রামবাবুর মেনু।
লেক মলে সাড়ে-তিন ঘণ্টার সিনেমা দেখার পর বেশ খিদে পেয়েছিল। তবে ফুড কোর্টের কোনও দোকানে যাইনি আমরা। গেলাম লেক মলের ঠিক পাশের গলিতে—রাধুবাবুর দোকানে।
মেনু খুব বড় নয়। আর খাবারের তালিকায়ে র্যা ডক্লিফের মতো পার্টিশান করে দু-ভাগ করা আছে—‘মর্নিং আইটেমস’ আর ‘ইভনিং আইটেমস’। সকালে খোলা থাকে ছয়টা থেকে দশটা অবধি। সন্ধেবেলায় দোকান খোলে চারটের দিকে, খোলা থাকে দশটা অবধি।
আরও পড়ুন:
কলকাতার পথ-হেঁশেল, পর্ব-১১: আমার নাম, তোমার নাম— তুং নাম, তুং নাম!
পঞ্চমে মেলোডি, পর্ব-৩৫: তেরে লিয়ে পলকো কি ঝালর…
পার্টিশানের আগের দোকান তো, তাই মেনুর পার্টিশান করে খুব একটা লাভ হয়নি। সকালের চা বিস্কুট বাটার টোস্টের সঙ্গে আপনি ‘ইভনিং আইটেমস’ থেকে চপ-কাটলেট খেতেই পারেন। আরও বেশ কিছু আইটেম আছে, যেমন মটন কোরমা, চিকেন কোরমা, ফিশ কবিরাজি, ফিশ ফিঙ্গার, চিকেন স্ট্যু, মাটন স্ট্যু, প্রন কাটলেট ইত্যাদি। তা, ‘ফিশ-ইটিং’ বাঙালি মাছ খাবে না, তা কি হয়? নিয়ে নিলাম এক প্লেট ফিশ ফিঙ্গার আর একটা ফিশ কবিরাজি, সঙ্গে এক কাপ করে চা আর একটা করে বাটার টোস্ট। তিন বন্ধু মিলে কিন্তু জম্পেশ আড্ডা আর খাওয়া হল!
আরও পড়ুন:
এগুলো কিন্তু ঠিক নয়, পর্ব-৪৩: এক্সপায়ারি ডেটের ওষুধ খাবেন?
হুঁকোমুখোর চিত্রকলা, পর্ব-২১: আমার চোখে তো সকলই শোভন
দোকানের খাবারের দামের দিকে তাকালে মোটেই চক্ষু ছানাবড়া হবে না। সব আইটেমই চল্লিশ থেকে আশির ঘরে ঘোরাফেরা করে। দু’জন মিলে খেতে হলে দুশো টাকা যথেষ্ট। সার্ভিস বেশ ভালো, ক্যাশ আর অনলাইন—দু’-রকম ভাবেই পেমেন্ট করতে পারেন। তাহলে পরের বার থেকে লেক মলে সিনেমা দেখার পর পর একটু রাধু বাবুর দোকানে ঢুঁ মেরে যাবেন। জিরো ডিস্যাপয়েন্টমেন্ট গ্যারান্টিড!
* কলকাতার পথ-হেঁশেল (kolkata-street-foods): শ্রুতিদীপ মজুমদার, (Shrutideep Majumder) ভোজনরসিক।