সোমবার ৮ জুলাই, ২০২৪


এই সেই লোভনীয় পদ।

বেলগাছিয়া মেট্রো থেকে বেরিয়ে উত্তর কলকাতার অলিগলিতে পায়চারি করতে করতে হাঁফিয়ে যেতেই একটু বিশ্রাম নেব বলে এক গলির মুখে রোয়াকে এসে বসলাম। কিন্তু বাঙালির বিশ্রাম কি আর শুধু শুয়ে-বসে মেটে? সঙ্গে কিছু ভাজা-ভুজি চাই বটে!
 

বড়ুয়া অ্যান্ড দে ফাস্ট ফুড সেন্টারে কেন যাবেন?

তা, উত্তর কলকাতায় খাবারের দোকানের তো কোনও অভাব নেই। চপ-কাটলেট-চাউমিন-মিষ্টি মিলে এক বিশাল গ্যাস্ট্রোনমিক্যল ব্যাপার। সে যাইহোক, আজ এক নতুন পদের ওপর চোখ পড়ল আমার। ৮৯ বছরের পুরোনো ‘বড়ুয়া অ্যান্ড দে ফাস্ট ফুড সেন্টার’-এ চলে এলাম মটন প্যান্থেরাস খেতে। রান্না করার ধরন দেখে মটন কাটলেট বলে ভুল করাটা খুব একটা অস্বাভাবিক কিছু না। আমারও প্রথমবার দেখে তাই মনে হয়েছিল। কিন্তু দোকানদারের কথা হল—“না খেয়ে দেখলে বুঝবেন না কেমন জিনিস!”

আরও পড়ুন:

কলকাতার পথ-হেঁশেল: যাদবপুর—যদুকুল ও চপস্টিকস

হুঁকোমুখোর চিত্রকলা, পর্ব-১১: মশ্যা রে তুঁহু মম শ্যাম-সমান

 

কী কী চেখে দেখতে পারবেন?

উত্তর কলকাতার বাবুদের মনপসন্দ আইটেম বলে কথা। সেই উপাদেয় এক সাবঅলটার্নের চেখে দেখার সৌভাগ্য হচ্ছে, এ সুযোগ কেউ হাতছাড়া করে? তা কথা মিলল বটে। কিমা করা মটন আর তার সঙ্গে পেঁয়াজ ও কাসুন্দি। যাকে বলে গিয়ে জমে ক্ষীর! তবে এছাড়াও এখানে পাওয়া যায় ফিশ ফ্রাই, মটন কাটলেট, চিকেন কাটলেট, ফিস ফিংগার, ফিস রোল ইত্যাদি।

আরও পড়ুন:

ক্লাসরুম: আমার জীবনের সেরা উপহার, উচ্চমাধ্যমিকের রেজাল্ট শুনে মায়ের সেই তৃপ্তির হাসি

গল্পকথায় ঠাকুরবাড়ি, পর্ব-৭২: রবীন্দ্রনাথ প্রয়োজনে কঠোর হতেও পারতেন

 

ফিশ ফিংগার বা ফিশ রোল খেতে হলে মাথায় রাখুন

অবশ্য ফিশ ফিংগার বা ফিশ রোল খেতে হলে শনিবার বা রোব্বার আসতে হবে। ও হ্যাঁ, এই পান্থেরাস বস্তুটি মটন বাদে চিকেনের পুর দিয়েও পাওয়া যায়। কিন্তু, পান্থেরাস খেতে হলে একটু আগে ভাগে যাওয়াই ভালো। ঝড়ের গতিতে শেষ হয়ে যায় এই আইটেম। সল্টলেক থেকে বেহালা, দিকবিদিকের লোক আসে এঁদের এই পান্থেরাস চেখে দেখবার জন্যে। খাবারের দাম মোটামুটি ৫০ থেকে ১০০-র মধ্যে৷

আরও পড়ুন:

মন্দিরময় উত্তরবঙ্গ, পর্ব-৩: কোচ কামতেশ্বরী মন্দিরের স্থাপত্য এক অনন্যসাধারণ মিশ্রশৈলীর উদাহরণ

অমর শিল্পী তুমি, পর্ব-৩: অভিনয় নয়, কিশোর মনে-প্রাণে একজন গায়ক হিসেবেই আত্মপ্রকাশ করতে চেয়েছিলেন

 

কতক্ষণ খোলা?

একটা কথা, বিকেল ৫.৩০টার আগে গিয়ে হাজির হবেন না যেন, আবার রাত ৮.৩০টার পরেও না। হ্যাঁ, ঠিক তিন ঘণ্টা। সময় আপনার শত্রু বটে এই ক্ষেত্রে। কিন্তু এরকম অনন্য এক পদের জন্যে এইটুকু তো করাই যায়, তাই না? কী বলেন?

ঠিকানা: ১৬/১বি, গৌরীমাতা সরণি, বেলগাছিয়া, কলকাতা-৭০০০০৪

* কলকাতার পথ-হেঁশেল (kolkata-street-foods): শ্রুতিদীপ মজুমদার, (Shrutideep Majumder) ভোজনরসিক।

আপনার রায়

ইসরোর চন্দ্রযান-৩ কি তৃতীয় বারের এই অভিযানে সাফল্যের স্বাদ পাবে?

Skip to content