শনিবার ৯ নভেম্বর, ২০২৪


অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছিল দুটি বিমান। কাঠমান্ডুর আকাশে মুখোমুখি সংঘর্ষের হাত থেকে একটুর জন্য বেঁচে যায় নেপাল এয়ারলাইন্স এবং এয়ার ইন্ডিয়ার দুটি বিমান। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি গঠন করে নেপালের অসামরিক বিমান পরিবহণ নিয়ন্ত্রক সংস্থা (সিএএএন)। দু’দিন পর তদন্তের রিপোর্ট প্রকাশ করে ওই কমিটি।
তদন্তে দেখা যায়, এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোল (এটিসি)-এর তিন কর্মীর কর্তব্যে গাফিলতির জন্য দুর্ঘটনা ঘটতে চলেছিল। দুই পাইলটের উপস্থিত বুদ্ধিতে বিপদ এড়ানো গিয়েছে। এ প্রসঙ্গে সিএএন-এর মুখপাত্র জগন্নাথ নিরোউলার কথায়, এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোলের ওই ৩ কর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। অভিযুক্তরা পরবর্তী নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত কাজে যোগ দিতে পারবেন না।
আরও পড়ুন:

ওয়েব সিরিজ দেখার নেশায় ঘুমের সময় কমে গিয়েছে? কী ভাবে কাটাবেন আসক্তি

বাথরুমে খালি বালতি রাখেন না কি! এতে বিপদ ডেকে আনছেন না তো? জেনে নিন বাস্তুমতে কী করণীয়

নেপাল এয়ারলাইন্সের এ-৩২০ বিমান গত শুক্রবার সকালে মালয়েশিয়ার কুয়ালা লামপুর থেকে কাঠমান্ডু আসছিল। একই সময়ে এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বিমান কাঠমান্ডু বিমানবন্দরের উদ্দেশে আসছিল। ১৯ হাজার ফুট উচ্চতা থেকে নীচে নামছিল এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানটি। প্রায় একই জায়গায় নেপাল এয়ারলাইন্সের বিমানটি ১৫ হাজার ফুট উচ্চতা দিয়ে এগচ্ছিল। আচমকা বিমান দু’টি খুব কাছাকাছি চলে আসে। নেপাল এয়ারলাইন্সের বিমানটি সংঘর্ষ এড়াতে ৭ হাজার ফুট উচ্চতায় নেমে যায়। বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, পর্বতে ঘেরা বিমানবন্দরে আপৎকালীন পরিস্থিতিতে এত কম উচ্চতায় নেপাল এয়ারলাইন্সের বিমানটি নেমে যাওয়ায় বড় বিপদ ঘটে যেতে পারত।

Skip to content