সোমবার ৮ জুলাই, ২০২৪


কেটেলবেরি কফি ব্রেকের মেনুতে এমন অনেক খাবার রয়েছে।

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের থেকে কিছু দূরেই বিক্রমগড়ের মেসপাড়ার দিকে এগোলেই রাস্তার ওপর হলদে দেওয়ালে মোড়া একটি বিল্ডিং পড়ে। তার ওপর নিয়ন আলো দিয়ে লেখা ‘কেটেলবেরি কফি ব্রেক’। ৮বি বাস স্ট্যান্ড থেকে দশ মিনিটের হাঁটা পথ মাত্র। আর হ্যাঁ, টালিগঞ্জ (মহানায়ক উত্তম কুমার) মেট্রো স্টেশনের অটো যাওয়ার পথের ওপরেই পড়ে এই ক্যাফেটি। তাই যাতায়াতের দিক থেকেও সুবিধে।
ছোট রেস্তরাঁ। দশজনের মতো বসার জায়গা হবে মোটামুটি। বেশ সুন্দর ভাবে সাজানো। কিছু বই আর বোর্ড গেম রাখা আছে ক্যাফের র্যাাকগুলোতে। খাবার আসা অবধি বইয়ের পাতা উল্টে দেখতেই পারেন। কিংবা বন্ধুদের সঙ্গ বসে বেশ একটা কমপেটিটিভ ‘জেঙ্গা’র ম্যাচ খেলতে পারেন।
আরও পড়ুন:

কলকাতার পথ-হেঁশেল, পর্ব-৮: পার্ক, ইট, এঞ্জয়

উত্তম কথাচিত্র, পর্ব-৫০: স্বপ্নের ‘যাত্রা হলো শুরু’

মেনু এদের বেশ রকমারি। ব্রিটিশ, মার্কিন, ইতালিয়ান, আইরিশ কুইজিনের রকমারি ভান্ডার এই ‘কেটেলবেরি কফি ব্রেক’। এছাড়াও চিকেন ও ফিশের মধ্যে ‘মিল’ খাবার ব্যবস্থা আছে বেশ কিছু। আর রয়েছে দু-রকম ‘অল ডে ব্রেকফাস্ট’—ইংলিশ ও আইরিশ। পানীয়তেও কোনও কমতি নেই। ছোটখাট ‘স্টারবাক্স’ বললে কিছু ভুল হবে না। সোডা, কফি, চা, আইস টি, আইস কফি, হট চকোলেট, মিল্কশেক, ক্যাপুচিনো এবং এছাড়াও এদের কিছু নিজস্ব স্পেশাল কফি আছে।
আরও পড়ুন:

এই দেশ এই মাটি, সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-১৭: সুন্দরবনের শিশুরক্ষক পাঁচুঠাকুর

পরিযায়ী মন, পর্ব-৯: সাসারামের ঝর্ণাধারা

আমরা ছিলাম ছয়-বন্ধু। তাই খাবারের অর্ডারও ছিল বিশাল। ড্রিঙ্কসের মধ্যে হট চকোলেট, ক্যাফে লাতে, কফি ক্যপুচিনো, ফ্রেশ লাইম সোডা, চিকেন নাগেটস, চিকেন বারবিকিউ পিতজা, হোয়াইট সস পাস্তা (আলফ্রেদো), রেড সস পাস্তা (আরাবিয়াতা), চিকেন স্ত্রোগানফ ও চিকেন সসেজ পিৎজা। খাবারের কোয়ালিটি খুবই ভালো, বিশেষ করে কফি ও হট চকোলেট এর প্রিপারেশান ও পরিমাণ, দুই-ই নজরকাড়া। খাবারের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল পিৎজা। এতই ভালো খেতে ছিল যে পরে আরেকটি পিৎজা ও অর্ডার করি আমরা।
আরও পড়ুন:

অমর শিল্পী তুমি, পর্ব-১০: কী উপহার সাজিয়ে দিলে…

ক্যাবলাদের ছোটবেলা, পর্ব-১৯: সত্য কাজে কেউ নয় রাজি সবই দেখি তা না না না?

স্টাফ সার্ভিস বেশ ভালো। বসার জায়গা একটু ছোট ঠিকই। কিন্তু মানে ভালো বলতেই হয়। দামে খুব একটা পকেটে টান পড়ে না ‘কেটেলবেরি কফি ব্রেক’-এ। পানীয়ের দাম ৭০ থেকে শুরু। আর কফির দাম ১০০ টাকা থেকে ১৭০-টাকার মধ্যে। খাবারের দাম মোটামুটিভাবে ২০০ টাকার মধ্যে পড়ে। দু’জন মিলে পেট ভরে খেতে গেলে ৬০০ টাকার মধ্যে হয়ে যাওয়ার কথা।

ক্যাফেটি সকাল ৯-টার দিকে খোলে। বন্ধ হয় রাত সাড়ে-দশটায়। সময় নিয়ে তাই চিন্তার কোনও কারণ নেই। একদিন জমিয়ে আড্ডা হক এক কাপ কফি হাতে?
* কলকাতার পথ-হেঁশেল (kolkata-street-foods): শ্রুতিদীপ মজুমদার, (Shrutideep Majumder) ভোজনরসিক।

Skip to content