বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর, ২০২৪


ছবি: প্রতীকী

পূর্বাভাস মতো বঙ্গোপসাগরের অতি গভীর নিম্নচাপের পরে তা ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। অবশেষে জন্মাল ঘূর্ণিঝড় মোকার। পূর্বাভাস অনুযায়ী শীঘ্রই সে আরও শক্তি বাড়িয়ে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। আবার প্রবল থেকে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়েও পরিণত হবে। হাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ৫টা নাগাদ অতি গভীর নিম্নচাপ ঘনীভূত হয়ে তা ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়।

বর্তমানে ঘূর্ণিঝড় মোকা পোর্ট ব্লেয়ার থেকে ৫১০ কিমি পশ্চিম-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছে। আবার বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে ১২১০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে রয়েছে। আর মায়ানমারের সিতওয়ে থেকে ১১২০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে আছে মোকা।
হাওয়া দফতর জানিয়েছে, এই মুহূর্তে মোকা ক্রমশ উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে সরছে। আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার মাঝরাত নাগাদ মোকা আস্তে আস্তে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। প্রবল ঘূর্ণিঝড় শুক্রবার সকালে আরও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে এগিয়ে যাবে। আবহবিদরা জানিয়েছেন শুক্রবার সন্ধে নাগাদ প্রবল শক্তি বাড়িয়ে বঙ্গোপসাগরে মোকা অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে।
আরও পড়ুন:

তীব্র গরমে ত্বকের জ্বালাপোড়া ভাব আটকাতে অবশ্যই মাথায় রাখুন এই ৬ দাওয়াই

ওষুধ খেয়েও কমছে না কোলেস্টেরল? রান্নার এই উপকরণের উপর ভরসা করলে ফল পাবেন

হাওয়া অফিস মনে করছে, আগামী শনিবার ঘূর্ণিঝড়ের শক্তি সব থেকে বেশি থাকবে। শনিবার মোকার গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় ১৮০ কিমি। যেহেতু সে সমুদ্রে বাধা পাবে না, তাই মোকা দ্রুত উপকূলের দিকে এগিয়ে আসবে। আবার পরের দিন রবিবার ১৪ মে সকাল থেকে ঘূর্ণিঝড়ের শক্তি কমতে পারে। মনে করা হচ্ছে, মোকা রবিবার দুপুর নাগাদ বাংলাদেশের কক্সবাজার এবং মায়নমারের কাউকপুর মধ্যে দিয়ে এগিয়ে গিয়ে আছড়ে পড়তে পারে দক্ষিণ-পূর্ব বাংলাদেশ এবং মায়ানমার উপকূলে।

হাওয়া দফতর জানিয়েছে, বাংলাদেশ এবং মায়নমার উপকূলে ঘূর্ণিঝড় মোকার গতিবেগ থাকতে পারে ১২০ থেকে ১৩০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায়। সর্বোচ্চ ঘণ্টায় ১৪৫ কিলোমিটার গতিবেগ হতে পারে।
আরও পড়ুন:

অবশেষে স্বস্তির বার্তা! দক্ষিণবঙ্গের এই তিন জেলায় আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই বৃষ্টি নামতে পারে

গরমে দিন-রাত ফ্রিজ চলে? এই সব টোটকায় কম আসবে বিদ্যুতের বিল

বাংলাদেশ ও মায়ানমার উপকূলের মৎস্যজীবীদের শুক্রবার থেকে সমুদ্রে যেতে বারণ করা হয়েছে। আর যাঁরা ইতিমধ্যেই উত্তর বঙ্গোপসাগরে রয়েছেন, তাঁদেরও বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার মধ্যে ফিরে আসতে বলেছে হাওয়া দফতর।

হাওয়া দফতর জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় মোকা বঙ্গোপসাগরে থাকলে এর প্রভাব খুব বেশি পড়বে না পশ্চিমবঙ্গে। রবিবার, ১৪ মে উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে অল বিস্তর বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে বেশির ভাগ জেলাই শুকনোই থাকবে। ইতিমধ্যে দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে আগামী দু’দিন তাপপ্রবাহের সতর্কতাও জারি করা হয়েছে।

Skip to content