সোমবার ৮ জুলাই, ২০২৪


শোভাবাজার মেট্রো স্টেশন থেকে বেরিয়ে পেট্রোল পাম্পের ঠিক উল্টোদিকে অটো স্ট্যান্ডের পাশে, মড়ের মাথায়ে অবস্থিত ছোট্ট একটি দোকান। বিশাল একটা ছাতা মাথায় ফুটপাত ঘেঁষেই বেড়ে উঠেছে এই দোকান। কীসের? ভুট্টা!
দোকানের বিক্রয় জিনিসের নামেই রাখা দোকানের নাম—সুইট কর্ণ স্টল। ছোট্ট দোকান, তাই মেনুও ছোট। আছে মটে চারটে আইটেম—সবই ভুট্টা। তালিকার মধ্যে রয়েছে স্টিম বাটার সুইট কর্ণ, বাটার মেওনিজ সুইট কর্ণ, মশলা ম্যাঙ্গো সুইট কর্ণ আর বাটার ফ্রাইড সুইট কর্ণ।
আরও পড়ুন:

কলকাতার পথ-হেঁশেল, পর্ব-৬: অ্যালেন, দেখলেন, খেলেন

পালকিতে যেতে যেতে লেখা হয়েছিল ‘বর্ণপরিচয়’

দু’ রকম সাইজের কাপে পাওয়া যাবে—মাঝারি আর বড়। দাম শুরু তিরিশ থেকে, দৌড়য় আশি অবধি। এই সুইট কর্ণ খাওয়ার জন্য বিশাল ভিড়ও হয়। না এমন কিছু আহামরি ব্যাপার নেই এই সুইট কর্ণে। কিন্তু রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতেঁ চামচ দিয়ে কাপ থেকে গরম গরম লেবু চেপা ভুট্টা খেতে মন্দ লাগে না।
আরও পড়ুন:

পরিযায়ী মন, পর্ব-৭: ভিস্তা ডোমে তিস্তার দেশে

অমর শিল্পী তুমি, পর্ব-৮: আমি শুনি গো শুনি তোমারে…

পরিমাণে কিন্তু কোনওরকম কঞ্জুসি নেই। মশলা, মেওনিজ বা বাটারের পরিমাণও একদম পারফেক্ট। আর হ্যাঁ, যাদের মাছ-মাংশ বা পেয়াজ-রসুনের ছোঁয়া লাগলে খাওয়ার অসুবিধে থাকে, তাদের এখানে কোনও চিন্তা নেই। শোভাবাজারের সুইট কর্ণ স্টল একদম ‘পিওর ভেজ’ দোকান।
আরও পড়ুন:

প্রথম আলো, পর্ব-৭: বিশ্বে মার্শাল আর্ট কোথায় প্রথম শুরু হয়েছিল?

পঞ্চমে মেলোডি, পর্ব-৩০: আ দেখে জারা কিসমে কিতনা হ্যায় দম… এই গানে পঞ্চমের বাজি ছিলেন কিশোর ও আশা

সুইট কর্ণ স্টল ওই বিকেল-সন্ধ্যা নাগাদ খোলে। শোভাবাজার মেট্রো স্টেশনের এক নম্বর গেটের ঠিক মুখেই দাঁড়িয়ে এই দোকান। তাই লোকেশান বুঝতে খুব একটা অসুবিধে হওয়ার কথা নয়। —চলবে।
* কলকাতার পথ-হেঁশেল (kolkata-street-foods): শ্রুতিদীপ মজুমদার, (Shrutideep Majumder) ভোজনরসিক।

Skip to content