সোমবার ৮ জুলাই, ২০২৪


আপনজনের লোভনীয় খাবার। ছবি: লেখক।

কলেজের ক্লাস শেষ করে বন্ধুরা মিলে হাজরায় টহল দিচ্ছিলাম। হঠাৎই বৃষ্টি শুরু। ছাতা নেই কারও কাছে। অগত্যা রাস্তার ধারে ফুটপাথে শেডের তলায় আশ্রয় নিলাম চার বন্ধু। পনেরো মিনিট দাঁড়িয়ে আছি, বৃষ্টি থামার কোনও আশা পাওয়া যাচ্ছে না। এ দিকে খিদেও পেয়েছে বেশ। বৃষ্টির জন্যে কোথাও যাওয়াও যাচ্ছে না।
কিন্তু, এ কী?
দুটো বাড়ির পরে কি যেন একটা দেখতে পাচ্ছি মনে হল। একটু এগোতেই দেখলাম দেওয়ালে একটা আউটলেট—খাবারের। নাম, আপনজন। আপনজন-এর কথা নতুন করে বলার নয়। দক্ষিণ কলকাতার অন্যতম চর্চিত ভাজা-ভুজির দোকান এই আপনজন। চল্লিশ বছর পেরনো এই দোকানের খাবারের গুণগান করার বিশেষ দরকার বলে মনে হয় না।
আরও পড়ুন:

কলকাতার পথ-হেঁশেল, পর্ব-৪: হাজরা মোড়ে নাম না জানা কচুরিখানা

হুঁকোমুখোর চিত্রকলা, পর্ব-১৪: মুহূর্ত মিলায়ে যায় তবু ইচ্ছা করে, আপন স্বাক্ষর রবে যুগে যুগান্তরে

আপনজনের ফ্যান ফেভারিট ফিশ ফ্রাই হলেও, এই পর্বে আমরা ফিশ ওরলি চেখে দেখলাম। তার সঙ্গে নিলাম এক প্লেট চিকেন ওয়ানটন। আরও একটি অনন্য পদ (যার নাম দেখে আমার সকলেই খানিক কৌতূহলী হয়ে উঠি) চেখে দেখা হল—মাছের কচুরি। সঙ্গে আলুর দম। সে এক অপূর্ব অনুভূতি!
আরও পড়ুন:

আলোকের ঝর্ণাধারায়, পর্ব-১০: দশমহাবিদ্যা ও ঠাকুরের কালীভাবনা…

অমর শিল্পী তুমি, পর্ব-৬: তোমার গানের এই ময়ুরমহলে

এছাড়াও ফিশ চপ, ফিশ ফিংগার, ফিশ রোল, ফিশ কবিরাজি, চিকেন কবিরাজি, চিকেন ফাউল কাটলেট, চিকেন ব্রেস্ট কাটলেট, চিকেন ললিপপ, মটন চপ, মটন কাটলেট, মোগলাই পরোটা, ইত্যাদি।
আরও পড়ুন:

এগুলো কিন্তু ঠিক নয়, পর্ব-৩৬: গলা সাধলেই লতাকণ্ঠী?

সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-১৩: সুন্দরবনের গ্রামরক্ষক দেবতা আটেশ্বর

এ কথা সত্যি যে, দামে একটু উঁচুর দিকেই তাক্ করা সব খাবারদাবার। কিন্তু স্বাদে-মানে কোনও ভেজাল নেই। দুপুর নাগাদ খোলে আপনজন। ৭টার মধ্যে মোটামুটি ভালোমন্দ প্রায় শেষ হয়ে যায়। উত্তর কলকাতা তো হল অনেক, এ বার দক্ষিণের ভাজা-ভুজির রাজার কাছেও আসা যাক, নাকি?—চলবে।
* কলকাতার পথ-হেঁশেল (kolkata-street-foods): শ্রুতিদীপ মজুমদার, (Shrutideep Majumder) ভোজনরসিক।

Skip to content