সোমবার ৮ জুলাই, ২০২৪


লোভনীয় সেই পদ।

পোস্ট-পুজো মনকেমন কাটানোর জন্য একটু চাইনিজ হলে কেমন হয়? মন্দ নয় তাইতো? চলুন তবে, এই পর্বে ‘তুং নাম’ অভিযানে যাওয়া যাক। সেন্ট্রাল মেট্রো স্টেশান থেকে বেরিয়ে মেডিক্যাল কলেজের গেট থেকে বড়জোর দশ মিনিটের হাঁটাপথ এই আদ্যিকালের ছোট্ট চাইনিজ রেস্তোরাঁ। এইইই না!
রেস্তরাঁ নয়, ইটিং হাউজ— এই ‘তুং নাম’। কলকাতার মাঝামাঝি যে কয়েকটি অথেনটিক চাইনিজ খাবারের আড্ডা আছে, তার মধ্যে ‘তুং নাম’ একদম প্রথম সারিতে। বিশাল মেনু, এবং স্পেশাল আইটেমের কোনও শেষ নেই। তার মধ্যে দুটি পদ অতি অবশ্যই চেখে দেখা উচিত বলে মনে করি— পর্ক হ্যামচয় আর ওয়ানটন নুডলস।
আরও পড়ুন:

কলকাতার পথ-হেঁশেল, পর্ব-১০: রাজ ও স্প্যানিশ

ইতিহাস কথা কও, পর্ব-১৫: দেবদেউল কথা ও গোসানিমারি কামতেশ্বরী মন্দির

যাইহোক, এসে তো দুই বন্ধু বসলাম। পুজোতে কলকাতায় ফিরেছে দিল্লির বন্ধু। তার সামনে ‘তুং নাম’-এর মান রাখতেই হয়। দু’-প্লেট চপসুয়ে অর্ডার দিলাম। একটা চাইনিজ স্টাইল আর আরেকটা আমেরিকান। ভাজা নুডলসের ওপরে স্যস আর গ্রেভির মধ্যে চিকেন আর চিংড়ি মিশে বেশ একটা মাখো-মাখো ব্যাপার এই চপসুয়ে। ও হ্যাঁ, এক প্লেট পরক হ্যামচয়-ও অর্ডার দিয়েছিলাম বটে, কিন্তু চপসুয়ে খেয়ে পেট ভরে গেল বলে প্যাক করিয়ে নিলাম।
আরও পড়ুন:

ক্যাবলাদের ছোটবেলা, পর্ব-২১: ওঠো ওঠো রে! বিফলে প্রভাত বহে যায় যে!

পরিযায়ী মন, পর্ব-১: পরিযায়ীর বিপর্যয়

মেনুতে কিন্তু বাঙালির অতি প্রিয় হাক্কা নুডলস আর চিলি চিকেন-ও আছে। সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের ভক্ত হলে ‘চিকেন চাউমিন আর চিলি ফিশ’-ও অর্ডার দিতে পারেন। স্যুপ-এর তালিকাও কম না। ওয়ানটন স্যুপ, লুং ফুং স্যুপ, কাপ্তাই স্যুপ, মেই ফুঁ স্যুপ, ইত্যাদি। চিকেন, প্রণ, ফিশ আর পর্কের সাইড ডিশের সঙ্গে রাইস বা নুডলস্ নিতে পারেন। আর যদি ‘বেস্ট অফ বোথ ওয়ার্ল্ডস’ চাই, তাহলে রাইস নুডলস চেখে দেখতে পারেন।
আরও পড়ুন:

লাইট সাউন্ড ক্যামেরা অ্যাকশন, পর্ব-৮: ইতালিয়ান নিওরিয়ালিজম এবং ডি সিকার বাইসাইকেল থিভস

এই দেশ এই মাটি, সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-১৯: সুন্দরবনের জঙ্গল-জননী বিশালাক্ষী

মেনুতে বেশিরভাগ আইটেমই ওই দুশোর ঘরে ঘোরা-ফেরা করে। দুজনের মতো পেট ভরে খাওয়া খেতে হলে পাঁচশ থেকে ছশোর মধ্যে হয়ে যাওয়ার কথা। শুধু একটা জিনিস মাথায় রাখবেন। ‘তুং নাম’-এর কিন্তু একটা বিশেষ টাইমিং-এর ব্যাপার আছে। বারোটা থেকে তিনটে, তারপর আবার ছটা থেকে দশটা। তবে আর দেরি কেন? পুজো শেষ বলে বাড়ি বসে আর মনখারাপ না করে টুক্ করে ঘুরে আসুন ‘তুং নাম’।

আপনি-আমি তো বটেই, এমন চীনা-খানায় মোগাম্বো পর্যন্ত “খুশ” হয়ে যাবে!
* কলকাতার পথ-হেঁশেল (kolkata-street-foods): শ্রুতিদীপ মজুমদার, (Shrutideep Majumder) ভোজনরসিক।

Skip to content