সোমবার ৮ জুলাই, ২০২৪


নতুন বছরে একটু নতুন কিছু চেখে দেখার জন্যে খুঁজে নিলাম এক নতুন জায়গা। আজ চলে এসেছি হেদুয়াতে মাছের কচুরি খেতে। দোকানের নাম: ‘দ্য বেঙ্গলি বাইট’ (The Bengali Bite)। হেদুয়ার মোড় থেকে শিশির ভাদুরি স্ট্রিট ধরে স্কটিশ চার্চ কলেজের দিকে এগোতেই ডান হাতে পড়বে এই দোকান।
খাওয়ার তালিকায় তিন রকম টাইমিং আছে এই দোকানের। সকাল, দুপুর আর বিকেল। সকালে পাওয়া যায় পরোটা, আলুর দম, অমলেট, বাটার টোস্ট ইত্যাদি। দুপুরবেলায় পাওয়া যায় বাসন্তী পোলাও, আলুর দম, ধোঁকার ডালনা, ছানার কালিয়া, বাটার পনির, চিকেন কষা, চিকেন রেজালা মাটন কষা ইত্যাদি।
আরও পড়ুন:

কলকাতার পথ-হেঁশেল, পর্ব-২০: উত্তর কলকাতায় গিরিশ চন্দ্র দে অ্যান্ড নকুড় চন্দ্র নন্দীতে মিষ্টিমুখ

উত্তম কথাচিত্র, পর্ব-৫৮: কোন অজানায় ‘পথে হল দেরী’

এ বার বিকেলবেলায় আসা যাক। মাছের কচুরি, চিকেন কবিরাজি, মোগলাই পরোটা, লাচ্ছা পরোটা, ফিশ ফ্রাই, ফিশ ব্যাটার ফ্রাই, চিকেন ব্যাটার ফ্রাই, চিকেন কাটলেট মাটন চপ, হাঁসের ডিমের ডেভিল, গোল্ডেন ফ্রাই প্রন, পনির পসিন্দা এবং আরও অনেক আইটেম। বিশেষ ব্যাপার হল এরা পিওর ভেটকি ব্যাবহার করেন এবং এদের ভেজ আইটেমগুলিতে পেঁয়াজ-রসুন পড়ে না।
আরও পড়ুন:

দশভুজা, সরস্বতীর লীলাকমল, পর্ব-৬: রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন—মেয়েদের আলোর দিশারী

হুঁকোমুখোর চিত্রকলা, পর্ব-২৬: কে জানে ক’ঘণ্টা?

দোকানে ভিড় থাকে। কিন্তু ভেতরে ও ফুটপাথ অল্প কিছু চেয়ারের ব্যাবস্থা করা আছে। খাবার অর্ডার দেওয়ার পর দশ মিনিট মতো অপেক্ষা করতে হবে। কিন্তু ওই যে একটা কথা আছে— ‘কষ্ট করলেই কেষ্ট মেলে’। এখানে মাস্ট ট্রাইের মধ্যে অবশ্যই মাছের কচুরি। এছাড়াও ফিশ বাটার ফ্রাই আর চিকেন কুড়কুড়ে বাইট (ওরফে, চিকেন নাগেটস্) চেখে দেখতে পারেন।
আরও পড়ুন:

আলোকের ঝর্ণাধারায়, পর্ব-২৬: বৃন্দাবনে জননী সারদা

সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-২৯: সুন্দরবনের জনপ্রিয়তম পীর—পীর গোরাচাঁদ

খাবারের দাম ভীষণই পকেট ফ্রেন্ডলি। গড়খরচা ওই চল্লিশ থেকে পঞ্চাশের মধ্যে। দুজন মিলে খেতে হলে দেড়শো থেকে দুশো টাকার মধ্যে হয়ে যাওয়ার কথা। এছাড়াও সুইগি আর জোমাটো থেকে ডেলিভারির সুবিধা আছে। তাহলে চলুন, নতুন বছরে শীতের বিকেলে একটু নতুন কিছু ট্রাই করাই যাক!
* কলকাতার পথ-হেঁশেল (kolkata-street-foods): শ্রুতিদীপ মজুমদার, (Shrutideep Majumder) ভোজনরসিক।

Skip to content