যোধপুর পার্কে ক্যাফে বা রেস্তরাঁর অভাব নেই। কিন্তু, একটু কম পরিচিত ক্যাফের খোঁজ করলে কেমন হয়?
এই ভাবনায় ‘মিসেস উইলসন’-এ হাজির হওয়া গেল। সাউথ সিটি মলের ঠিক উল্টো দিকের রাস্তায় লিডারল্যান্ডের পাশের গলিটি ধরে সোজা হেঁটে গেলে বড়জোর মিনিট দশেকের পথ। এখানে একটি পুরোনো বাড়িকে একটি ছোট ক্যাফে এবং বস্ত্র বিপণির রূপ দেওয়া হয়েছে।
এই ভাবনায় ‘মিসেস উইলসন’-এ হাজির হওয়া গেল। সাউথ সিটি মলের ঠিক উল্টো দিকের রাস্তায় লিডারল্যান্ডের পাশের গলিটি ধরে সোজা হেঁটে গেলে বড়জোর মিনিট দশেকের পথ। এখানে একটি পুরোনো বাড়িকে একটি ছোট ক্যাফে এবং বস্ত্র বিপণির রূপ দেওয়া হয়েছে।
‘মিসেস উইলসন’-এর কিছু বৈশিষ্ট্য আছে। প্রতি সপ্তাহেই এখানে কয়েকটি ছোট্ট দোকান বসে। মূলত বর্তমান সময়ের রুচি-পছন্দসই বিচিত্র বস্তুর তৈরি গয়নাগাঁটি, চিত্রকলা, গৃহসাজের উপকরণ এবং টুকটাক খাবার, যেমন— প্যাস্ট্রি, প্যাটিস ইত্যাদির পশরা বসে। এ সবই অবশ্য স্থানীয় মানুষজনের ব্যবসাপত্র।
আরও পড়ুন:
কলকাতার পথ-হেঁশেল, পর্ব-১২: তেত্রিশের ঐতিহ্য
পরিযায়ী মন, পর্ব-১৩: টাকির ভাসানের ব্যথা
পশুপ্রেমীদের জন্য এই ক্যাফেটির আর একটি বিশেষ আকর্ষণ হল,এখানে চারটি বিড়াল আনন্দে বিচরণশীল! দোকান বা খাওয়ার ঘর থেকে এদের উৎখাত করার ক্ষমতা স্বয়ং ‘র্যা ডক্লিফ’বাবুরও নেই!
আর একটি স্মৃতিকাড়া বিষয় হল, এখানে প্রচুর ক্যাসেট আছে। বব ডিলান, ডায়মন্ড, পিট সিগার বা ব্রায়ান অ্যাডামস যে কাউকে শুনতে পারেন নিজের ফেলে আসা দিনের ঘ্রাণ নিতে ইচ্ছুক হলে। খাবারের তালিকা অবশ্য তেমন দীর্ঘ কিছু নয়। কিন্তু, স্যান্ডউইচ, পাস্তা, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই আর সঙ্গেই চা, কফি, মিল্কশেক এবং অন্যান্য ঠান্ডা পানীয়ের ব্যবস্থা আছে।
আরও পড়ুন:
এগুলো কিন্তু ঠিক নয়, পর্ব-৪৪: পানমশলা খেলে ক্যানসার হয়?
ক্যাবলাদের ছোটবেলা, পর্ব-২২: এদিক ওদিক বেড়ায় তবু ভুলের পাড়া বেড়ায় না
সকাল সাড়ে এগারোটার থেকে রাত দশটা অবধি খোলা থাকে মিসেস উইলসন ক্যাফে।পাস্তা আর স্যান্ডউইচের স্বাদ বেশ ভালো তো বটেই, কফি প্রেমিকদের জন্যেও রয়েছে রকমারি অপশন। খাবারের দাম দুশো থেকে তিনশোর মধ্যে। পানীয়ের দাম সত্তর থেকে দেড়শোর মতো। সবকিছু দেখে শুনে বোঝা গেল মোটামুটি পাঁচশো টাকা মতো পকেটে থাকলে দুজনে মিলে জমিয়ে খাওয়াই যায়।
কলকাতার পথ-হেঁশেল (kolkata-street-foods): শ্রুতিদীপ মজুমদার, (Shrutideep Majumder) ভোজনরসিক।