মিষ্টির শহর কলকাতা। তা ভালো মিষ্টি নিয়ে কথা না বললে হয়? চলুন তবে!
নেতাজি ভবন মেট্রো স্টেশনের দু’ নম্বর গেট দিয়ে বেরয়ে উল্টোদিকের ফুটপাথে গেলেই দেখতে পাবেন গিরীশচন্দ্র দে অ্যান্ড কোম্পানি। আদ্যিকালের দোকান। দেখলেই মনে হবে মিষ্টি না খেয়ে আগে দুটো ছবি তুলে নিই। এই করতে গিয়ে হঠাৎ চোখে পড়ে যাবে একটা মিষ্টির হার্ড বক্সের ওপর লেখা একটি লাইন— ‘Inventor of Karapak Sandesh’.
নেতাজি ভবন মেট্রো স্টেশনের দু’ নম্বর গেট দিয়ে বেরয়ে উল্টোদিকের ফুটপাথে গেলেই দেখতে পাবেন গিরীশচন্দ্র দে অ্যান্ড কোম্পানি। আদ্যিকালের দোকান। দেখলেই মনে হবে মিষ্টি না খেয়ে আগে দুটো ছবি তুলে নিই। এই করতে গিয়ে হঠাৎ চোখে পড়ে যাবে একটা মিষ্টির হার্ড বক্সের ওপর লেখা একটি লাইন— ‘Inventor of Karapak Sandesh’.
মূলত কড়াপাক সন্দেশের উৎস হিসেবে বিখ্যাত হলেও, নরম পাক সন্দেশও পাওয়া যায় গিরীশচন্দ্র দে অ্যান্ড কোম্পানিতে। রসগোল্লা, পান্তুয়া আর দু-একটা মিষ্টি বাদে সবই এখানে সন্দেশ। নরম পাক আর কড়া পাক দুই রকম। দামের ভ্যারাইটি আছে—দশ টাকা, পনেরো টাকা, পঁচিশ টাকা। তালশাঁসটা কিন্তু এখানে মাস্ট ট্রাই। এছাড়াও অন্যান্য মিষ্টির দোকানগুলির মতো, এখানে পনিরও পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন:
কলকাতার পথ-হেঁশেল, পর্ব-২৯: বাউন্ডুলে ক্যাফে!
ধীরে ধীরে মুখে রোমের আধিক্য বেড়েছে? পিসিওএস-এ আক্রান্ত নন তো? বুঝবেন কী করে?
একটা প্লাস পয়েন্ট, হাত ধোওয়ার বেসিন আছে ভেতরে। কিন্তু প্লাস পয়েন্টের সাথে মাইনাস পয়েন্টও রয়েছে—অনলাইন পেমেন্টের কোনও ব্যবস্থা নেই। শুধুই নগদ টাকায় বিক্রির ব্যবস্থা। আচ্ছা, এবারে দোকানের টাইমিং-এ আসা যাক; সকাল সাতটায় খোলে গিরীশচন্দ্র দে অ্যান্ড কোম্পানি, রাত দশটার আগে পৌঁছে যেতে হবে আপনাকে। রোজই খোলা থাকে দোকান।
পরের বার নেতাজির বাড়ি দেখতে এলে এই আরেক ঐতিহ্যবাহী বিপণিটি ঘুরে যাবেন কিন্তু!
পরের বার নেতাজির বাড়ি দেখতে এলে এই আরেক ঐতিহ্যবাহী বিপণিটি ঘুরে যাবেন কিন্তু!
* কলকাতার পথ-হেঁশেল (kolkata-street-foods): শ্রুতিদীপ মজুমদার, (Shrutideep Majumder) ভোজনরসিক।