শনিবার ২৩ নভেম্বর, ২০২৪


ছবি: প্রতীকী। সংগৃহীত।

খাওয়াদাওয়া একটু বেশি হয়ে গেলেই শরীরটা কেমন আইঢাই করতে থাকে। তখন অস্বস্তি থেকে রেহাই পেতে অনেকেই সোডা দেওয়া নরম পানীয় খান। এই কার্বনেটেড জলে উপস্থিত দ্রবীভূত কার্বন ডাই-অক্সাইড দ্রুত খাবার হজম করতে সাহাজ্য করে। সাম্প্রতিক এ বিষয়ে একটি সমীক্ষার রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। তাতে উল্লেখ করা হয়েছে, রাস্তার ধারে বিক্রি হওয়া মুখরোচক, চটজলদি তৈরি করা খাবারের থেকে এই সোডা-জলে কয়েক গুণে বেশি ব্যাক্টেরিয়া থাকে।
লোমা লিন্ডা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক এই বিষয়ে গবেষণা করেছেন। তাঁদের বক্তব্য, যত ধরনের ব্যাক্টেরিয়া পাওয়া যায়, সোডা ফাউন্টেনের জলে তার ৪১ শতাংশেরই অস্তিত্ব পাওয়া গিয়েছে। এমনকি, যে যন্ত্র বা মেশিনে সোডা-জল রাখা হয়, তার মুখেও ব্যাক্টেরিয়া থাকছে। সমীক্ষার রিপোর্ট এও বলছে, রেস্তরাঁয় যে জলের কল থাকে তাতেও ২০ শতাংশ পর্যন্ত ব্যাক্টেরিয়ার উপস্থিতি রয়েছে।
আরও পড়ুন:

এগুলো কিন্তু ঠিক নয়, পর্ব-৪১: চোখ ঠিক রাখতে মাছের মুড়ো?

কলকাতার পথ-হেঁশেল, পর্ব-৯: আহা, মরি—কেটেলবেরি

লোমা লিন্ডা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক এবং সমীক্ষার প্রধান টমাস হিলের কথায়, “পেটের সমস্যার ক্ষেত্রে আমরা খাবারের মান নিয়ে চিন্তত থাকি। কিন্তু এই সাধারণ বিষয়গুলিই নিয়ে আমরা খুব একটা ভাবনা-চিন্তা করি না। মিশিগান স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজিস্ট জন রোজের বক্তব্য, “রেস্তরাঁয় যে জল ব্যবহৃত হয়, তাতে প্যাথোজেন থাকছে। যা উদ্বেগের বিষয়। এই বিষয়ে আমাদের ভীষণ সচেতন হতে হবে।”
আরও পড়ুন:

পঞ্চমে মেলোডি, পর্ব-৩২: শুধু কি গানে, আবহসঙ্গীতেও তাঁর কাজ অসামান্য

বাঙালির মৎস্যপুরাণ, পর্ব-৭৬: তেলাপিয়া মাছের বড় সুবিধা হল, একে যে কোনও জলাশয়ে যখন খুশি চাষ করা যায়

গবেষকেরা বলছেন, এই সমীক্ষা কেবল সোডা-জল ফাউন্টেনগুলির জন্য নয়। শহরের সব ফাস্ট ফুড রেস্তরাঁর জন্যই করা হয়। তাঁরা জানিয়েছেন, কিছু দিন আগে এক ক্রেতা একটি দোকানের সস্‌ ডিসপেনসারের মুখে ম্যাগট দেখতে পান। আবার গত বছর একজন অন্তঃস্বত্ত্বা এক মহিলা ঠান্ডা নরম পানীয়ের বোতলের নীচে ম্যাগটের অস্তিত্ব টের পান। সম্প্রতি মিল্কশেক খেয়ে ব্যাক্টেরিয়ার আক্রমণ হয় ছ’জনের। তাঁদের হাসপাতালেও ভর্তি হতে হয়েছিল। বিজ্ঞানীদের কথায়, এই ধরনের ব্যাক্টেরিয়ার সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে হলে মেশিনগুলি নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে। সেই সঙ্গে পরীক্ষা করা দরকার জলের গুণগত মানও।

Skip to content