মঙ্গলবার ৯ জুলাই, ২০২৪


আমার বাড়ির সামনে প্রবাহিত প্রাচীন নদী আজ একটা নালা।

জন্মাবধি দেখেছি আমাদের গ্রামের বাড়ির পুকুরের তলায় প্রকাণ্ড গাছের গুঁড়ি। আমরা আঞ্চলিক ভাষায় বলতাম ‘মুড়া’। আমাদের পুকুর ছিল দুটো। যেটি অপেক্ষাকৃত ছোটো তার একেবারে মাঝখানে প্রায় ৭/৮ ফুট গভীরে ছিল সেই ‘মুড়া’। বাবা বলত, সুন্দরী গাছের ‘মুড়া’। খ্যাপলা জাল ফেলে মাছ ধরার সময় মুড়ার উপরে জাল পড়লে জাল আটকে যেত, নয়তো ছিঁড়ে যেত। মাছেরাও আশ্রয় নিত মুড়ার কোটরে। আমাদের দ্বিতীয় পুকুরটা ছিল বেশ বড়। এই পুকুরের উত্তর, দক্ষিণ ও পূর্ব প্রান্তে ৭/৮ ফুট গভীরে একটা করে মুড়া ছিল। আমাদের প্রতিবেশীদের অনেকের পুকুরের গভীরে অনুরূপ মুড়া দেখা যেত।

আশ্চর্যের ব্যাপার হল, বছরের পর বছর জলের তলায় থাকলেও মুড়ার পচন হতে দেখিনি। শুনেছি, সুন্দরী গাছের কাঠ খুব দৃঢ়, সহজে পচে না। তবে কি এগুলো সত্যিই সুন্দরী গাছের মুড়া? ছোটবেলায় জানতাম না এগুলো কোথা থেকে এল, আর কেনই বা পুকুরের এত গভীরে এরা আছে। তাছাড়া ছোট পুকুরের উত্তর পাড়ের কাছে ৫/৬ ফুট গভীরে ছিল মাটির পাত্রের প্রচুর ভাঙা টুকরো। পুকুরের ওই অংশ দিয়ে হাঁটা যেত না কারণ পায়ে ভাঙা টুকরো গেঁথে যেত। ওই অংশে জাল ফেললে জাল ভর্তি হয়ে ভাঙা টুকরো উঠে আসত। পুকুর খনন করার সময় দুটো মাটির পাত্র অক্ষত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল। সেই দুটো পাত্র আমি জন্মাবধি বাড়ির একটি তাকে রাখা থাকতে দেখেছি। প্রায় ১০ ইঞ্চি লম্বা ও চার ইঞ্চি ব্যাসের পোড়ামাটির পাত্রগুলোর রঙ ইটের মতো। নীচের দিক সমতল না হওয়ায় খাড়াভাবে বসানো যায়না বলে পাট দিয়ে তৈরি বিড়ের উপর বসানো ছিল। আর পাত্রগুলোর বাইরের দিকে আঙুল দিয়ে আঁচড় কাটার মতো দাগ ছিল।
বাবা বলতেন, এই পাত্রগুলোতে একসময় লবণ রাখা হতো। স্থানীয় ভাষায় এদের বলে ‘নুনের কুড়ি’। তার মানে, এখানে অতীতে লবণ তৈরি করা হতো। তবে অতীত বলি কেন, আমি ছোটবেলায় দেখেছি আমাদের বাড়ির ঠিক সামনে যে খাল ছিল সেখানে জোয়ারের জল ঢুকলে তা খালের পাশের জমিতে বাঁধ দিয়ে ধরে রেখে তা থেকে লবণ তৈরি করা হতো। আমার ঠাকুরমাকে ছোটবেলায় ওইভাবে লবণ তৈরি করতে দেখেছি। সেই লবণ বাড়িতে খাওয়াও হত। কিন্তু আমার মনে আশৈশব অন্য যে প্রশ্নটি উঁকি দিত তা হল, লবণ রাখার এই পাত্রগুলি কেন মাটির এতটা গভীরে?

আমাদের পুকুরের যে অংশে মাটির পাত্রের টুকরোগুলি মিলেছিল সেখান থেকে বর্তমানে খালের দূরত্ব প্রায় ২৫০ ফুট। তার অর্থ হল, খালের পাড় একসময় আমাদের পুকুরের পাশেই ছিল। মজতে মজতে তা এখন প্রায় বিলুপ্ত। আমার ঠাকুরমা বলতেন, “আমাদের উঠোনের সামনেই ছিল নদী। আমি ওই কাশিমা গাছের নীচে নদীতে মাছ ধরেছি।” এই বলে ঠাকুরমা আমাদের ভিটের প্রান্তে কাশিমা গাছটির দিকে নির্দেশ করতেন। তখন ভাবতাম, আমি ছোট বলে ঠাকুরমা ‘গল্প’ বলছেন! আশির দশকের গোড়াতেও দেখেছি ওই খালে জোয়ার-ভাটা খেলত, নৌকো চলাচলও করত। তখনও খালটি দুটি নৌকো পাশাপাশি চলাচলের মতো চওড়া ছিল।
আরও পড়ুন:

সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-১: সুন্দরবনের শেকড়ের খোঁজে

এগুলো কিন্তু ঠিক নয়, পর্ব-২৫: আমাদের নাকি রোজই চুল পড়ে!

তবে খালটিতে জোয়ারের জল ঢুকত একমুখ দিয়ে অর্থাৎ পশ্চিম প্রান্ত দিয়ে। এই প্রান্তটি একসময়ের প্রবল স্রোতস্বিনী নদী ঘিবতীর সঙ্গে যুক্ত। এখন অবশ্য ঘিবতী নদী ঘিয়াবতী নামে একটি মজা খাল। যাইহোক, ঘিবতীর শাখা খালটির পূর্ব মুখ ছিল চুনপিড়ি নদীর সঙ্গে যুক্ত। তবে আমার শৈশব ও কৈশোরে ওদিক থেকে জোয়ার-ভাটা খেলতে দেখিনি, কারণ ওই মুখ তখনই মজে গিয়েছিল। আমাদের বাড়ির সামনে ঘিবতীর শাখা খালের দু’পাড়ে প্রচুর ম্যানগ্রোভ জন্মাত। ওই খালের পাড়ে আমাদের আর একটি পুকুর খনন করার সময় মাটির ৮/১০ ফুট গভীর থেকে রুপোর একটি বালা পাওয়া গিয়েছিল। সুতরাং ঠাকুরমার কথা ‘গল্প’ ছিল না। এখানে অতীতে একসময় যে অনেক চওড়া দোয়ানি খাল বা দোয়ানি নদী এবং তার তীরে জনবসতি ছিল তা নিশ্চিত। কিন্তু তা মাটির অনেকটা গভীরে চলে গেল কী করে? এ প্রশ্ন আমাকে আশৈশব তাড়া করে বেড়াত। তবে উত্তর পেতে অপেক্ষা করতে হয়েছে পরিণত বয়সে আসা পর্যন্ত।

প্রাচীন ঘিবতী বা ঘিয়াবতী নদীর বর্তমান অবস্থা।

আজ থেকে ছ’কোটি বছর আগে সুন্দরবন কিন্তু ছুঁয়েছিল হিমালয়ের পাদদেশ। বঙ্গোপসাগর বিস্তৃত ছিল তরাই-ডুয়ার্স পর্যন্ত। লখনউ শহরের কাছে খনন কার্য চালিয়ে সুন্দরী গাছের অবশেষ পাওয়া গিয়েছে। সুতরাং একথা নিশ্চিত করে বলা যায় যে বঙ্গোপসাগর ক্রমে দক্ষিণ দিকে পিছিয়ে গিয়েছে। আর তার সঙ্গে সঙ্গে সুন্দরবনও উত্তর থেকে দক্ষিণে সরে গিয়েছে। অবশ্য তখন সুন্দরবন নাম ছিল না। জোয়ার-ভাটা খেলত বলে বলা হত ‘ভাটিদেশ’। গঙ্গা, ব্রহ্মপুত্র ও মেঘনা নদী বাহিত পলি দ্বারা বঙ্গোপসাগরের উপকূল ভরাট হয়ে ক্রমশ গড়ে উঠেছে ভাটিদেশ বা সুন্দরবনের উচ্চভূমি। ক্রমে সেখানে গড়ে উঠেছে জনপদ আর ক্ষেতখামার। আর নির্মীয়মান নিম্ন স্থলভাগ ভরে গেছে শ্বাপদসঙ্কুল গহন ম্যানগ্রোভ অরণ্যে। সেখানে প্রতিদিন দুবার করে জোয়ারের জলে স্থলভাগ প্লাবিত হয় আর পলি জমে ক্রমশ উঁচু হয়। তখন সুন্দরবন আবার পিছিয়ে যায় আর এগিয়ে আসে জনপদ। এ ভাবে সুন্দরবন যে ক্রমশ দক্ষিণে পিছিয়ে গিয়েছে তার আরও বহু প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। খুলনা শহরের পশ্চিমপার্শ্বে ও শিয়ালদহে মাটি খনন করার সময়ও সুন্দরী গাছের গুঁড়ি পাওয়া যায়। পাওয়া গিয়েছে ম্যানগ্রোভ উদ্ভিদের পরাগরেণু ও সামুদ্রিক প্রাণীর জীবাশ্ম। তাছাড়া ভাগীরথী ও পদ্মার মধ্যবর্তী যে কোনও স্থানে মাটির স্তর পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে সর্বত্র একই প্রকার স্তরবিভাগ।
আরও পড়ুন:

গল্পকথায় ঠাকুরবাড়ি, পর্ব-৫৭: কবির লেখা, লেখার গল্প

পঞ্চতন্ত্র: রাজনীতি-কূটনীতি, পর্ব-১০: রাজার আশপাশে থাকা দুষ্ট লোকেদের অতিক্রম করে তাঁর কাছ পর্যন্ত পৌঁছনোর পথ খুবই দুর্গম

তাহলে কি আজকে যেখানে সুন্দরবনের অবস্থান সেটাই কি সুন্দরবনের ক্রমে পিছিয়ে আসা বর্তমান অবস্থা? তাহলে সুন্দরবন অঞ্চলে আজ যে জনবসতি রয়েছে তারাই কি এই অঞ্চলের প্রথম জনপদ? তা-ই যদি হয় তবে কেন আমাদের পুকুরের গভীরে প্রাচীন গাছের ‘মুড়া’ পাওয়া গেল? কেনই বা মাটির গভীর থেকে প্রচুর ‘নুনের কুড়ি’ ও রুপোর বালা পাওয়া গেল? পরে সুন্দরবনের প্রত্নতত্ত্ব বিষয়ে খোঁজখবর করতে গিয়ে জেনেছি সুন্দরবনের নানা স্থানে মাটির গভীর থেকে বৌদ্ধ স্তূপ ও মন্দিরের ভগ্নাবশেষ, পাথরের বা পোড়ামাটির মূর্তি, ইট নির্মিত বাড়ির ভগ্নাবশেষ, প্রাচীন মুদ্রা, গৃহস্থালীর সরঞ্জাম ইত্যাদি আবিষ্কৃত হয়েছে।

বিদেশি লেখকদের নানা গ্রন্থ থেকে জানা গিয়েছে, দু’হাজার বছরের আগেও নিম্নবঙ্গে গঙ্গা নদীর সঙ্গমস্থলে ছিল এক সমৃদ্ধশালী বন্দরনগরী। আর ছিল এক শক্তিধর রাজ্য যার জনগোষ্ঠীকে গ্রিক লেখকরা ‘গঙ্গারিডি’ নামে অভিহিত করেছেন। কোথাও কোথাও পাওয়া গিয়েছে প্রাগৈতিহাসিক কালের অস্ত্র, পাত্র ও গহনা। সুতরাং সুন্দরবনের বর্তমান জনপদের আগেও এই অঞ্চলে যে সমৃদ্ধ একাধিক জনপদ ছিল সে বিষয়ে নিঃসন্দেহ। তাহলে কীভাবে হারিয়ে গেল সেইসব জনপদ মাটির গভীরে?
আরও পড়ুন:

ক্যাবলাদের ছোটবেলা, পর্ব-৪: এ শুধু অলস মায়া?

রহস্য উপন্যাস: পিশাচ পাহাড়ের আতঙ্ক, পর্ব-১৯: কেস জন্ডিস

এই প্রশ্নের একটাই উত্তর হয় — সুন্দরবনের অবনমন। এক নয়, একাধিকবার সুন্দরবনের অবনমন হয়েছে। নোনা জলে ডুবে গেছে সুন্দরবন ও তার জনপদ। এগিয়ে এসেছে বঙ্গোপসাগর। পিছিয়ে গিয়েছে গঙ্গা, ব্রহ্মপুত্র ও মেঘনার মোহনা। তারপর অবনমিত অংশে আবার পলি জমে ভরাট হয়েছে। আবার গড়ে উঠেছে ম্যানগ্রোভ অরণ্য। আবার তৈরি হয়েছে জনপদ। আর এভাবেই সুন্দরবনে বার বার ধ্বংস ও সৃষ্টির খেলা চলেছে। কিন্তু কী কারণে হয় সুন্দরবনের অবনমন? এ বিষয়ে নানা মত প্রচলিত।

● প্রথমত: প্রবল ঝড় ও জলোচ্ছ্বাস। এই সময় প্রচুর বৃক্ষ যেমন মাটির উপরের অংশ থেকে ভেঙে যায় তেমনই বিপুল জলরাশি এসে পলিগঠিত নবীন স্থলভাগের উপর চাপ সৃষ্টি করে। ফলে ভূমির অবনমন ঘটে। আমার গ্রামের বাড়ির পুকুরে কিংবা খুলনা ও শিয়ালদহে মাটির অনেক নীচে থেকে পাওয়া সুন্দরী গাছের ভাঙা গুঁড়ি এই তত্ত্বকেই সমর্থন করে।

● দ্বিতীয়ত: ‘সোয়াচ অফ নো গ্রাউন্ড’ (Swatch of no Ground) বা ‘অতলস্পর্শী’-র ভূমিকা। সুন্দরবনের দক্ষিণে বাংলাদেশের দুবলার চর দ্বীপ থেকে ৩০ কিমি দক্ষিণে প্রায় ১৪ কিমি গভীরতাযুক্ত এক সুগভীর সামুদ্রিক খাত হল এই অতলস্পর্শী বা ‘সোয়াচ অফ নো গ্রাউন্ড’। অনেক ভূতাত্ত্বিকের মতে বঙ্গোপসাগরের পূর্ব ও পশ্চিম দিক থেকে দুই বিপরীতমুখী স্রোতের প্রবল সংঘাত হয় ওই অতলস্পর্শী অঞ্চলে। তাই ওই স্থানে পলি সঞ্চিত হয় না। ফলে তৈরি হয়েছে সুগভীর খাত।

সুন্দরবনের যে সমস্ত নদী বঙ্গোপসাগরে গিয়ে মিশেছে তাদের অভিমুখ দেখলে বোঝা যায় যে পূর্বদিকের নদীগুলি পশ্চিমে ও পশ্চিম দিকের নদীগুলি পূর্বদিকে বাঁক নিয়ে বঙ্গোপসাগরে মিশেছে। এইসব নদীর মোহনায় সৃষ্ট চরগুলির মুখও অনুরূপ দিকে অর্থাৎ অতলস্পর্শীর দিকে। এদিকে সুন্দরবনের তলদেশে থাকা নরম কাদামাটির স্তর থেকে মাটি ধীরে ধীরে ক্রমাগত ধুয়ে নদীর প্রবাহের সঙ্গে অতলস্পর্শী গহ্বরে সঞ্চিত হয়। এই ভাবে সুন্দরবনের নীচের স্তর আলগা হয়ে যায়। তখন ওই স্থান উপরের ভার আর সইতে না পেরে নীচে বসে যায়। এ ভাবেই সুন্দরবনের অবনমন হয়। ক্যানিংয়ে খনন কার্যের সময় প্রায় ১৮০ ফুট গভীরে ৪০ টি সুন্দরী গাছ খাড়া অবস্থায় পাওয়া যায়। ভূমির অবনমন ছাড়া অক্ষত অবস্থায় এতগুলি গাছ পাওয়া সম্ভব নয়।

পাথরপ্রতিমার গোবর্ধনপুরের মৎসজীবী বিশ্বজিৎ সাহুর সংগৃহীত মৌর্য ও মৌর্যত্তোর যুগের প্রত্নসামগ্রী।

● তৃতীয়ত: ভূমিকম্প। ১৭৩৭ সালে একসাথে প্রবল ভূমিকম্প ও ঝড়ে সুন্দরবনের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছিল। গঙ্গার জল নাকি ৪০ ফুট উঁচু হয়েছিল। সুন্দরবন সম্পূর্ণ মনুষ্যহীন হয়ে গিয়েছিল। ১৭৬২ সালের ২ এপ্রিল আবারও এক ভূমিকম্পে সুন্দরবন জলের নীচে চলে গিয়েছিল। ১৮৪২ সালের ১১ নভেম্বর ও ১৮৯৭ সালের ১২ জুন যে ভূমিকম্প হয় তাতেও সুন্দরবনের অনেক ক্ষতি হয়েছিল।

● চতুর্থত: মগ দস্যু ও ফিরিঙ্গি জলদস্যু বা হার্মাদদের অত্যাচারে সুন্দরবনের অনেক অংশ জনবসতিহীন হয়ে গিয়েছিল। ষোড়শ শতকের মধ্যভাগ থেকে এদের লুঠপাট এত বেড়ে গিয়েছিল যে প্রাণভয়ে মানুষ বসতি ছেড়ে পালিয়ে যায়। আর তারপর পরিত্যক্ত জনবসতিতে গজিয়ে ওঠে জঙ্গল। জনবসতি পর্যবসিত হয় গহন অরণ্যে।

উপকূলীয় সুন্দরবনের অবনমন কিন্তু আবার শুরু হয়ে গিয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রতি বছর ২.৯ মিমি থেকে ৫.৬ মিমি হারে ভূমির অবনমন ঘটছে। আবার উষ্ণায়ণের কারণে সমুদ্রের জলতল বাড়ছে। সুন্দরবন অঞ্চলে এই জলতল বৃদ্ধির হার বছরে ৫.২ মিমি। ফলে ঝড়ে কিংবা ভরা কটালে সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ অঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। ১৯০১ থেকে ২০২৩ সালের মে মাসের মধ্যে ৮৯টি বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড় আঘাত করেছে সুন্দরবনে। ইতোমধ্যে ভারতীয় সুন্দরবনের অন্তর্গত লোহাচড়া, সুপারিভাঙা, বেডফোর্ড প্রভৃতি দ্বীপ সম্পূর্ণ নিমজ্জিত হয়ে গেছে। বিলুপ্তির প্রহর গুণছে ঘোড়ামারা, মৌসুনী, সাগরদ্বীপ। আবার জেগে উঠছে নতুন নতুন চর। সুন্দরবনের এই সৃষ্টি ও লয়ের খেলা চিরন্তন। জন্মলগ্ন থেকেই সুন্দরবন এক চলমান দ্বীপমালা। —চলবে
* সৌম্যকান্তি জানা। সুন্দরবনের ভূমিপুত্র। নিবাস কাকদ্বীপ, দক্ষিণ ২৪ পরগনা। পেশা শিক্ষকতা। নেশা লেখালেখি ও সংস্কৃতি চর্চা। জনবিজ্ঞান আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত। বিজ্ঞান জনপ্রিয়করণের জন্য ‘দ্য সায়েন্স অ্যাসোসিয়েশন অফ বেঙ্গল ২০১৬ সালে ‘আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু মেমোরিয়াল অ্যাওয়ার্ড’ এবং শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞান লেখক হিসেবে বঙ্গীয় বিজ্ঞান পরিষদ ২০১৭ সালে ‘অমলেশচন্দ্র তালুকদার স্মৃতি সম্মান’ প্রদান করে সম্মানিত করেছে।

Skip to content