শুক্রবার ২২ নভেম্বর, ২০২৪


ছবি প্রতীকী।

৪১ বছর বয়সে ৫০০ সন্তানের বাবা! এমনই দাবি করেছে নেদ্যারল্যান্ডের ডোনারকাইন্ড ফাউন্ডেশন নামক একটি সংস্থা। ওই সংস্থাটি সন্তানধারণে অপারগ দম্পতিদের শুক্রাণুদানের মাধ্যমে সন্তানধারণে সাহায্য করে। ডোনারকাইন্ড ফাউন্ডেশন দাবি করেছে, শুধু দেশি নয়, ওই ব্যক্তি বিদেশি মহিলাদেরও সন্তানলাভের সুখ দেন।

আশ্চর্যের বিষয় হল, সম্প্রতি আদালতে সেই যুবকের এক সন্তানের মা তাঁর এই শুক্রাণু দান নিয়ে তীব্র আপত্তি জানিয়েছেন। ওই মহিলা আদালতের কাজে আর্জি জানিয়েছেন, ওই ‘সিরিয়াল ডোনার’ কে আর যেন শুক্রাণুদানের অনুমতি না দেওয়া হয়।
নেদারল্যান্ডের স্বাস্থ্য নির্দেশিকা অনুযায়ী, সর্বোচ্চ ২৫ জন সন্তানের বাবা হতে পারবেন একজন শুক্রাণুদাতা। যদিও সংখ্যাটি এর থেকে বেশি হলেও ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে দায়ের করা যাবে না ফৌজদারি মামলা। তবে ওই মহিলার দাবি করেছেন, ‘‘ওই ‘সিরিয়াল ডোনার’ এর শুক্রাণুদানের অনুমতি বাতিল করা উচিত এই কারণে যে, তাঁর ওই জন্য সন্তানের বিকলাঙ্গ হওয়ার এবং মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে জন্ম নেওয়ার হার ক্রমশ বাড়ছে।’’
আরও পড়ুন:

খাওয়ার পরিমাণে রাশ টেনে রোগা হতে চান? তাহলে মেনে চলুন কয়েকটি কথা

ডায়েট ফটাফট: ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেড়েছে? কোন কোন খাবারে বশে থাকে এই সমস্যা? জেনে নিন কী খাবেন, কী নয়

ওই ‘সিরিয়াল ডোনার’ হলেন জোনাথন এম। ২০১৭ সালেই এই শুক্রাণুদাতাকে ডাচ সোসাইটি অফ অবস্টেট্রিক্স অ্যান্ড গাইনোকোলজি সতর্ক করেছিল। ২০১৭ সালে তিনি ১০২ জন সন্তানের বাবা হয়েছিলেন। যদিও ডাচ সোসাইটি অফ অবস্টেট্রিক্স অ্যান্ড গাইনোকোলজি-র সতর্কতা কোনও কাজে আসেনি।
আরও পড়ুন:

ওয়েব সিরিজ দেখার নেশায় ঘুমের সময় কমে গিয়েছে? কী ভাবে কাটাবেন আসক্তি

সেই ষোলো মিনিটের দূরত্ব কোনওদিন পূরণ হয়নি

ডোনারকাইন্ড ফাউন্ডেশন-এর মতো একই কাজ করে ‘ডোনারকাইন্ড’। ‘ডোনারকাইন্ড-এর চেয়ারম্যান সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘‘আমরা চলতি সপ্তাহে অনন্ত ৩০ জন মায়ের ফোন পেয়েছি। সকলেই বেশ উদ্বিগ্ন। তাঁরা আমাদের কাছে জানতে চেয়েছেন, তাঁদেরকেও জোনাথনের শুক্রাণু দেওয়া হয়েছে কি না। একাধিক দেশের মহিলা ফোন করে এ বিষয়ে আমাদের কাছে জানতে চেয়েছেন।’’

এখনও শুক্রাণুদাতা জোনাথন এম-এ বিরুদ্ধে আদালতে মামলাটির শুনানি হয়নি। আদালত এ বিষয়ে কী পদক্ষেপ করে, তার অপেক্ষায় মায়েরা।

Skip to content