বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর, ২০২৪


ভাঙনের গ্রাসে ঘোড়ামারা দ্বীপ। ছবি: সংগৃহীত।

পশ্চিমে গঙ্গা আর পুবে মেঘনা—এই দুই নদীর মধ্যবর্তী স্থানে আজ থেকে প্রায় ছ’কোটি বছর আগে গঙ্গা, ব্রহ্মপুত্র ও মেঘনাবাহিত পলি সঞ্চিত হয়ে গড়ে উঠেছিল বিশ্বের বিস্ময়, আমাদের গর্বের ধন সুন্দরবন। তারপর লক্ষ লক্ষ বছর ধরে তার আকার, আয়তন ও রূপের পরিবর্তন হয়েছে। একদা হিমালয়ের তরাই, ডুয়ার্স অঞ্চল থেকে রাজমহল পাহাড় পর্যন্ত বিস্তৃত সুন্দরবন বর্তমান চেহারায় এসেছে ১০-১১ হাজার বছর আগে। অজস্র ছোট-বড় নদী, শাখানদী, খাঁড়ি ও খালের জাল বিছিয়ে থাকা সুন্দরবন হল বঙ্গোপসাগরের উপকূলে অজস্র দ্বীপের সমষ্টি। এখানের নদীগুলোর বৈশিষ্ট্য হল, সারাবছর জোয়ার-ভাটা খেলে। ফলে জন্মলগ্ন থেকেই দ্বীপগুলি জোয়ারের সময় নোনা জলে হত প্লাবিত। নোনা জলের এইসব প্লাবনভূমিতে কালের আবহে সৃষ্টি হয়েছে গহন ম্যানগ্রোভ অরণ্য। আর সেই অরণ্যে ঠাঁই পেয়েছে বিশ্বের অদ্বিতীয় পশুশ্রেষ্ঠ রয়েল বেঙ্গল টাইগার।

হাজার হাজার বছর ধরে প্রকৃতির কোলে আপন খেয়ালে গড়ে উঠেছে সুন্দরবনের জগদ্বিখ্যাত বাস্তুতন্ত্র। কিন্তু এই বাস্তুতন্ত্রের ওপর প্রথম আঘাত হানল মানুষ, যখন থেকে জঙ্গল সাফ করে বসতি গড়ে তোলার প্রয়াস শুরু হল। সুন্দরবনের বিপদের সূত্রপাত হল সেদিনই। আর তার সঙ্গে প্রাকৃতিক কিছু কারণ তো রয়েছেই। বাংলাদেশের সুন্দরবন তার স্থিতাবস্থা অনেকটা বজায় রাখতে সক্ষম হলেও বর্তমানে ধ্বংসের মুখে দাঁড়িয়ে ভারতীয় অংশে আমাদের গর্বের ধন সুন্দরবন। নদী যদি হারায় তার গতিপথ, তার গভীরতা, তার গতিবেগ তবে তার প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়ে সুন্দরবনের উদ্ভিদ ও প্রাণীকুল এবং তার ভৌগোলিক আকার ও আয়তনের উপর। বিপন্ন হয়ে পড়ে বাস্তুতন্ত্র। বিপন্ন হয়ে পড়ে সুন্দরবনবাসীর জীবন ও জীবিকা। সেই বিপন্নতার মুখোমুখি আজ ভারতীয় অংশের সুন্দরবন।
পঞ্চদশ শতাব্দীতে যশোরের জায়গিরদার ছিলেন খান জাহান বা খানজা আলি। তিনি প্রথমে তৎকালীন বঙ্গপ্রদেশের স্বাধীন নবাব নাজির শাহের পাখাবাহক ছিলেন। পরে তিনি গৌড়ের রাজার আনুকূল্যে যশোরে জায়গির লাভ করেন। তিনি তাঁর জায়গিরদারির মধ্যে প্রচুর রাস্তা নির্মাণ, পুকুর খনন ও মসজিদ নির্মাণ করতে থাকেন। তাঁর উদ্দেশ্য ছিল সুন্দরবনের জঙ্গল কেটে পতিত জমি উদ্ধার করা। সম্ভবত বন কেটে বসত তৈরির প্রথম উদ্যোগী ছিলেন এই খান জাহান।

পরবর্তীকালে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির ও ভারতে ইংরেজ সরকারের সম্পত্তি হয় সুন্দরবন। নদী-জঙ্গল ঘেরা শ্বাপদশঙ্কুল বিস্তৃত সুন্দরবন তখন ইংরেজ সরকারের কাছে নিষ্কর এলাকা। আর তাই ১৭৭০-১৭৭৩ সালের মধ্যে চব্বিশ পরগনার কালেক্টর ক্লড রাসেল সুন্দরবনের জমি ব্যক্তিবিশেষকে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য লিজ দেওয়ার এক বন্দোবস্ত করেন। কিন্তু ক্লড রাসেলের এই উদ্যোগ সফল হয়নি।

১৭৮৩ সালে যশোর জেলার প্রথম ম্যাজিস্ট্রেট টিলম্যান হেঙ্কেল আবার এক পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। তিনি তৎকালীন গভর্নর ওয়ারেন হেস্টিংসকে প্রস্তাব দেন যে জঙ্গল কেটে সুন্দরবনকে আবাদযোগ্য করা প্রয়োজন। কারণ, তাঁর ভাবনা ছিল, সুন্দরবনকে ধান উৎপাদনের অন্যতম অঞ্চল হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব। সেই সময় সুন্দরবন অঞ্চলের কোনও কোনও জায়গায় উত্তর অঞ্চলের বাসিন্দারা নৌকো করে এসে গভীর নোনা জলে জন্মায় এমন ধানের বীজ এনে ছড়িয়ে দিয়ে চলে যেত। তখন মিষ্টি জলে ধান চাষ করা সম্ভব ছিল না। আট-ন’মাস পর ধান পাকার সময় হলে আবার নৌকোয় এসে কেটে নিয়ে যেত। বুনো মহিষ আর শূকরেররা সেই ধান খেতে আসত। এখন সুন্দরবন থেকে বুনো মহিষ বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছে। হারিয়ে গিয়েছে অধিকাংশ গভীর নোনা জলের ধানের সেইসব প্রজাতিও। যাইহোক, হেঙ্কেল সাহেব সুন্দরবনে মিষ্টি জলে ধান চাষ করার পরিকল্পনা করেছিলেন। সেক্ষেত্রে দ্বীপভূমি বাঁধ দিয়ে ঘিরে ফেলা এবং বর্ষার জল ধরে রাখার জন্য প্রচুর পুকুর খনন করা প্রয়োজন। এজন্য তিনি সুন্দরবনের জমিকে ছোটো ছোটো খন্ডে ভাগ করে রায়ত দেওয়ার পরিকল্পনা করেন যা ‘Sundarban Plan’ নামে পরিচিত। তবে এই পরিকল্পনাও সফল হয়নি।
আরও পড়ুন:

সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-৩৪: সুন্দরবনের মৃত ও মৃতপ্রায় নদী

উত্তম কথাচিত্র, পর্ব-৬১: ‘বন্ধু’ তোমার পথের সাথী

১৮২৮ সালে সরকার পরিকল্পনা করে যে সুন্দরবনের সীমানা নির্ধারণ করা হবে। পরের বছর বনভূমির এক একটি অংশ ২০ বছরের জন্য ‘গ্র্যান্ট’ দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়। ১৮৩০-৩১ সালের মধ্যে সুন্দরবনের মোট ৫,৫১,৫২০ একর জমিকে ১১০টি লটে (Lot) ভাগ করে গ্র্যান্ট হিসেবে দেওয়া হল। কিন্তু যাঁরা গ্র্যান্ট নিলেন তাঁরা অধিকাংশই শর্ত পূরণে অসমর্থ হওয়ায় সরকার তাদের জমি কেড়ে নেয়।
১৮৭৪ সালে বাংলার বড়লাট স্যার রিচার্ড টেম্পল সরেজমিনে সুন্দরবন ঘুরে অনুভব করলেন, সুন্দরবনের জঙ্গল কাঠ ও জ্বালানিসম্পদ হিসেবে মহামূল্যবান। ১৮৭৯ সালে নয়া আইনে সুন্দরবনের জমি ৪০ বছরের জন্য লিজ দেওয়ার বন্দোবস্ত হল। সর্বোচ্চ ৫০০০ বিঘা ও সর্বনিম্ন ২০০ বিঘা লিজ নেওয়া যাবে। যারা জমি লিজ নিল তারা ছিল বেশিরভাগই কলকাতাবাসী ইউরোপীয়, আর পার্শ্ববর্তী জেলার কিছু দেশিয় জমিদার। তারা সুন্দরবনে তাদের জমিদারির পথ মাড়াত না। কিছু মধ্যসত্ত্বভোগীর হাতে ছেড়ে দিয়েছিল জমির ভার। তারাই প্রধানত মেদিনীপুর, হাওড়া, যশোর ও খুলনা জেলা থেকে শ’য়ে শ’য়ে লোকজন নিয়ে আসে জঙ্গল কেটে আবাদি জমি তৈরি করার লক্ষ্যে। তাদের থাকার জন্য জমি দেওয়া হয়। ক্রমে ক্রমে তাদের স্থায়ী সংসার গড়ে ওঠে সুন্দরবনে। তারাই ভাগচাষি হিসেবে জমি চাষ করত। জমির উপর তাদের কোনও অধিকার ছিল না। ফসল তুলতে হত জমিদারের খামারে।

ষাঁড়াষাঁড়ির কটালেআমার বাড়ির পাশে নদীবাঁধ টপকে ঢুকছে জল। ছবি: লেখক।

এইভাবে সুন্দরবনের জঙ্গল সাফ করে আর জঙ্গলের পশুদের বিতাড়ন ও হত্যা করে ভারতের স্বাধীনতার সময়কালের মধ্যে প্রায় অর্ধেক ম্যানগ্রোভ অরণ্য চিরতরে ধ্বংস করে দেওয়া হল। ভারতীয় সুন্দরবন অঞ্চলে অবস্থিত ১০২টি দ্বীপের মধ্যে ৫৪টি দ্বীপে গড়ে উঠল বসতি। সুন্দরবনে নয়া বসতি গড়ে তোলা মানুষের হাতে তৈরি হল প্রায় ৩৫০০ কিলোমিটার মাটির নদীবাঁধ। বিভিন্ন দ্বীপে যখন বসতি গড়ে উঠছিল তখনও কিন্তু দ্বীপগুলির গঠন ছিল অসম্পূর্ণ। তখনও দ্বীপের গাঠনিক প্রক্রিয়া শেষ হয়নি। দ্বীপের ভূমিভাগের উপর নিয়মিত খেলত জোয়ার-ভাটা। দিনে দু’বার জোয়ারের জল প্রবেশ করত দ্বীপের মধ্যে। পূর্ণিমা ও অমাবস্যার কটালে জলের উচ্চতা অনেকটা বেড়ে গিয়ে নোনা জলে ভয়ানকভাবে প্লাবিত হত দ্বীপভূমি। এভাবেই পলি সঞ্চিত হতে হতে বাড়ছিল দ্বীপের উচ্চতা।
আরও পড়ুন:

দশভুজা, সরস্বতীর লীলাকমল, পর্ব-১০: লীলা মজুমদার— নতুন রূপকথার হলদে পাখি

আলোকের ঝর্ণাধারায়, পর্ব-৩২: সরকারবাড়ির ছেলেদের সঙ্গে শ্রীমার বুড়ি-বুড়ি খেলা

কিন্তু আবাদি জমি যখন তৈরি করা হল, মানুষের বসতবাড়ি তৈরি করা হল তখন সেগুলিকে নোনাজলের প্লাবন থেকে রক্ষা করার প্রয়োজন হয়ে পড়ল। প্লাবন থেকে রক্ষা পাওয়ার মতো অত উঁচু জায়গায় ঘরবাড়ি তৈরি করার অবস্থা তখন ছিল না। ফলে দ্বীপের চতুর্দিকে নদীর তীরবর্তী জমির মাটি দিয়ে বাঁধ নির্মাণ করে ঘিরে ফেলা হল দ্বীপভূমি। দ্বীপভূমিতে জোয়ার-ভাটার জল প্রবেশে পড়ল বাধা। এদিকে নদীবাহিত পলি সঞ্চিত হতে লাগল নদীগর্ভে। নদীগর্ভ ক্রমশ ওপরের দিকে উঠতে লাগল। আর পরিবর্তন হতে লাগল নদীখাত। ফলে জোয়ারের সময় বাড়তে লাগল জলের উচ্চতা। নদী তীরবর্তী ম্যানগ্রোভ ধ্বংসের ফলে উত্তাল ঢেউ আর সামুদ্রিক ঝড়ের প্রাকৃতিক ঢাল হয়ে গেল নিকেশ। ফলে পলকা মাটির বাঁধের উপর ক্রমশ বাড়তে লাগল জলের চাপ। সেই সঙ্গে সুন্দরবনের ওপর বাড়তে লাগল প্রকৃতির চাপ।
আরও পড়ুন:

মহাকাব্যের কথকতা, পর্ব-৪৯: মহাকাব্যের রাক্ষস ও মানুষের কাহিনিতে আধুনিক জীবনচিত্রের প্রতিফলন রয়েছে কি?

গল্পকথায় ঠাকুরবাড়ি, পর্ব-৭৮: ষাট-বাষট্টি, বড়োজোর সত্তর বছর বাঁচবেন রবীন্দ্রনাথ, বলেছিল এক গণৎকার

সুন্দরবনের জন্মলগ্ন থেকে হিমালয় পর্বতমালা থেকে বাহিত পলির জোগান দিয়েছে মূলত গঙ্গা। ফারাক্কার কাছে গঙ্গা দ্বিধাবিভক্ত হয়ে ভাগীরথী আর পদ্মার জন্ম দিল। এই নদীগুলি থেকে উৎপন্ন বিভিন্ন শাখানদীতে হিমালয় থেকে আসা যে মিষ্টি জলের প্রবাহ হত তার সঙ্গেই আসত টন টন পলি। আর সেই পলি এসে পড়ত বঙ্গোপসাগরে। তারপর জোয়ারের সঙ্গে পলি ফিরে আসত সেইসব নদী ও খাঁড়িগুলোতে। জোয়ারের বেগ বেশি হওয়ায় যত পরিমাণ পলি নদী ও খাঁড়িতে ঢুকত ভাটার বেগ কম হওয়ায় সেই পলি থিতিয়ে যেত অনেক বেশি।

হাজার হাজার বছর ধরে এভাবেই গড়ে উঠেছে সুন্দরবন অঞ্চলের দ্বীপমালা। কিন্তু বর্তমানে ভারতীয় সুন্দরবনের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত গঙ্গার কোনও শাখা নদীতে আর গঙ্গার মিষ্টি জল প্রবাহিত হয় না। ফলে তারা হিমালয়ের পলিও আর সরাসরি পায় না। কেবল পলি আনছে ভাগীরথী বা হুগলি নদী। তাও ১৮৭৫ সালে ফারাক্কা বাঁধ তৈরি হওয়ার পর থেকে বেশিরভাগ পলিই জমা হচ্ছে ফারাক্কায়। সুন্দরবনের একেবারে পশ্চিম সীমানা ধরে ভাগীরথী সমুদ্রে মিশছে। এই নদী সামান্য যা পলি আনছে তার অতি সামান্যই এখন জোয়ারের সঙ্গে সুন্দরবন মধ্যস্থ শাখানদীগুলোতে আসে। ফলে দ্বীপগুলির দক্ষিণ দিকে অর্থাৎ বঙ্গোপসাগরের দিকে আর সুন্দরবন প্রসারিত হচ্ছে না। ফলে নতুন করে ম্যানগ্রোভও জন্মাচ্ছে না। তাই সমস্ত দ্বীপের দক্ষিণ দিকে ক্ষয় ও ভাঙন বেড়েছে। বাঁধ দিয়ে এই ভাঙন রোধ করা যাবে না। বাঁধের সামনের অংশে গোড়ার দিকে পলি জমা হওয়া চাই। তবেই বাঁধ টিকবে।

পাথরপ্রতিমায় নদীবাঁধ ভাঙন। ছবি: সংগৃহীত।

এদিকে দ্বীপের এই ক্ষয় ও ভাঙনে তৈরি হওয়া মাটি জোয়ারের সঙ্গে নদীর ভিতরের দিকে ঢুকে দ্বীপগুলির আগে তৈরি করছে একের পর এক চর। এভাবেই সাগরদ্বীপ ও ঘোড়ামারার উত্তরদিকে তৈরি হয়েছে বিশালাকার নয়াচর। মাতলা নদীতেও তৈরি হয়েছে বিরাট বিরাট চর। তৈরি হচ্ছে আরও অনেক নতুন চর। ফলে নদীর গভীরতা কমছে, গতিপথ পাল্টাচ্ছে বা মজে যাচ্ছে এবং প্রবাহও কমছে। আবার মিষ্টি জলের প্রবাহ না থাকায় বা খুব কম থাকায় এই অংশে নদীর জলের লবনাক্ততা বেড়ে যাচ্ছে। অতিরিক্ত লবনাক্ততায় সুন্দরী গাছ জন্মায় না, আর লবন-সহ গাছগুলির বৃদ্ধিও ভালো হয় না। তাই ভারতীয় সুন্দরবন অংশে সুন্দরী গাছ এখন নেই। অথচ বাংলাদেশের সুন্দরবনে রয়েছে প্রচুর সুন্দরী গাছ। কারণ, সেখানের নদীগুলিতে মিষ্টি জলের প্রবাহ বেশি হওয়ায় জলের লবনাক্ততা কম। এই কারণে বাংলাদেশ অংশের সুন্দরবনে অন্যান্য ম্যানগ্রোভ বৃক্ষের বৃদ্ধি ও উচ্চতা ভারতীয় অংশের তুলনায় অনেক বেশি। ভারতীয় অংশের ম্যানগ্রোভগুলি দুর্বল ও বেঁটেখাটো হয়ে যাওয়ায় ভূমিক্ষয় ও সাইক্লোনের হাত থেকে দ্বীপগুলিকে রক্ষা করতে আর তেমন সক্ষম নয়। তাই যে নদীগুলির সক্রিয়তার কারণে সৃষ্টি হয়েছে এই সুন্দরবন, সেইসব নদীর নিষ্ক্রিয়তার কারণে সুন্দরবন এখন বিপন্নতার সম্মুখীন।—চলবে।

ছবি: লেখক ও সংগৃহীত।
* সৌম্যকান্তি জানা। সুন্দরবনের ভূমিপুত্র। নিবাস কাকদ্বীপ, দক্ষিণ ২৪ পরগনা। পেশা শিক্ষকতা। নেশা লেখালেখি ও সংস্কৃতি চর্চা। জনবিজ্ঞান আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত। বিজ্ঞান জনপ্রিয়করণের জন্য ‘দ্য সায়েন্স অ্যাসোসিয়েশন অফ বেঙ্গল ২০১৬ সালে ‘আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু মেমোরিয়াল অ্যাওয়ার্ড’ এবং শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞান লেখক হিসেবে বঙ্গীয় বিজ্ঞান পরিষদ ২০১৭ সালে ‘অমলেশচন্দ্র তালুকদার স্মৃতি সম্মান’ প্রদান করে সম্মানিত করেছে।

Skip to content