মঙ্গলবার ৯ জুলাই, ২০২৪


ম্যানগ্রোভ বিনাশ।

বর্তমান ভারতীয় অংশের সুন্দরবন অঞ্চলে ৫৪টি দ্বীপের ম্যানগ্রোভ জঙ্গল নিকেশ করে বসতি গড়ে তোলার কাজ শুরু হয়েছিল প্রায় আড়াইশো বছর আগে। ইংরেজ শাসক, অনাবাসী জমিদার আর নয়া বসতি গড়ে তোলা সুন্দরবনের অধিবাসীদের ইচ্ছায় ৩৫০০ কিমি বিস্তৃত নদীবাঁধ নির্মাণ করার সময় কোনও বিজ্ঞানসম্মত চিন্তাভাবনা করা হয়নি। দ্বীপের নরম পলিমাটি দিয়ে তৈরি হয়েছিল ওইসব বাঁধ নদীর মূল স্রোতের অনতিদূরে নদী তীরবর্তী ম্যানগ্রোভ ধ্বংস করে। নদীর স্রোতের সঙ্গে আসা বিপুল পরিমাণ পলি তীরবর্তী ম্যানগ্রোভ জঙ্গলের গাছে ধাক্কা খেয়ে অধঃক্ষিপ্ত হয়। সেই পলিতে জন্মায় আরও ম্যানগ্রোভ উদ্ভিদ। এ ভাবেই দ্বীপের সীমানায় ম্যানগ্রোভ-প্রাচীর তৈরি হয়।

সুন্দরবনের নদীতে দিনে দু’বার জোয়ার হয় এবং জোয়ারের স্থায়িত্ব হয় প্রায় ছ’ঘণ্টা। অমাবস্যা ও পূর্ণিমার দু’দিন পর জোয়ার জল সবচেয়ে বাড়ে। আবার জোয়ারের স্রোতও ভাটার চেয়ে বেশি শক্তিশালী হয়। ফলে দ্বীপে যে জোয়ার বা ঢেউয়ের ধাক্কা আসে তা অনেকটাই প্রশমিত হয়ে যায় ম্যানগ্রোভ প্রাচীরে। কিন্তু ম্যানগ্রোভ-প্রাচীর ধ্বংস করে দেওয়ায় ঢেউয়ের ধাক্কা সরাসরি এসে পড়তে লাগল নরম ও অনুচ্চ মাটির বাঁধে। তীর বরাবর পলি সঞ্চয় না হওয়ার ফলে বাঁধের তলার মাটি ঢেউয়ের ধাক্কায় ক্রমশ ক্ষয় পেতে থাকল। আলগা হয়ে গেল বাঁধের তলদেশ।
সুন্দরবনের নদীতে নিয়মিত জোয়ার-ভাটা খেলে বলে নদীর তলদেশ সমান নয়। প্রতিটি নদীর তলদেশে রয়েছে খালের মতো খাত। এই খাল একটা নয়, দুটিও হতে পারে। যে খাল দিয়ে জোয়ারের জল ঢোকে, সেই খাল দিয়ে ভাটার জল বেরোয় না। যদি প্রাকৃতিক বা মানুষ-সৃষ্ট কারণে কোনও নদীতে জোয়ারের জল প্রবেশের ক্ষেত্রে বাধার সৃষ্টি হয় তখন নদীশৃঙ্খলের অন্য কোনও নদী দিয়ে বাড়তি জলের প্রবাহ শুরু হয়। তখন সেই নদীর তলদেশের খাল আরও চওড়া হয়ে যায়। আবার এই খাল যে নদীর মাঝখান দিয়েই যাবে এমন কোনও কথা নেই। সরু ও বাঁকবহুল নদীতে এই খাল কোনও এক পাড়ের কাছাকাছি দিয়ে যায়। ফলে সেই পাড় হয় অনেক বেশি ভাঙনপ্রবণ।

আমরা তো কেবল নদীর উপরের জলস্তর আর মাটির উপরে থাকা বাঁধের চূড়া অংশটা দেখতে পাই। নদী ও বাঁধের তলদেশে কী যে ঘটে চলেছে তা আমরা জানতে পারি না। আমরা কেবল ফলাফলটাই দেখতে পাই—নদীবাঁধের ভাঙন। আমরা মনে করি বাঁধের দৃশ্যমান অংশটা শক্তপোক্ত করলে নদীবাঁধের ভাঙন ঠেকানো যাবে। কিন্তু বাস্তব হল, নদীবাঁধ ভাঙার মূল কারণ নিহিত বাঁধের ও নদীর তলদেশে। স্বাধীনতার পর থেকে আজ পর্যন্ত সুন্দরবনের নদীবাঁধ রক্ষার জন্য যত উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে এবং এখনও হচ্ছে তা সবই নদীবাঁধ ভাঙনের মূল কারণকে উপেক্ষা করেই।
আরও পড়ুন:

এই দেশ এই মাটি, পর্ব-৩৫: সুন্দরবনের নদীবাঁধের অতীত

আলোকের ঝর্ণাধারায়, পর্ব-৩৩: সারদা মায়ের দার্শনিক দৃষ্টি

সুন্দরবনের নদীবাঁধ ভাঙে প্রধাণত দুটি সময়ে—এক, সাইক্লোনের সময় জোরালো ঢেউয়ের ধাক্কায়; দুই, ভরা কটালে বা অতিবৃষ্টির ফলে নদীতে জলোচ্ছ্বাস হলে। যখনই নদীবাঁধ ভেঙে সুন্দরবনে বন্যা, ফসলহানি ও প্রাণহানি হয় তখনই সরকার ও প্রশাসন নড়েচড়ে বসে। সংবাদমাধ্যমে কয়েকদিন প্রথম পাতার খবর হয়। তারপর খবর ভেতরের পাতায় ছোটো হতে হতে হারিয়ে যায়। স্থানীয় মানুষের কিছুটা উদ্যোগে, কিছুটা প্রশাসনের উদ্যোগে কোথাও কোথাও জোড়াতাপ্পি দিয়ে বাঁধ মেরামত করা হয়।

শুধু প্রাকৃতিক প্রতিকূলতার জন্যই নয়, যোগাযোগ, স্বাস্থ্য ও শিক্ষার অপ্রতুলতা, অর্থনৈতিক অনগ্রসরতা ইত্যাদি সমস্যার প্রতি সম্যক দৃষ্টি দেওয়ার লক্ষ্যে ১৯৭২ সালে গঠিত হয় সুন্দরবন উন্নয়ন পর্ষদ। ব্রিটিশ শাসকরাও এমন প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেছিলেন বলে উনিশ শতকের গোড়ার দিকে ‘সুন্দরবন কমিশনার’ নামে পৃথক একটি পদ সৃষ্টি করেছিলেন। যাইহোক, রাজ্যে চতুর্থ বামফ্রন্ট সরকারের আমলে সুন্দরবনের নিবিড় উন্নয়ন ও সার্বিক সমস্যা সমাধানের উদ্দেশ্যে ১৯৯৪ সালে একটি পৃথক মন্ত্রক তৈরি করা হয়—সুন্দরবন বিষয়ক দপ্তর।

কংক্রিটের নদীবাঁধের তলদেশও ক্ষয়ে যাচ্ছে।

তবে পৃথক মন্ত্রক গঠিত হওয়ার পর সুন্দরবনের উন্নয়নে অনেক গতির সঞ্চার হলেও নদীবাঁধের সমস্যার কোনও দীর্ঘস্থায়ী সমাধান হয়নি। এর ভয়ানক ফল সুন্দরবনবাসীকে ভোগ করতে হয় ২০০৯ সালের ২৭ মে। ঘণ্টায় ১১০-১২০ কিলোমিটার গতিবেগ নিয়ে বঙ্গোপসাগরে উদ্ভূত সাইক্লোন ‘আইলা’ আছড়ে পড়ে ভারতীয় সুন্দরবনে। ঝড়ের দাপটে যত না ক্ষতি হয়েছিল তার চেয়ে অনেক বেশি ক্ষতি হয় ভয়ঙ্কর বন্যায়। আইলা যখন ল্যান্ডফল করে তখন সমুদ্রে ও নদীতে ছিল জোয়ার। ফলে সমুদ্র ও নদীতে জল ২-৭ মিটার পর্যন্ত ফুলে ওঠে। অসংখ্য জায়গায় নদীবাঁধ ভেঙে নোনাজলে ভেসে যায় জমির ফসল, পুকুরের মাছ, বাড়ি, গবাদি পশু ও অসংখ্য মানুষ।

আইলার তাণ্ডবে ৩৫০০ কিমি নদীবাঁধের মধ্যে ৭৭৮ কিমি নদীবাঁধ ভেঙে গিয়েছিল। নড়েচড়ে বসেছিল সরকার। ভারত স্বাধীন হওয়ার সময় থেকেই শোনা যেত সুন্দরবনের জন্য ‘কিছু একটা করতে হবে’। কিন্তু কাজের কাজ কিছু হয়নি। আইলা সুন্দরবনের নদীবাঁধ রক্ষার জন্য স্থায়ী ‘কিছু একটা করার’ তাগিদ তৈরি করল। হল্যান্ড থেকে বিশেষজ্ঞরা এলেন। তাঁরা সরেজমিনে সুন্দরবনের অবস্থা খতিয়ে দেখে পরামর্শও দিয়েছিলেন। কিন্তু খরচ বা অন্য কোনও সমস্যায় সে-সব পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হয়নি।
আরও পড়ুন:

গল্পকথায় ঠাকুরবাড়ি, পর্ব-৭৯: কবির ভালোবাসার পশুপাখি

মহাকাব্যের কথকতা, পর্ব-৫০: লক্ষ্মণ—ভ্রাতৃত্বের এক অনন্য দৃষ্টান্ত

যাইহোক, আইলার পর স্থির হয় সুন্দরবনের জনজীবনকে নদীবাঁধের ভাঙন থেকে রক্ষা করতে হলে কংক্রিটের নদীবাঁধ নির্মাণ করা হবে। বাঁধের নীচের দিকে মাটি ফেলে ৩০-৩৫ মিটার চওড়া করা হবে। আর তার উপর ৫ মিটার উঁচু যে বাঁধ নির্মাণ করা হবে তার নদীর দিকের ঢাল হবে ইট-সিমেন্ট দিয়ে পিচিং করা। এজন্য ৫০০০ হেক্টরের বেশি পরিমাণ জমি সরকারিভাবে অধিগ্রহণ করার প্রয়োজন ছিল। কিন্তু এই বিপুল পরিমাণ জমি অধিগ্রহণ করার জন্য বিপুল অর্থ জোগাড় করা এবং নদীতীরবর্তী বিপুল সংখ্যক মানুষকে পুণর্বাসন দেওয়ার পরিকাঠামো নির্মাণ করা মুখের কথা নয়।

কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে রাজ্য সরকারের আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে কংক্রিটের বাঁধ (লোকমুখে যা পরে ‘আইলা বাঁধ’ হিসেবে পরিচিত) নির্মাণের জন্য ৫০৩২ কোটি টাকার প্রকল্প গ্রহণ করে। এই অর্থ ছিল বিশ্বব্যাঙ্কের অনুদান। কেন্দ্রীয় জলসম্পদ মন্ত্রকের মাধ্যমে কেন্দ্র-রাজ্য ৭৫:২৫ অনুপাতে কাজের অগ্রগতির পরিপ্রেক্ষিতে এই অর্থ পাওয়ার কথা ছিল। তবে ওই সময় অনেক বিশেষজ্ঞ এমন বাঁধের উপযোগিতা ও ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। তাঁদের যুক্তি ছিল, বাঁধের নিচের মাটি নরম অথচ মাথা ভারি বাঁধ বেশিদিন টিকতে পারে না, বিশেষত যেখানে নদীর চরিত্র সতত পরিবর্তনশীল। তাছাড়া ভূ-বিজ্ঞানীরা জানিয়েছিলেন যে নবীন-পলিগঠিত সুন্দরবনের দ্বীপগুলি ক্রমশ বসে যাচ্ছে। সেক্ষেত্রে কিছুদিন পর ওই বাঁধের উচ্চতাও জলোচ্ছ্বাস আটকানোর জন্য যথেষ্ট হবে না।

ম্যানগ্রোভ ধ্বংস করে তৈরি হচ্ছে ইমারত।

এছাড়াও দীর্ঘদিন ধরে যাঁরা দ্বীপগুলির প্রান্তিক অঞ্চলে বাস করে আসছেন এবং নদীর উপর নির্ভর করে জীবিকা অর্জন করছেন তাঁরা কোন ভরসায় বাড়িঘর ছেড়ে দ্বীপের ভেতরের দিকে উঠে যাবেন? বিশেষত জমির দাম যেখানে তীরবর্তী জমির তুলনায় অনেক বেশি। এই বাঁধ নির্মাণের দায়িত্ব বর্তাবে বড়ো বড়ো ঠিকাদার কোম্পানির উপর। ফলে স্থানীয় মানুষের জন্য বাঁধ নির্মান সংক্রান্ত কোনও কর্মসংস্থানও সৃষ্টি হবে না। আবার কৃত্রিম উপায়ে ও কৃত্রিম উপাদান দিয়ে বাঁধ নির্মাণ করা হলে তা সুন্দরবনের বাস্তুতন্ত্রের পক্ষেও মঙ্গলকর হবে না। তাই সব মিলিয়ে ‘আইলা বাঁধ’ নির্মাণ প্রকল্পের শুরু হয় অজস্র প্রশ্নচিহ্ন সাথে নিয়ে। ২০১১ সালে রাজ্যে পালাবদল ঘটে। কিন্তু সুন্দরবনবাসীর ভাগ্যের পালাবদল ঘটেনি। মাত্র ৭০ কিমি ‘আইলা বাঁধ’ তৈরি হয়। ফলে অব্যবহৃত প্রায় ৪০০০ কোটি টাকা ফেরৎ চলে যায়।

তারপর গঙ্গা দিয়ে বয়ে গিয়েছে কোটি কোটি গ্যালন জল। কিন্তু সুন্দরবনের নদীবাঁধের অবস্থা উত্তরোত্তর খারাপ হয়েছে। একদিকে বেআইনি মাছের ভেড়ি নির্মাণ, অন্যদিকে ম্যানগ্রোভ ধ্বংস চলেছে সমানতালে। কোথাও কোথাও ম্যানগ্রোভ চারা লাগানো হয়েছে। কিন্তু তা হয়েছে অবিজ্ঞানসম্মত ও অপরিকল্পিতভাবে। ফলে হয় সে-সব চারা নষ্ট হয়ে গেছে নয়তো নদীবাঁধ ভাঙন রুখতে কার্যকরী ভূমিকা নেয়নি। তারপর ২৬ মে, ২০২১ সাইক্লোন ইয়াসের প্রভাবে সমুদ্রে ও সুন্দরবনের সমস্ত নদীতে প্রবল জলোচ্ছ্বাস হয়। ঠিক আইলার মতো সেদিনও ছিল ভরা জোয়ারের সময়। সরকারি হিসেবে ১৩৪ জায়গায় নদীবাঁধ ভেঙে যায়। প্রায় আইলার মতোই প্লাবিত হয় সুন্দরবনের অধিকাংশ দ্বীপ।
আরও পড়ুন:

দশভুজা, সরস্বতীর লীলাকমল, পর্ব-১১: স্বর্ণকুমারী দেবী— ঠাকুরবাড়ির সরস্বতী

উত্তম কথাচিত্র, পর্ব-৬১: ‘বন্ধু’ তোমার পথের সাথী

আগামী দিনে আরও অনেক সাইক্লোন আছড়ে পড়বে সুন্দরবনের উপর। সঙ্গে ষাঁড়াষাঁড়ির মতো প্রবল জোয়ার তো আছেই। প্রশাসন যদি বিজ্ঞানসম্মত ও সদর্থক পদক্ষেপ গ্রহণ না করে তবে এইসব কারণে নদী বাঁধ আবারও ভাঙবে, আবারও প্লাবিত হবে সুন্দরবন। তারপর জোড়াতালি দিয়ে কিছু জায়গায় নদীবাঁধ মেরামতি হবে। দু-চার বছর পর তা আবারও ভাঙবে। মন্ত্রী, নেতা, সরকারি আধিকারিকেরা পরিদর্শনে আসবেন, নানা আশ্বাসবাণী শোনাবেন। তারপর চক্রবৎ ঘটনাবলী চলতেই থাকবে।

সুন্দরবনের নদীবাঁধের ভাঙন।

সুন্দরবনবাসী বুঝে নিয়েছে এবং আগামীদিনেও বুঝে নেবে নদীবাঁধের ভাঙন ও তজ্জনিত প্লাবন হল সুন্দরবনবাসীর ‘ভবিতব্য’। কিন্তু সত্যিই কী তাই? সুন্দরবনের ক্ষয়প্রবণ দ্বীপগুলিকে রক্ষা করার এবং নদীবাঁধের ভাঙন রোধ করার নানা পদ্ধতির কথা বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন। তবে এই বিষয়ে গবেষণার জন্য সরকারিভাবে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে যৎসামান্য। আবার বিচ্ছিন্নভাবে নানা সংস্থা বা বিজ্ঞানী সুন্দরবনের সমস্যাকে বিভিন্ন দিক থেকে বিশ্লেষণ করলেও তাদের মধ্যে সমন্বয় গড়ে উঠছে না যা সুন্দরবনকে রক্ষা করার জন্য একান্ত জরুরি। সুন্দরবন সংক্রান্ত নানা তথ্য পেতে ও তা বিশ্লেষণ করতে উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহারের ক্ষেত্রেও আমরা রয়েছি অনেক পিছিয়ে। তাই সুন্দরবন সত্যিই আগামীদিনে রক্ষা পাবে কিনা তা নির্ভর করছে আমাদের সদিচ্ছার উপর।—চলবে।

ছবি: লেখক ও সংগৃহীত।
* সৌম্যকান্তি জানা। সুন্দরবনের ভূমিপুত্র। নিবাস কাকদ্বীপ, দক্ষিণ ২৪ পরগনা। পেশা শিক্ষকতা। নেশা লেখালেখি ও সংস্কৃতি চর্চা। জনবিজ্ঞান আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত। বিজ্ঞান জনপ্রিয়করণের জন্য ‘দ্য সায়েন্স অ্যাসোসিয়েশন অফ বেঙ্গল ২০১৬ সালে ‘আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু মেমোরিয়াল অ্যাওয়ার্ড’ এবং শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞান লেখক হিসেবে বঙ্গীয় বিজ্ঞান পরিষদ ২০১৭ সালে ‘অমলেশচন্দ্র তালুকদার স্মৃতি সম্মান’ প্রদান করে সম্মানিত করেছে।

Skip to content