যাদবপুর এইট বি-র কাছে অবস্থিত আরেক রেস্তরাঁয় চলে এসেছি আমরা আজ। নাম ‘চায়না গ্রিন’ (China Green)। নাম শুনেই বুঝতে পারছেন যে, চাইনিজ খাবারের আড্ডা এই চায়না গ্রিন। তবে চাইনিজ বাদে তিব্বতি এবং থাই পদও পাওয়া যায় এখানে। ছোট দোকান —মোটামুটি পনেরো জনের বসার মতো জায়গা রয়েছে। তবে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ডাইনিং স্পেস।
বিশাল মেনু। তার ভেতরে ইঙ্কি পিঙ্কি পঙ্কি করে একটা আইটেম চেখে নিতেই পারেন। যদি সেফ সাইডে থাকতে চান, ওদের কিছু কম্বো অফার চলে। সেগুলোও মন্দ নয়। মোমো কম্বো বা রাইস অথবা চাউমিনের সঙ্গে ভেজ বা নন-ভেজ সাইড ডিশের কম্বো ট্রাই করতে পারেন। উল্লেখযোগ্য পদগুলির মধ্যে রয়েছে— গ্রেভি ক্যান্টনিজ নুডলস, চপসুই এবং ঝোল মোমো। সাইড ডিশের মধ্যে চিকেন ইন বার্বিকিউ সস, প্রন ইন ওয়েস্টার সস আর চিলি ফিশ খেয়ে দেখতে পারেন। পানীয়ের মধ্যে কোল্ড ড্রিঙ্কসও মজুত আছে। নিরামিষ পদও রয়েছে। যেমন ক্রিস্পি চিলি বেবি কর্ণ, ক্রিস্পি চিলি মাশরুম, মাশরুম ৬৫, পনির ৬৫ ইত্যাদি।
আরও পড়ুন:
কলকাতার পথ-হেঁশেল, পর্ব-২৪: এইচএফসি!
উত্তম কথাচিত্র, পর্ব-৬১: ‘বন্ধু’ তোমার পথের সাথী
খাবারের জন্যে একটু অপেক্ষা করতে হবে বৈকি। অর্ডার দেওয়ার পর প্রায় পনেরো মিনিট মতো অপেক্ষা করতে হয়। তবে সার্ভিস খুবই ভালো। স্টাফদের ব্যবহারও ভালো। এছাড়া খাবারের কোয়ালিটি যা, দশ-পনেরো মিনিট অপেক্ষা করাই যায়। সুইগি বা জোম্যাটো তে মজুত চায়না গ্রিনের তালিকা। অনলাইন অর্ডার করতেই পারেন। দু’জনের মনপসন্দ অথচ পেট ভরে খাওয়ার জন্য আড়াইশো থেকে তিনশো টাকা খরচই যথেষ্ট।
ঝটিতি স্নাক্স খাওয়া হোক বা লাঞ্চ-ডিনার, চায়না গ্রিন evergreen!
ঝটিতি স্নাক্স খাওয়া হোক বা লাঞ্চ-ডিনার, চায়না গ্রিন evergreen!
* কলকাতার পথ-হেঁশেল (kolkata-street-foods): শ্রুতিদীপ মজুমদার, (Shrutideep Majumder) ভোজনরসিক।