গোরুর শিঙে হলুদ মাখানো। ছবি: সংগৃহীত।
কালীপুজো বাঙালির কাছে দুর্গাপুজোর পর দ্বিতীয় বড়ো উৎসব। কিন্তু আজ থেকে অর্ধ শতক আগে সুন্দরবন অঞ্চলে দুর্গাপুজো বা কালীপুজোর বাড়তি কিছু গুরুত্ব ছিল না। এর অন্যতম কারণ এই পুজো সীমাবদ্ধ ছিল মূলত সুন্দরবনের মধ্যেকার শহর বা গঞ্জ এলাকায়। প্রত্যন্ত গ্রামে ও দ্বীপাঞ্চলে না হত দুর্গাপুজো, না হত কালীপুজো। প্রত্যন্ত সুন্দরবনবাসীর অনেক বেশি আগ্রহ থাকত গ্রামের মধ্যে থাকা বিভিন্ন লৌকিক দেবদেবীর থানে পুজো নিয়ে। বিশালাক্ষী, শীতলা, মনসা, আটেশ্বর, বনবিবি, পঞ্চানন্দ, ওলাবিবি, বড় খাঁ গাজী ইত্যাদি লৌকিক দেবদেবীর বার্ষিক পুজো উপলক্ষ্যে গ্রামীণ মেলা আর পালাগান ছিল সুন্দরবনবাসীর বিনোদনের প্রধান উপায়। আর বছরের নানা সময়ে নানা তিথিতে গৃহস্থ দেবদেবীর পুজোও ছিল মানুষের অন্যতম বিনোদন।
সুন্দরবনবাসীদের প্রধান দুটি জীবিকা হল কৃষিকাজ আর মাছ ধরা। আর কৃষিকাজ মানেই বলদের উপর নির্ভরশীলতা। দারিদ্র্যপীড়িত সুন্দরবনবাসীর কাছে পুষ্টি ও উপার্জনের আর একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস ছিল গাভীর দুধ। বর্ষাকালে কাঠকুটোর অভাবে গোবর থেকে তৈরি ঘুঁটেই ছিল তখন সুন্দরবনবাসীর হেঁসেলে প্রধান জ্বালানী। তাই প্রায় সব বাড়িতেই বলদ আর গাভী পালন করা হত। আর তাদের থাকার জন্য সব বাড়িতেই থাকত গোয়ালঘর। আমাদের বাড়িতেও ছিল বেশ বড় একটা গোয়ালঘর। আশৈশব দেখেছি বাবা-মা-ঠাকুমা গোয়ালের গোরুকে পরিবারের মানুষ সদস্যদের মতো সমান ভালোবাসা দিয়ে লালনপালন করত। চাষের জন্য জমিতে লাঙল নামানোর সময়, আর চাষ শেষ করে ফেরার সময় বলদদের খুরে প্রণাম করা হত। গর্ভবতী বা দুগ্ধবতী গাভীদের পুষ্টির ব্যাপারে সতর্ক দৃষ্টি রাখা হত। তবে এইসব গো-সেবার মধ্যে আমার কাছে সবচেয়ে আনন্দদায়ক স্মৃতি হল কালীপুজোর পরের দিন ভোরে গোয়াল পুজো।
আরও পড়ুন:
এই দেশ এই মাটি, সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-২১: সুন্দরবনের সর্পদেবী মনসা
রহস্য উপন্যাস: পিশাচ পাহাড়ের আতঙ্ক, পর্ব-৩৯: ভালোবাসার ভোরে…
যাদের বাড়িতে গোয়াল থাকত তাদের প্রত্যেকের গোয়ালে ওই দিন ভোরে পুজো হত। এই পুজোয় কোনও পুরোহিত থাকত না। গৃহকর্তা বা গৃহকর্ত্রী পুজো করত। এই পুজোর আয়োজনের সাথে আমি এতটাই যুক্ত থাকতাম যে আনন্দদায়ক সেইসব শৈশব স্মৃতি চার দশক পরেও স্পষ্ট মনে আছে। উদ্যোগ শুরু আগের দিন দুপুর থেকে। গোয়াল পুজো হয় একমাত্র শালুক ফুলে। আর তাই ওই সময় শালুক ফুলের হত প্রবল চাহিদা। গ্রামে শালুক ফুল কেনা-বেচার প্রশ্নই ছিল না। খালে ও অনেক পুকুরে শালুক জন্মাত। আমার কাজ ছিল সকাল সকাল শালুকের লম্বা ডাঁটিসহ ফুল তুলে আনা। বেলা বাড়লে পাড়ার অন্য লোকেরা তুলে নেওয়ার সম্ভাবনা। ডাঁটিগুলো দড়ি বা কলাছোট (শুকনো কলাপাতার শিরা বা ডাঁটা) দিয়ে আঁটি বেঁধে পুকুরঘাটে খুঁটির সঙ্গে বেঁধে রাখতাম। আর বাগান থেকে কেটে রাখা হত একটা আখ গাছ। যাদের বাগানে আখ থাকত না তারা প্রতিবেশীর কাছ থেকে সংগ্রহ করত।
শালুক ফুলের মালা। ছবি: সংগৃহীত।
গোয়াল পুজোয় কোনও ফুল ব্যবহার করা হত না। পুজো হত শিলা কুলের পাতা দিয়ে। শিলা কুল হল আমাদের স্থানীয় নাম। অনেকে অড়বড়ই, নোয়েল ইত্যাদিও বলে। ইংরেজিতে এই গাছকে তাহিতি গুজবেরি বা মালয় গুজবেরি বলে। এই গাছের উৎস মাদাগাস্কার দ্বীপ। দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায়র উপকূলীয় এলাকায় শিলা কুল গাছ জন্মায়। এই গাছটি হল আমলকির এক জাতভাই। ফলগুলো দেখতে অনেকটা আমলকির মতো। খুব কম সংখ্যক বাড়িতে এই গাছ থাকত। ফলে আমাদের গাছ থেকে প্রচুর লোক পুজোর জন্য পাতা সংগ্রহ করত। আর লাগত কাঁচা তেঁতুল। আমাদের ছিল একটা বিরাট তেঁতুল গাছ। ওই সময় গাছে থোকা থোকা কাঁচা তেঁতুল ঝুলত। গোয়াল পুজোর জন্য শালুকের সঙ্গে সঙ্গে শিলা কুলের পাতা ও কাঁচা তেঁতুল গাছ থেকে আমিই পেড়ে নিয়ে আসতাম।
গোয়াল পুজোর জন্য সন্ধেবেলা মায়ের ব্যস্ততা থাকত রান্নাঘরে। গোয়াল পুজোর প্রসাদ হল লবনবিহীন গুড়পিঠে। তাই কালী পুজোর দিন সন্ধেবেলা চালবাটা আর আখের গুড় দিয়ে অনেক গুড়পিঠে তৈরি করা হত। পরের দিন ভোরে মূলতঃ বাবার পৌরোহিত্যে গোয়ালপুজো হতে দেখেছি। পুবাকাশে শুকতারা দেখা গেলেই শুরু হত পুজো। এই সময় মাঠে মাঠে ধানের শীষ প্রায় পাকার পথে। ঘাসের উপর জমতে শুরু করে শিশির। রাতে শীতের আমেজ। ভোর চারটে বাজার আগেই মা আমার ঘুম ভাঙিয়ে দিত। ঘুমজড়ানো চোখে দেখতাম বাবা একটা পরিষ্কার ধুতি কাছা দিয়ে পরে গোয়ালে পুজোর জন্য প্রস্তুত। আগের দিনই গোয়ালঘর খুব পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করে রাখা হত। আমাদের গোয়ালে ছিল একটা কুলুঙ্গি। ওখানেই হত পুজো। কলাপাতার উপরে দুই তাল গোবর রাখা হত। আর গোবরের তাল দুটোর মাঝে রাখা হত সিঁদুর মাখানো গোটা সুপুরি আর পান। পেতলের ঘটিতে জল নিয়ে সমস্ত গোরুর পা ধুইয়ে দেওয়া হত। তারপর বলদদের শিঙে সরষের তেল ও কাঁচা হলুদ বাটা এবং গাভীদের শিঙে তেল ও সিঁদুর মাখিয়ে দেওয়া হত। বলদের কপালে হলুদ ও গাভীর কপালে দেওয়া হত সিঁদুরের টিপ।
আরও পড়ুন:
পরিযায়ী মন, পর্ব-১৪: কুর্গের সবুজ দুর্গ
এগুলো কিন্তু ঠিক নয়, পর্ব-৪৫: কানে তালায় কানের ড্রপ?
আমি পুকুরে বাঁধা শালুকের আঁটি তুলে এনে তৈরি করতাম শালুকের মালা। সে এক চমৎকার পদ্ধতি। শালুকের ফুলের দিকে থেকে ডাঁটি একটু একটু করে দুই বিপরীত দিকে মচকে দিতে দিতে তৈরি হয়ে যেত মালা। একটা ডাঁটি থেকে হত একটা মালা। আর ডাঁটির আগায় থাকা ফুলটা হয়ে যেত মালার লকেট। এই মালা জড়িয়ে দেওয়া হত গোরুদের শিঙে এবং পরিয়ে দেওয়া হত প্রতিটি গোরুর গলায়। পুজোতে ব্যবহৃত হত একমাত্র শালুকের ফুল। প্রসাদ হল গুড়পিঠে, নারকেল, ছাল না ছাড়ানো আখ, শসা, ছোলা ইত্যাদি। গোয়াল পুজোর প্রদীপ হত নারকেলের মালা দিয়ে। এইরকম প্রদীপ থাকত দুটো। একটা মালার মধ্যে থাকত কিছুটা কাঁচা হলুদের বাটা, আর অন্যটায় শুকনো হলুদের বাটা। তুলো বা পরিষ্কার কাপড়ের টুকরো দিয়ে তোইরি করা হত চারটে লম্বা সলতে।
প্রতিটি প্রদীপে কিছুটা পরিমাণ সরষের তেল দিয়ে তাতে লম্বা দুটো সলতে পরষ্পর যোগ চিহ্নের মতো রাখা হত যাতে প্রতিটি সলতের দু’প্রান্ত নারকেলের মালা ছাড়িয়ে কিছুটা বেরিয়ে থাকে। এবার সলতেতে আগুন দিলে প্রতিটি প্রদীপে চারটি শিখা জ্বলত। এবার কাঁচা তেঁতুল ধরা হত সলতের অগ্নিশিখার উপর। তাতে কাঁচা তেঁতুলের খোসার উপর ভুসাকালি জমত। পুরোহিত অর্থাৎ আমার বাবা ওই ভুসাকালি বাড়ির সব সদস্যের চোখে ও ঠোঁটে লাগিয়ে দিত। পুজোর শেষে প্রতিটি গোরুকে একটা করে গুড়পিঠে খাওয়ানো ছিল বাধ্যতামূলক।
প্রতিটি প্রদীপে কিছুটা পরিমাণ সরষের তেল দিয়ে তাতে লম্বা দুটো সলতে পরষ্পর যোগ চিহ্নের মতো রাখা হত যাতে প্রতিটি সলতের দু’প্রান্ত নারকেলের মালা ছাড়িয়ে কিছুটা বেরিয়ে থাকে। এবার সলতেতে আগুন দিলে প্রতিটি প্রদীপে চারটি শিখা জ্বলত। এবার কাঁচা তেঁতুল ধরা হত সলতের অগ্নিশিখার উপর। তাতে কাঁচা তেঁতুলের খোসার উপর ভুসাকালি জমত। পুরোহিত অর্থাৎ আমার বাবা ওই ভুসাকালি বাড়ির সব সদস্যের চোখে ও ঠোঁটে লাগিয়ে দিত। পুজোর শেষে প্রতিটি গোরুকে একটা করে গুড়পিঠে খাওয়ানো ছিল বাধ্যতামূলক।
গোয়াল পুজোর প্রসাদ গুড়পিঠে। ছবি: সংগৃহীত।
এই পুজো পদ্ধতি শুধু আমাদের গোয়ালে নয়, সুন্দরবন অঞ্চলের প্রায় সব পরিবারের গোয়ালেই হত। এখনও যাদের গোয়াল আছে সেখানে এভাবেই গোয়াল পুজো হয়। তবে তা সংখ্যায় খুব কম। গ্রামের সব গোয়ালে যেহেতু ভোরবেলা গোয়াল পুজো হত তাই সুন্দরবনে শীত-সূচনার ভোরের আকাশ-বাতাস শাঁখ, কাঁসি ও ঘন্টাধ্বনিতে মুখরিত হয়ে উঠত। এই পুজোয় কোনও মন্ত্র নেই। কেবল ভক্তিভরে গো-দেবতাকে পুজো করা আর গোরুর সুস্থতা কামনা করা হত।
একদিকে যখন চলত গোয়াল পুজোর তোড়জোড়, তখন পাড়ার বাচ্চাদের সবচেয়ে বেশি উৎসাহ দেখা যেত মশা তাড়ানোর ‘খেলায়’। আগের দিন বিকেলে বাগান থেকে কেটে আনা বা সংগ্রহ করা আখ কেটে এক-দেড় ফুট লম্বা করে টুকরো করা হত। আর ধান ও চাল পাছড়ানোর কুলো হাতের কাছে গুছিয়ে রাখা হত। আমরা বাচ্চারা হালকা শীতের সেই ভোরে কুলো আর আখের টুকরো নিয়ে বেরিয়ে পড়তাম বাড়ির বাইরে। আখের টুকরো দিয়ে কুলোর পেছন দিকে সজোরে আঘাত করতে করতে বড়ো রাস্তা ও আলপথ ধরে দৌড়োতাম, আর মুখে চিৎকার করে বলতাম— “ধা রে মশা ধা, নলবনে যা, নলের টোপর মাথায় দিয়ে স্বর্গে উঠে যা”! অনেকে “ধা রে মশা ধা” বলার পর গ্রাম্য অশ্লীল শব্দ ব্যবহার করেও চিৎকার করত। শিশিরভেজা ঘাসের উপর দিয়ে দৌড়ে পা ভিজে যেত শিশিরে। পাড়ার প্রায় সব কিশোর যখন একসাথে কুলোয় আখের টুকরো দিয়ে আঘাত আর চিৎকার করতে করতে দৌড়োত তখন সারা মহল্লা মুখরিত হয়ে উঠত। মেদিনীপুরে মশা তাড়ানোর এমন প্রথা আছে বলে জানি। ‘মশা তাড়ানোর’ এমন উৎসব অন্য আর কোথাও হয় কিনা আমার জানা নেই। আধুনিক সুন্দরবনের বর্তমান কৈশোর-প্রজন্ম এ আনন্দের স্বাদলাভে বঞ্চিত।
আরও পড়ুন:
ক্যাবলাদের ছোটবেলা, পর্ব-২২: এদিক ওদিক বেড়ায় তবু ভুলের পাড়া বেড়ায় না
আলোকের ঝর্ণাধারায়, পর্ব-১৯: ইষ্টদেবী জগদ্ধাত্রী
‘মশা তাড়ানো’ শেষ হত যখন পুবাকাশে সুয্যি উঁকি দিত। তারপর বাড়ি ফিরে ওই কুলো পুকুরঘাটে জলে ডুবিয়ে দেওয়া হত। আর দাঁতের ব্যায়াম করতে করতে আখের রস চলে যেত আমাদের পেটে। সুন্দরবন চিরকালই ডেঙ্গু ও ম্যালেরিয়াপ্রবণ অঞ্চল। ধানজমিতে জল কমে এলে সেই জমা জলে প্রচুর মশা জন্মায়। ফলে কার্তিক মাসে ডেঙ্গু ও ম্যালেরিয়ার প্রকোপ বাড়ে। স্ত্রী মশা সন্ধ্যা আর ভোরবেলা রক্তপান করতে বেরোয়। তাই আমাদের চিৎকারে আর কুলোর আঘাতে মশা না পালালেও ভোরবেলা এই প্রতীকী মশা তাড়ানো উৎসব একেবারে অযৌক্তিক নয়। তার চেয়েও বড়ো কথা, দারিদ্র্যক্লিষ্ট সুন্দরবনবাসীর বৈচিত্র্যহীন জীবনে গোয়ালপুজোর সাথে মশা বিতাড়ন উৎসব এক টুকরো আনন্দময় বৈচিত্র্য জোগান দিয়েছে। সে সুখস্মৃতি ভোলার নয়।
(বাঁ দিকে) গোয়াল পুজোর ফুল ও মালার একমাত্র উৎস শালুক ফুল। গোয়াল পুজোর উপকরণের অন্যতম শিলা কুল গাছের পাতা (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।
কিন্তু অমাবস্যার রাতে এই গোয়াল পুজোর উৎস কোথায়? সাঁওতাল, লোধা, কুড়মি, মুন্ডা ইত্যাদি জনজাতির মধ্যে একটি উৎসব হয় কালী পুজোর অমাবস্যার রাতে যা ‘বাঁদনা পরব’ নামে খ্যাত। বাঁদনা কথার অর্থ হল বন্দনা । এই উৎসবে গোয়ালঘরে গাভী ও বলদদের মঙ্গল কামনায় ‘গোঁরইয়া’ লৌকিক দেবতার পুজো করা হয়। অবশ্য গোয়ালে মহিষ, ছাগল বা ভেড়া থাকলে তাদেরও একইসঙ্গে পুজো করা হয়। কৃষিজীবী জনজাতি সম্প্রদায়ের মানুষের সাথে কৃষিকাজে সাহায্যকারী গবাদি পশুর মেলবন্ধন হল এই উৎসব। এই অনুষ্ঠানেও বলদ-গাভীর শিঙে তেল মাখানো হয়, কপালে হলুদ ও সিঁদুরের ফোঁটা দেওয়া হয়। অমাবস্যার রাতে মহিলারা বানান চালের গুঁড়ো দিয়ে ‘ঝাঁগোড়া পিঠে’। পুজোর প্রসাদ হিসেবে ওই পিঠে মানুষের সঙ্গে গোরুকেও খাওয়ানো হয়। সুন্দরবনের মানুষ বিভিন্ন লৌকিক দেবদেবীর সাথে ভারতের প্রাচীন জনজাতির নানা উৎসবও আপন করে নিয়েছে। আর তাই সুন্দরবনের বর্ণহিন্দু সমাজেও বাঁদনা পরব গোয়াল পূজার রূপ নিয়ে বিরাজমান।—চলবে।
* সৌম্যকান্তি জানা। সুন্দরবনের ভূমিপুত্র। নিবাস কাকদ্বীপ, দক্ষিণ ২৪ পরগনা। পেশা শিক্ষকতা। নেশা লেখালেখি ও সংস্কৃতি চর্চা। জনবিজ্ঞান আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত। বিজ্ঞান জনপ্রিয়করণের জন্য ‘দ্য সায়েন্স অ্যাসোসিয়েশন অফ বেঙ্গল ২০১৬ সালে ‘আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু মেমোরিয়াল অ্যাওয়ার্ড’ এবং শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞান লেখক হিসেবে বঙ্গীয় বিজ্ঞান পরিষদ ২০১৭ সালে ‘অমলেশচন্দ্র তালুকদার স্মৃতি সম্মান’ প্রদান করে সম্মানিত করেছে।