পুজোর আগে কুমোরটুলি যাওয়ার পরিকল্পনার সঙ্গে সঙ্গে বন্ধুরা মিলে অ্যালেন কিচেনে একটু পেটপুজো করার সিদ্ধান্তও নিয়েছিলাম। অতএব, বিকেল পাঁচটার সময় তিন মূর্তিমান হাজির অ্যালেন কিচেনের সামনে। কিন্তু ছোট জায়গা বলে মিনিট পনেরো অপেক্ষা করতে হল ঠিকই। সে যাইহোক, সেঞ্চুরি পার করা এই প্রতিষ্ঠানে ঢুকলাম অবশেষে। এবার খাওয়ার পালা।
অ্যালেন কিচেনের অতি-চর্চিত ও অতি জনপ্রিয় পদ, প্রন কাটলেট আমাদের লিস্টে ছিলই। এর সঙ্গে নিলাম মটনের পুর দেওয়া ডিমের ডেভিল আর ফিশ ব্যাটার ফ্রাই। মজার ব্যাপার হল, এখানে কিছু স্পেশাল আইটেম রাঁধুনিরা দেশি ঘিতে ভাজেন। প্রন কাটলেট আর ফিশ ব্যাটার ফ্রাইও এই তালিকার মধ্যে পড়ে। মেনু লিস্টে এছাড়াও প্রচুর সুস্বাদু পদ আছে। যেমন ফিস কাটলেট, ফিশ পকোড়া, চিকেন পকোড়া, ফিশ চপ, ফিশ ফ্রাই, ফিশ রোল, চিকেন কাটলেট, চিকেন চপ, চিকেন কবিরাজি, মটন কবিরাজি, প্রন কবিরাজিট।
আরও পড়ুন:
কলকাতার পথ-হেঁশেল, পর্ব-৫: ‘আপনজন’ Chronicles
হুঁকোমুখোর চিত্রকলা, পর্ব-১৫: আর যাহা খায় লোকে স্বদেশে ও বিদেশে / খুঁজে পেতে আনি খেতে-নয় বড় সিধে সে!…
এখানেই শেষ নয়, আরও দুটি লোভনীয় স্পেশাল আইটেম আছে। কী কী? চিকেন স্টেক আর মটন স্টেক। আর হ্যাঁ, এই দুটোও ঘিয়ে ভাজা বটে। আরেকটা দারুণ ব্যাপার হল, এদের পরিছন্নতা। তেল থেকে শুরু করে, গ্লাভস, মাথায় ক্যাপ, প্যাকিং—সবই একদম টিপ-টপ। দামের দিক থেকেও খুব একটা কিছু আহামরি ব্যাপার নেই। খাবারের দাম শুরু পঞ্চাশ টাকা থেকে। আর সবচেয়ে দামি আইটেমটিও তিনশোর দাগ পেরোয় না।
আরও পড়ুন:
ইতিহাস কথা কও, কোচবিহারের রাজকাহিনি, পর্ব-১১: দেব-দেউল কথা ও মদনমোহন মন্দির
এই দেশ এই মাটি, সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-১৪: সুন্দরবনের মৎস্যদেবতা মাকাল
পায়ে হেঁটে না যেতে চাইলে জোম্যাটো বা অন্য কোনও ডেলিভারি অ্যাপ দিয়েও বাড়ি এনে নিতে পারেন। কিন্তু এই ঐতিহ্যপূর্ণ কেবিন রেস্তরাঁতে বসে খাওয়ার মজাটাই আলাদা। দোকান খোলে সাড়ে চারটে নাগাদ। আর বন্ধ হয় ন’টার দিকে। একটা বিষয় অবশ্য মাথায় রাখা দরকার, প্রন কবিরাজি বা প্রন কাটলেট খেতে হলে একটু আগে ভাগে আশাই ভালো। হট ফেভারিট বলে কথা!
* কলকাতার পথ-হেঁশেল (kolkata-street-foods): শ্রুতিদীপ মজুমদার, (Shrutideep Majumder) ভোজনরসিক।