রবিবার ৬ অক্টোবর, ২০২৪


অতলান্তিক সাগরের গভীরে অভিযাত্রীরা যদি বেঁচে থাকেন এই আশায় জোরদার তল্লাশিতে নামানো হয়েছিল রোবটও। কিন্তু ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পাওয়া গেলেও অভিযাত্রীদের বেঁচে থাকার আশা শেষ। টাইটানিকের মতো ডুবোযান টাইটানেরও অতলান্তিকের গভীরেই সলিল সমাধি হল। আমেরিকার উপকূলরক্ষা বাহিনী ও ‘ওশানগেট’ ওই যানের সকল অভিযাত্রীকেই মৃত বলে ঘোষণা করেছে। উল্লেখ্য, এই ‘ওশানগেট’ টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে নিয়ে যাচ্ছে ২০২১ সাল থেকে।
এ প্রসঙ্গে আমেরিকার উপকূলরক্ষা বাহিনীর রিয়ার অ্যাডমিরাল জন মউগার জানিয়েছেন, “টাইটানিকের যেখানে ধ্বংসাবশেষ পড়ে রয়েছে সেখান থেকে ১৬০০ ফুট দূরে ডুবোযান টাইটানের ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পেয়েছে রোবট। সম্ভবত কোনও একটি দুর্ঘটনা ঘটে। সে সময়য় ডুবোযানটি ভিতরের দিকে দুমড়েমুচড়ে যায়। তবে ডুবোযানটির মধ্যে থাকা অভিযাত্রীদের এখনই উদ্ধার করা যাবে কি না তা এখনই পরিষ্কার করে বলা কঠিন। কারণ অতলান্তিক সাগরের গভীরে যে জায়গায় রোবট ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পেয়েছে সেখানকার পরিবেশ খুবই প্রতিকূল। মৃতদের পরিবারের প্রতি আমাদের সমবেদনা।” অভিযানকারী সংস্থা ‘ওশানগেট’ও দুর্ঘটনায় মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছে।
আরও পড়ুন:

ক্যাবলাদের ছোটবেলা, পর্ব-৪: এ শুধু অলস মায়া?

সং‌বাদ সংস্থা সূত্রে খবর, ডুবোযান টিটাইটানে ছিলেন ওশানগেট সংস্থার মুখ্য আধিকারিক স্টকটন রাশ, ব্রিটেনের ব্যবসায়ী হামিশ হার্ডিং, পাকিস্তানের ব্যবসায়ী শাহজাদা দাউদ এবং তাঁর পুত্র সুলেমান এবং ফরাসি নাবিক পল হেনরি নারজিওলেট। ডুবোযান টাইটান অতলান্তিকের গভীরে ডুব দিয়েছিল কানাডার পূর্বে নিউ ফাউন্ডল্যান্ডের উপকূলে একটি জাহাজ থেকে। ওশানগেট সংস্থার এই টাইটান ডুবোযান মহাসাগরের গভীরে যেখানে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ রয়েছে, সেই জায়গা ঘুরে দেখায় অভিযাত্রীদের।

বাবা মহেশের এক মেসেজে মদ্যপান ছেড়ে দিয়েছিলেন পূজা, এখনও বড় ভয় কী? জানালেন বলিউড অভিনেত্রী

গত রবিবার ওই ডুবোযান পাঁচ অভিযাত্রীকে নিয়ে অতলান্তিক সাগরের গভীরে ১৩ হাজার ফুট নিচে নেমেছিল। তবে অভিযান শুরুর ১ ঘণ্টা ৪৫ মিনিট পর যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়ে নিখোঁজ হয়ে যায় টাইটান।

উত্তর অতলান্তিক মহাসাগরে আমেরিকা এবং কানাডার সেনা ডুবোজাহাজের খোঁজে তল্লাশি অভিযানে নামে। ডুবোযানের শব্দ ধরার জন্য বসানো হয়েছিল শব্দতরঙ্গ যন্ত্রও। তল্লাশিতে নেমেছিল রোবটও। এই রোবটই টাইটানিকের কাছেই একটি অন্য যানের ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পায়। পরে আমেরিকার উপকূলরক্ষা বাহিনী সেই ধ্বংসাবশেষকে টাইটানের ধ্বংসাবশেষ বলেই চিহ্নিত করে।

Skip to content