বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর, ২০২৪


ছবি প্রতীকী।

জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার কপালে চিন্তার ভাঁজ। দ্রুতহারে কমছে সে দেশের জন্মহার। সোমবার এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রীর এক আধিকারিক। তিনি বলেন, ‘‘আমাদের আশঙ্কা দেশের জন্মহার হ্রাসের গতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণ না করতে পারলে জাপানের অস্তিত্বই এক দিন মুছে যাবে।’’
এমনিতে অতিমারির জেরে অর্থনৈতিক অস্থিরতা বাড়ায় ছোট পরিবার রাখার প্রবণতা বেড়েছে। সেই সঙ্গে জাপানের তরুণ প্রজন্মের একটা অংশ বিয়ে করতেও রাজি নয়। ফলে দ্রুতহারে জন্মহার কমছে। জাপানে সবথেকে কম শিশু জন্মানোর রেকর্ড হয়েছে ২০২২ সালে। সব মিলিয়ে বেশ চিন্তায় সে দেশের সরকার। এক সরকারি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ‘‘এই পরিস্থিতি জারি থাকলে একটা সময় দেশে সামাজিক কাঠামো ভেঙে পড়বে। মুখ থুবড়ে পড়বে দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা।’’
আরও পড়ুন:

রং মাখুন আনন্দে, তবে এই বিষয়গুলো অবশ্যই মাথায় রাখুন

হুঁশ থাকে না মদ্যপানের পর? দোলের পার্টির পর ‘হ্যাংওভার’ এড়াতে কী কী খাবেন?

যদিও জন্মহার কমার নেপথ্যে দেশের কড়া অভিবাসন নীতিকেও অন্যতম কারণ বলে মনে করছে একাধিক সামাজিক সংগঠন। সরকারি সংস্থা ‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব পপুলেশন অ্যান্ড সোশ্যাল সিকিউরিটি’ তাদের ২০২১ সালের সমীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করেছে। সেই রিপোর্টেই দেশের জন্মহারের নিম্নমুখীর অনুপাত নিয়ে যথেষ্ট উদ্বেগ বেড়েছে।

সমীক্ষার রিপোর্ট অনুযায়ী, ১৮ থেকে ৩৪ বছর বয়সি ১৪.৬ শতাংশ মহিলা এবং ১৭.৩ শতাংশ পুরুষ পরিষ্কার জানিয়েছেন, তাঁদের বিয়ের কোনও পরিকল্পনাই নেই। এই সমীক্ষা শুরু হয়েছে ১৯৮২ সাল থেকে। প্রতিষ্ঠানটি প্রতিবছরই সমীক্ষার রিপোর্ট পেশ করে। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব পপুলেশন অ্যান্ড সোশ্যাল সিকিউরিটি-র শেষ কয়েক বছরের সমীক্ষার ফলাফলই জাপান সরকারের উদ্বেগ বাড়িয়েছে।
আরও পড়ুন:

পঞ্চমে মেলোডি, পর্ব-১: শচীন ও মীরা দেব বর্মনের ঘর আলো করে এল এক ‘দেব শিশু’

ভালো ত্বক চান? উপায় লুকিয়ে মুলতানি মাটিতে

সে দেশের সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, জাপানে শুধু ২০২২ সালেই ৮ লক্ষেরও কম শিশু জন্মেছে! ২০২১ সালে সংখ্যাটি ছিল ৮ লক্ষ ১২ হাজার। ৭ লক্ষ ৪০ হাজার জন্মেছিল ২০২০ সালে। আবার উলটো দিকে, শুধু ২০২২ সালেই জাপানে ১৫ লক্ষ ৮০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। অর্থাৎ সহজ হিসেবে জাপানের জন্মহারের থেকে মৃত্যুর হার প্রায় দ্বিগুণ! এই রিপোর্টই জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদারের উদ্বেগ বাড়িয়েছে।

Skip to content