শুক্রবার ৪ অক্টোবর, ২০২৪


ফোর্টিস হাসপাতালের একটু আগেই এম বাইপাসের ধারে একটা দোকান, নাম— ‘দি পারকিং’। সাইনবোর্ডের পাশেই লেখা—‘পার্ক, ইট, এঞ্জয়’। আরেক পাশে লাগানো সিগনালের লাইট। পার্ক করলাম বটে, কিন্তু গাড়ি না, নিজেদের। বাইরে চেয়ার আর টেবিল পাতা। অতএব দেরি না করে নিজেদের ‘টেরিটরি মার্ক’ করে ফেললাম তিন বন্ধু।
মেনুতে বেশ কয়েকপ্রকার আইটেম ছিল। চা, কফি, কোল্ড ড্রিঙ্ক বাদ দিয়ে পাস্তা, পিৎজা, স্যান্ডউইচ, রোল, পকোড়া, চাউমিন, চিলি চিকেন, পরোটা, বার্গার, ফ্রাইড রাইস, স্যুপ, ইত্যাদি।
আরও পড়ুন:

কলকাতার পথ-হেঁশেল, পর্ব-৭: ‘কর্ণ’nicles

হুঁকোমুখোর চিত্রকলা, পর্ব-১৭: অ্যাঁ, বলো কী নন্দলাল…!

শুরুতেই দু’ কাপ দুধ চা আর এক কাপ লেবু চা। তারপর রকমারি মেনু থেকে বেছে নেওয়া হল চিকেন পাস্তা (হোয়াইট সস), ফ্রেঞ্চ ফ্রাই, আর এগ চিকেন রোল। পাস্তার যা পরিমাণ, তাতে দু’জনে মিলে অনায়াসে পেট ভরাতে পারবে। উল্লেখযোগ্য ব্যাপার হল পাস্তার মধ্যে এরা চিকেন বাদেও, বেশ ভালো পরিমাণে ব্রকলি ও কর্ণও দিয়েছিল। ফ্রেঞ্চ ফ্রাইের সঙ্গে মেয়োনিজ আর সস দেওয়া হয়েছিল। এগ চিকেন রোলে চিকেনের পরিমাণ নিয়ে কিন্তু একটুও কৃপণতা করা হয়নি বলেই রায় দিতে বাধ্য হলাম সকলে। সব মিলে সন্ধেবেলায় বেশ ভালোই পেট পুজো হল।
আরও পড়ুন:

অমর শিল্পী তুমি, পর্ব-৯: যত সুর সবই তোমার…

পঞ্চমে মেলোডি, পর্ব-৩১: দিল লেনা খেল হ্যায় দিলদার কা…

বিশেষ করে বলার কথাটি হল, দামের দিকে নজর দিলেও চক্ষু ছানাবড়া হওয়ার কথা নয়। দুজনে মিলে খাওয়ার পক্ষে সাড়ে তিনশো থেকে চারশো টাকাই যথেষ্ট। লোকেশান নিয়ে খুব একটা সমস্যা হওয়ার কথা নয়। গুলিয়ে গেলে তো গুগল বাবা আছেনই! রুবি বা ফোর্টিসের দিকে গেলে একবার ঢুঁ মেরে যেতেই পারেন ‘দি পার্কিং’-এ।
* কলকাতার পথ-হেঁশেল (kolkata-street-foods): শ্রুতিদীপ মজুমদার, (Shrutideep Majumder) ভোজনরসিক।

Skip to content