শনিবার ২৩ নভেম্বর, ২০২৪


রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে অনিল চন্দ ও রানী চন্দের পুত্র।

এক সময় অসমের রাজধানী ছিল শৈল শহর শিলং। এই শহর ও চেরাপুঞ্জী যে কবির রচনায় বিশেষ স্থান করে নিয়েছিল তা আমরা জানি। তাঁর লেখায় বরাক উপত্যকার শিলচর শহরের কথাও তিনি উল্লেখ করেছেন। অসমের সঙ্গে তাঁর এক আত্মিক সম্পর্ক ছিল বটে, তাই তো তিনি তিনবার অসম ভ্রমণে গিয়েছিলেন। প্রথম বার ১৯১৯ সালে, তার পর ১৯২৩ এবং ১৯২৭ সালে। আজ রবিঠাকুরের অসম ভ্রমণের টুকরো টুকরো গল্পই আমরা করব এ পর্বে।

গল্পই বটে। সেই সময়ের যোগাযোগ ব্যবস্থা তো আর আজকের মত এত উন্নত ছিল না। কলকাতা থেকে হাওড়া যেতে হত নৌকা সেতু দিয়ে, যাকে বলা হয় পন্টুন ব্রিজ। বড় বড় জাহাজ চলাচলের সময় মাঝের বেশ কয়েকটি নৌকা সরিয়ে দেওয়া হত। তখন নৌকো করে যেতে হত। কবি গুয়াহাটি এবং শিলং ভ্রমণের জন্য অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে সান্তাহার স্টেশনে থেকে অসম মেলে রওনা হলেন। সেই যাত্রার কথা তিনি রাণু দেবীকে একটি চিঠিতে লিখেছেন, “সান্তাহার স্টেশনে অসম মেলে চড়লুম, এমনি কষে ঝাঁকুনি দিতে লাগল যে, দেহের রস রক্ত যদি হত দই, তাহলে ঘণ্টা খানেকের মধ্যেই প্রাণটা তার থেকে মাখন হয়ে ছেড়ে বেরিয়ে আসত।”
অসমের বিখ্যাত কটন কলেজ, যা বর্তমানে কটন বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত হয়েছে, (১৯১৮ সালের ৪ জুলাই) সেই কলেজের ইতিহাস বিভাগে যোগদান করেন রবীন্দ্র অনুরাগী সূর্যকুমার ভুঁইয়া। তাঁর আমন্ত্রণে ১৯১৯ সালের ১০ অক্টোবর প্রথমবার কবি অসমের গুয়াহাটি এবং শিলং ভ্রমণে গেলেন। সঙ্গে ছিলেন তাঁর পুত্র রথীন্দ্রনাথ, পুত্রবধু প্রতিমা দেবী, দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং তাঁর পত্নী কমলা দেবী। পরিকল্পনা অনুযায়ী ১০ অক্টোবর তাঁদের শিলং পৌঁছনোর কথা ছিল, কিন্তু প্রকৃতি দেবী বিমুখ থাকায় পৌঁছলেন ১১ তারিখ। শিলঙে কেসি দে-এর বাংলোতে তাঁরা উঠলেন। বাড়ির নাম ‘ব্রুক সাইড’। তারপর বেশ কিছু দিন পর সেখান থেকে ফিরে গেলেন গুয়াহাটিতে তাঁর এক নাত জামাই অধ্যক্ষ জ্ঞানদাভীরাম বড়ুয়ার বাড়িতে।

রবীন্দ্রনাথের দাদা দ্বিজেন্দ্রনাথের ছেলে অরুণেন্দ্রনাথের কন্যা লতিকা দেবীর স্বামী ছিলেন আর্ল ল কলেজের অধ্যক্ষ জ্ঞানদাভীরাম বড়ুয়া। সেখানে কবি তিনদিন ছিলেন। গুয়াহাটিতে কবি বেশ কিছু সভায় অংশগ্রহণ করেন। পয়লা নভেম্বর পান বাজারের জুবলি পার্কে আইন কলেজের প্রবীণ অধ্যাপক সত্যনাথ বরার নেতৃত্বে একটি সভার আয়োজন হয়। ২ নভেম্বর কার্জন হলে সভা অনুষ্ঠিত হয়, আবার সেই দিনই দুপুরবেলা আর্ল ল কলেজে মহিলাদের বানানো অ্যান্ডি মুগার কাপড় দিয়ে কবিকে সংবর্ধনা জ্ঞাপন করেন। বিকেলে আবার কটন কলেজের এক সভায় বক্তৃতা করেন।
আরও পড়ুন:

অসমের আলো অন্ধকার পর্ব ৯: খনিজ সম্পদে ভরপুর অসম

এই দেশ এই মাটি, পর্ব-৩৭: সুন্দরবনের নদীবাঁধের ভবিতব্য

ফিরে গিয়ে রাণুকে চিঠির মাধ্যমে কবি তাঁর যাত্রার সমস্ত ঘটনা বর্ণনা করেছেন। সেই চিঠি থেকেই জানা যায়, রবি ঠাকুরের ইচ্ছে ছিল নিজের নতুন গাড়ি নিয়ে শিলং ঘুরবেন, তাই তাঁদের যাত্রা শুরু করার দু’ দিন আগেই দু’ জন সেই গাড়ি নিয়ে গুয়াহাটির উদ্যেশে বেরিয়ে পারেন। গাড়িটি তাঁদের পৌঁছনোর বেশ কিছুক্ষণ পর এসে পৌঁছেছিল। তারপর সেই গাড়ি করে শহরের দিকে রওনা হলেন। কিন্তু কিছু দূর যাওয়ার পর সেই গাড়িটি আর তাঁদের সঙ্গ দিল না। গাড়িটিকে আর চালু করা গেল না। যাই হোক বিকল্প ব্যবস্থা করে কোনও রকমে শহরে গিয়ে পৌঁছলেন।

পরদিন ভাড়া গাড়ি করে শিলঙের দিকে যাত্রা করলেন। রাস্থায় দেখতে পেলেন নিজের খারাপ হয়ে যাওয়া গাড়িটি। সেই গাড়িতেই ছিল গরম কাপড়-সহ দরকারি কিছু জিনিসপত্র। রাণু দেবীকে কবি তাই লিখেছেন, “জিনিস রইল পড়ে। আমরা এগিয়ে চললুম। বিদেশে, বিশেষত শীতের দেশে, জিনিসে মানুষে বিচ্ছেদ সুখকর নয়। যা হোক, শিলঙ পাহাড়ে এসে দেখি পাহাড়টা ঠিক আছে, আমাদের গ্রহ বইগুণ্যে বাঁকেনি চোরেনি, নড়ে যায়নি, দেখে আশ্চর্য হলাম, এখনও পাহাড়টা ঠিক আছে।”
আরও পড়ুন:

উত্তম কথাচিত্র, পর্ব-৫৩: ‘সুরের পরশে’ তুমি-ই যে শুকতারা

এগুলো কিন্তু ঠিক নয়, পর্ব-৪৮: সকালবেলাই হাঁটতে হবে?

রবি ঠাকুর কখনও শিলচর শহরে যাননি। তবে গুয়াহাটি থেকে সিলেট যাওয়ার পথে শিলচর থেকে প্রায় ৩২ কিলোমিটার দূরে বদরপুর রেল স্টেশনে কয়েক ঘণ্টা অতিবাহিত করেন। তাঁর লেখা ‘শেষের কবিতা’তে চেরাপুঞ্জির প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের বিস্তৃত বিবরণ আমরা পাই। উল্লেখ আছে শিলচর শহরের কথাও।

শুধু তাই নয়, এ অঞ্চলের বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরীদের একটি গ্রাম থেকে কবির আগ্রহে মণিপুরী নৃত্যের শিক্ষকদেরকে শান্তিনিকেতনে নিয়ে যাওয়া হয় নাচ শেখবার জন্যে। কুইনীকে একটি চিঠিতে লিখেছেন, “মণিপুরী নাচ শেখবার শিক্ষক সন্ধানে প্রভাতচন্দ্র গুপ্ত শিলচরে চেষ্টা করবেন, শিলেটে যোগ্য লোকের অভাব। শিক্ষক পাওয়া গেলে নিশ্চিন্ত হই, কেন না বিদেশ থেকে অনেক মেয়ে বিশেষ ভাবে নাচ শিখতেই এসেচে।” (২৮ জুলাই, ১৯৩৪)। কবি প্রণাম-এ প্রকাশিত একটি প্রবন্ধে রবীন্দ্র অনুরাগী প্রভাতচন্দ্র গুপ্তের একটি চিঠি উল্লেখ করা হয়েছে।

চিঠিটিতে লেখা হয়েছে, “১২৪১ সালে বাংলাতে গুরুদেব একবার আমাকে সিলেটে পাঠিয়েছিলেন মণিপুরী নাচের শিক্ষক সংগ্রহ করতে। সিলেটে উপযুক্ত লোক না পেয়ে পরে আমি শিলচর থেকে রাজকুমার সেনারিস এবং মহিম সিং নামক দু’জন নাচিয়েকে নিয়ে যাই শান্তিনিকেতনে। রাজকুমার কিছু দিন পরই চলে আসেন। তাঁর জায়গায় ‘নীলেশ্বর ‘নামক সিলেটের আরও একজন মণিপুরী নাচের শিক্ষক শান্তিনিকেতনে যান…” (‘যোগাযোগ’ নলিনীকুমার ভদ্র)। গুরু নীলেশ্বর মুখোপাধ্যায় শান্তিনিকেতনে মণিপুরী নৃত্য শেখাতেন ।
আরও পড়ুন:

দশভুজা, সরস্বতীর লীলাকমল, পর্ব-১৩: ইন্দিরা দেবী—ঠাকুরবাড়ির আলো!

হুঁকোমুখোর চিত্রকলা, পর্ব-৩২: কলি কলিং

ঠাকুরবাড়ির সঙ্গে বরাক উপত্যকার অনেক দিনের সম্পর্ক। শিলচরের বিখ্যাত উকিল কামিনীকুমার চন্দের সঙ্গে ঠাকুর পরিবারের যোগাযোগ ছিল। কামিনী বলাধন চা বাগানের ম্যানেজারের বিরুদ্ধে আইনি লড়াই করছিলেন, সেখানকার তিনজন মণিপুরী বাগানের ম্যানেজারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিলেন বলে অভিযুক্ত ছিলেন। কামিনীকুমার তাঁদের হয়ে কাজ করেছিলেন। দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর তখন সেই মামলার জন্য আর্থিক সাহায্য প্রদান করেছিলেন। ১৮৮১-৮২ সালে দেবেন্দ্রনাথ তাঁর নাতি অরুণেন্দ্রকে শিলচরের কাছে শিলকুড়ি চা বাগানে ম্যানেজারের পদে যোগ দিতে পাঠিয়েছিলেন। তখন সবে শিলচরে চা উৎপাদন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। শিলচরে তখন রেললাইনও হয়নি। তিনি কলকাতা থেকে ঢাকা, ঢাকা থেকে নারায়ণগঞ্জ হয়ে শিলচর এসেছিলেন নদী পথে।

অরুণেন্দ্রকে শিলচর থেকে শিলকুড়ি ঘোড়ার পিঠে চড়ে যেতে হয়েছিল। ব্রিটিশ ম্যানেজার তাঁকে যথেষ্ট সম্মান দিয়ে ছিলেন। তিনি তাঁর খুব ভালো ভাবেই সেখানকার বাবু এবং শ্রমিকদের সঙ্গে মেলামেশা করেছিলেন, যা সাহেবদের পছন্দ ছিল না। আর এ কথাও ঠিক যে বাবু আর শ্রমিকদের প্রতি সাহেবদের ব্যবহারে অরুনেন্দ্রনাথও সন্তুষ্ট ছিলেন না। তাই তিনি কিছুদিন পরই জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতে ফিরে যান। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রধান সচিব ছিলেন কামিনীর পুত্র অনিলকুমার চন্দ। তিনি তাঁর স্ত্রী রানী চন্দ এবং তাঁদের পুত্র অভিজিৎ চন্দ রবি ঠাকুরের খুবই প্রিয় জন ছিলেন। অরুণকুমার চন্দের স্ত্রী জ্যোৎস্না চন্দের সম্পাদিত মাসিক পত্রিকাটির নাম রেখেছিলেন রবি ঠাকুর। পত্রিকাটির নাম ছিল ‘বিজয়িনী’। পত্রিকাটি মূলত মহিলাদের জন্যই ছিল। পত্রিকাটিতে তিনি একটি আশীর্বাণীও লিখে দিয়েছিলেন, যা প্রতি সংখ্যায় ছাপা হত ।
আরও পড়ুন:

আলোকের ঝর্ণাধারায়, পর্ব-৩৫: মা সারদার ভ্রাতৃবিয়োগ

গল্পকথায় ঠাকুরবাড়ি, পর্ব-৮১: কবির ‘গানের ভাণ্ডারী’ দিনেন্দ্রনাথ বৈষয়িক-কারণে শান্তিনিকেতন ত্যাগ করেছিলেন

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, এই নামটিতেই যেন একটা অন্য রকমের অনুভূতি জড়িয়ে আছে আপামর ভারতবাসীর। অসমের মানুষও কবিকে খুব ভালোবেসেছিল। আর হয়তো সেই ভালোবাসা থেকেই শুরু হয়েছিল এই গল্পের। তবে মূল গল্পটি শুরু করার আগে রবি ঠাকুরের একটি চিঠির কিছুটা অংশ উল্লেখ করতে হয়। …“কল্যাণীয়াসু কুইনী। আমার দেহে আসামের রক্ত প্রবাহ সেই খবর ইতিপূর্বেই কর্ণগোচর হয়েছে। অতএব তোমাদের উপর আমার আত্মীয়তার দাবী রইল।”

১৯৩৫ সালে কবিগুরুকে নিয়ে এক বিতর্কের শুরু হল। স্বনামধন্যরা প্রায়ই বিতর্কে জড়িয়ে যান, কিন্তু এই বিতর্কের বিষয় ছিল একেবারেই অন্য রকম। কবিকে ঘিরে প্রশ্ন উঠেছিল, কবি কি অসমিয়া? বিষয়টি প্রথমে তুলে ধরেন, ডিব্রুগড় শহরে উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মচারী বেণুধর রাজখোয়া। উল্লেখ্য, এই বেণুধর অসমিয়া খন্ডবাক্যকোষ-এর রচয়িতা। তবে ইতিহাসবিদ কনকলাল বরুয়া বিপক্ষে মত পোষণ করেন। এ নিয়ে শুরু হয়ে যায় লেখা-লেখি। ঠাকুরবাড়ির অসমীয়া জামাতা লক্ষীনাথ বেজবরুহ নিজেকে এই বিতর্ক থেকে সরিয়ে রাখেননি। অসমীয়া জাতির সঙ্গে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পূর্বপুরুষের কোনও যোগসূত্র আছে বলে তিনি উল্লেখ করেননি।

রবীন্দ্রনাথ।

বিষয়টি কবিকে মর্মাহত করেছিল। তৎকালীন অসমের আইন সচিব রায়বাহাদুর প্রমোদচন্দ্র দত্তর কন্যা বিশ্বভারতীর প্রাক্তন ছাত্রী অমলা দত্তকে (কুইনী) তিনি সে বিষয়ে একাধিক চিঠি লিখেছিলেন। ১৯৩৫ সালে ১৮ মে আনন্দবাজার পত্রিকায় কবির একটি চিঠি পুনঃপ্রকাশিত হয়, তার আগে চিঠিটি শ্রীহট্টের সাপ্তাহিক পত্র ‘স্বাধিকার’ ১৯৩৫ সালের ১৪ মে প্রকাশিত হয়।

কবি তাতে লিখেছেন, “আমার পূর্বপিতামহেরা যদি অসমীয়া হতেন, তবে সেজন্য আমার কোনো ক্ষোভের কারণ ঘটত না। …. আমাকে নিয়ে অসম যদি গর্ব অনুভব করে আমিও অসমকে নিয়ে প্রীতি অনুভব করব। বাংলাদেশের সৃষ্টি কার্যে ব্রহ্মপুত্র তো আবহমান বিস্তর পলিমাটি বহন করেছে সেই মাটিতে আমার জন্ম। পদ্মার যে চরে আমি আমার যৌবন যাপন করেছি তার রচনায় ব্রহ্মপুত্রের সহযোগিতা তো কেউ অস্বীকার করতে পারবে না। বাংলাদেশের ধমনীতে আসামের প্রাণধারা বহমান এটা কি কেবলি ভৌগোলিক … বংশঘটিত বিশেষ তথ্য নিয়ে তর্ক চলতে পারে কিন্তু তাই বলে পরস্পরের সম্বন্ধে মনটাকে বিমুখ রাখা অকল্যাণকর। এখানে বলে রাখা ভালো আমাদের বংশের কন্যা একদা যখন অসমীয়া যুবকের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে যুক্ত হচ্ছিল তখন আমি বিশেষ আনন্দবোধ করেছি। এই রকম বিবাহ সূত্রে মিলন যদি সহজে সম্ভবপর না হয় তাহলে বলতে হবে রাষ্ট্রীয় ঐক্য সম্বন্ধে রাষ্ট্রসভামঞ্চে আমরা যে বাগ্মিতা বিস্তার করে থাকি, সেটা একটা শোকাবহ প্রহসন।”

চিঠিটি কুইনীকে লেখা। উল্লেখ্য তিনি অসমের বঙ্গকন্যা ছিলেন। কবি এই ব্যাপারটিতে যথেষ্ট দুঃখ পেয়েছিলেন। খুবই সুন্দরভাবে মর্মস্পর্শী ভাষায় তিনি নিজের বক্তব্যকে তিনি তুলে ধরেছিলেন। সেই চিঠি পরবর্তী ক্ষেত্রে হয়ে ওঠে একটি দলিল। আর জাতীয়তাবাদের গণ্ডী ছাড়িয়ে আমাদের রবি ঠাকুর হয়ে উঠেন সবার কবি। তাই তো তিনি বিশ্ব কবি। —চলবে।
<>strong>* ড. শ্রাবণী দেবরায় গঙ্গোপাধ্যায় লেখক ও গবেষক, অসম।

Skip to content