অনাদি কেবিনের লোভনীয় মেনু।
আজ এসেছি এসপ্লানেড মেট্রো স্টেশনের কাছে অনাদি কেবিন। দোকানের বয়স একশো বছর পার। কলকাতার ঐতিহ্যপূর্ণ প্রসিদ্ধ খাওয়ার দোকানের মধ্যে অন্যতম হল অনাদি কেবিন। ধর্মতলার দিকে থাকলে একবার ঢুঁ মেরেই দেখতে পারেন। অনাদি কেবিন বেশ ছোট। মোটামুটিভাবে জনা কুড়ি লোক একসময়ে বসতে পারবে। দোকানের মাঝে একটা বড় কড়াই, এবং তাতে এক রাঁধুনি রেঁধে চলেছেন মোগলাই পরোটা। প্রতি মিনিটে প্রায় পাঁচ থেকে ছয় পিস মোগলাই বানাচ্ছেন সেই রাঁধুনি।
তা, অনাদির প্রসিদ্ধ কেবিনের প্রসিদ্ধ মোগলাই পরোটা না খেলে চলে? হাঁসের ডিমের মোগলাই আর কটা দোকান বানায়? সঙ্গে মাটন কষা খাওয়ার প্রবল ইচ্ছে থাকলেও, স্টক শেষ বলে জানালেন দোকানের এক কর্মচারী। চিকেন কষাও শেষ। এমনকি কাটলেট আর কবিরাজিও! শুধু আলুর তরকারি আর পেঁয়াজ দিয়েই খেতে হল মোগলাই। অবশ্য বেশ দেরি করেই গিয়েছিলাম খেতে। তাই এরকম পরিস্থিতির সম্মুখীন হলাম। আপনারা এই ভুলটা করবেন না যেন!
আরও পড়ুন:
কলকাতার পথ-হেঁশেল, পর্ব-২৫: এভারগ্রিন—চায়না গ্রিন
উত্তম কথাচিত্র, পর্ব-৬১: ‘বন্ধু’ তোমার পথের সাথী
একটা বিশেষ কথা মনে রাখার, এখানে কিন্তু গুগল পে বা কার্ড, কোনটাই চলেনা। দোকানের সর্বত্র লেখা আছে, ‘Only cash accepted’। বেশ দ্রুত সার্ভিস। দামের দিক থেকে বলতে গেলে, সাধ্যের মধ্যে অনাদি কেবিন। দু’ জনের খাওয়ার জন্যে আড়াইশো থেকে তিনশোটাকাই যথেষ্ট।
তবে?
হ্যাঁ, মধ্য কলকাতা ভ্রমণে বেরোলে অতি অবশ্যই অনাদি কেবিনকে লিস্টে রাখতে হবে।
তবে?
হ্যাঁ, মধ্য কলকাতা ভ্রমণে বেরোলে অতি অবশ্যই অনাদি কেবিনকে লিস্টে রাখতে হবে।
* কলকাতার পথ-হেঁশেল (kolkata-street-foods): শ্রুতিদীপ মজুমদার, (Shrutideep Majumder) ভোজনরসিক।