ডালহাউসি চত্বরে ঘুরতে-ঘুরতে এসে ঠেকলাম ব্যাঙ্কশাল কোর্টের কাছে। তার কাছেই অবস্থিত বিখ্যাত বিনোদবিহারী নাগ গণেশচন্দ্র দত্তের খাবারের দোকান। জনা-কুড়ি লোক বসার জায়গা রয়েছে। হরেক রকমের মিষ্টি পাওয়া গেলেও, এদের এখানে মাস্ট ট্রাই কচুরি আড় লুচি। কড়াইশুঁটির কচুরি বা লুচির সঙ্গে রয়েছে তিন রকম তরকারি নেওয়ার অপশান— মুগ ডাল, ছোলার ডাল আর আলুর দম। এছারাও পাওয়া যায় চপ, শিঙাড়া, খাস্তা কচুরি, ইত্যাদি। এদের সিঙ্গারার পুরে কিন্তু শুধু আলু নয়, ফুলকপিও থাকে।
আমরা নিয়েছিলাম এক প্লেট করে কচুরি আর ছোলার ডাল। দাম ঠিকঠাক। কচুরির দাম তেরো টাকা পিস। লুচির দাম দশ। ভেজ চপ বা সিঙ্গারা খেতে হলে লাগবে দশ টাকা। আলুর দম পিস প্রতি চার টাকা, আর খাস্তা কচুরি সাইজ অনুযায়ী পনেরো বা কুড়ি। মিষ্টির মধ্যে রয়েছে প্রচুর অপশন। তার মধ্যে মাস্ট ট্রাই হল এদের জলভরা। এছাড়াও রসগোল্লা, পানতুয়া, এবং অন্যান্য সন্দেশ (যেমন ক্ষীরকদম) রয়েছে চেখে দেখার জন্য।
আরও পড়ুন:
কলকাতার পথ-হেঁশেল, পর্ব-২৬: আদি অনাদি
এই দেশ এই মাটি, পর্ব-৩৬: সুন্দরবনের নদীবাঁধের হাল হকিকত
এখানে বাল্ক অর্ডারও করতে পারেন। অফিস পাড়াতে অবস্থিত বলে বেশ অনেক সরকারি অফিসে বিনোদবিহারী নাগ গণেশচন্দ্র দত্তের খাবারের চল আছে। উকিল থেকে ক্লার্ক, বিনোদবিহারী নাগ গণেশচন্দ্র দত্তের ঘরে সবার আনাগোনা। একটা কথা মাথায় রাখবেন যদিও, এখানে অনলাইন পেমেন্টের কোন ব্যাবস্থা নেই —শুধুই ক্যাশ। সকালের ব্রেকফাস্ট হোক আর বিকেলের স্ন্যাক্স, বিনোদবিহারী নাগ গণেশচন্দ্র দত্ত কিন্তু অল টাইম ফেভারিট!
প্রতি মুহূর্তে ঘটে যাওয়া খবরাখবর ও শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ফ্যাশন, লাইফস্টাইল, সাজগোজ, গল্প, উপন্যাস, বিনোদন, বেড়ানো, খাওয়া-দাওয়া, দেশ-বিদেশের হালহকিকত প্রভৃতি বিষয়ে বিশেষজ্ঞের বিশেষ কলম পড়তে চোখ রাখুন সময় আপডেটস -এর পাতার বিভিন্ন বিভাগে। প্রতি ক্লিকেই মন ভালো করা প্রতিবেদন সাজানো রয়েছে। চলতে থাকুন সময়ের সঙ্গে — সময়, অসময়ে, সবসময়ে ।