টানা ক্লাস করার পর মাথা ধরা অবস্থায় হেলতে দুলতে এসে বসা শ্যামল দা’র দোকানে। ঠিকঠাক বলতে গেলে ‘একটু হোক-ফোক’-এ। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪ নম্বর গেটের একটু আগে ফুটপাথের ওপর এই দোকান। সকাল সকাল দোকানের উনুনে আঁচ ধরাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন শ্যামলদা ও তাঁর স্ত্রী। একটু দুপুর হলেই উপচে পড়ে বিশ্ববিদ্যালয়-পড়ুয়াদের ভিড়।
‘একটু হোক-ফোক’-এর আড্ডায় প্রধান আকর্ষণ হল শ্যামলদার চা। ছোট কাপ, বড় কাপ বা ছোট ভাঁড় ছাড়াও ১০০ গ্রাম এর দইয়ের ভাঁড়েও পাওয়া যায় চা। চায়ের সঙ্গে বিস্কুট, কেক, গজা, নিমকি, ইত্যাদির ব্যবস্থাও রয়েছে। কাঠের কাউন্টারে সব্জি কাটা, প্লেটিং ও টুকটাক কাজে সদাব্যস্ত শ্যামলদা, বৌদি আর তাদের ছেলে। গরম পড়লে ‘একটু হোক-ফোকে’ পাওয়া যায় লস্যি ও আম-পোড়ার সরবত। আর যেটার জন্য লোকে ভিড় করে বসে থাকে, তা হল ‘একটু হোক-ফোক’-এর ম্যাগি ও ডিম পোচ/অমলেট। এছাড়াও ওয়াই-ওয়াই নুডলস আর সেঁকা পাউরুটিও পাওয়া যায়, আর পাওয়া যায় বাটার টোস্ট।
আরও পড়ুন:
কলকাতার পথ-হেঁশেল, পর্ব-১৩: উইলসন-এ-কথা
বাঙালির মৎস্যপুরাণ, পর্ব-৮০: পয়লা মাঘে সরস্বতী নদীর পাড়ে ৫০০ বছরের জমজমাট মাছ মেলা কখনও দেখেছেন?
চায়ের দাম শুরু সাত টাকা থেকে। সবচেয়ে বড় ভাঁড়ে চা খেতে হলে লাগবে পঁয়ত্রিশ টাকা। ম্যাগির দাম শুরু চল্লিশ টাকা থেকে। বাটার বা পোচ দিয়ে খেলে লাগবে আরো দশ টাকা। দু-পিস টোস্ট এর দাম কুড়ি টাকা, পোচের দাম কুড়ি, আর তা ছাড়া নিমকি, বিস্কুট, ক্রিম রোল ইত্যাদি তো রয়েইছে।
আরও পড়ুন:
পরিযায়ী মন, পর্ব-১৪: কুর্গের সবুজ দুর্গ
লাইট সাউন্ড ক্যামেরা অ্যাকশন, পর্ব-৮: ইতালিয়ান নিওরিয়ালিজম এবং ডি সিকার বাইসাইকেল থিভস
সাধারণত, ‘একটু হোক-ফোক’ দুপুর ১২টা থেকে রাত ১০.৩০ অবধি খোলা থাকে। আর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘সংস্কৃতি’ ফেস্ট যখন হয়, তখন যতক্ষণ না ফেস্টের সব পারফরমেন্স শেষ হচ্ছে ‘একটু হোক-ফোক’ বিন্দাস খোলা।
তাই, চা-break হোক বা স্নাক্স-break, ‘একটু হোক-ফোক’ সবেতেই আছে।
তাই, চা-break হোক বা স্নাক্স-break, ‘একটু হোক-ফোক’ সবেতেই আছে।
কলকাতার পথ-হেঁশেল (kolkata-street-foods): শ্রুতিদীপ মজুমদার, (Shrutideep Majumder) ভোজনরসিক।