স্বাস্থ্যের কথা ভেবেই।

Skip to content