শুক্রবার ২২ নভেম্বর, ২০২৪


সহবাস সংক্রান্ত একটি মামলায় কেরালা হাইকোর্টের পর একই রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট। বৃহস্পতিবার শীর্ষ আদালত পরিষ্কার জানিয়েছে, একজন মহিলা যদি স্বেচ্ছায় কোনও পুরুষের সঙ্গে সহবাস করেন, এবং পরবর্তীকালে কোনও কারণে তাঁদের মধ্যে সম্পর্কে ফাটল ধরে তাহলে ওই পুরুষসঙ্গীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করতে পারেন না।
এদিন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হেমন্ত গুপ্ত এবং বিক্রম নাথের বেঞ্চে সহবাস সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানি ছিল। এই মামলায় এক মহিলা রাজস্থানের এক যুবকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও ষড়যন্ত্রের মামলা দায়ের করেন। ওই মহিলার অভিযোগ ছিল, বছর চারেক আগে মহম্মদ নামে এক যুবকের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক তৈরি হয়। তাঁদের একটি কন্যা সন্তানও আছে। পরে সম্পর্কের অবনতি হয়। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিলেও সেই প্রতিশ্রুতি রাখেননি ওই যুবক।
অভিযুক্ত গত ১৯ মে রাজস্থান হাই কোর্টে আগাম জামিন চেয়ে আবেদন করেন। কিন্তু সেই আবেদন খারিজ করে দেয় হাই কোর্ট। হাই কোর্ট জানায়, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাসে লিপ্ত হয়েছেন অভিযুক্ত। বিষয়টির গুরুত্ব মাথায় রেখে তাঁর আগাম জামিন মঞ্জুর করা সম্ভব নয়। এরপরই ওই যুবক সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন।
এদিন, শুনানির পর অভিযুক্তের আগাম জামিন মঞ্জুর করে শীর্ষ আদালত। আদালত তার রায়ে বলেছে, অভিযোগকারী মহিলা স্বেচ্ছায় অভিযুক্তের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কে লিপ্ত হয়েছিলেন। এখন সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ায় ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬(২) (এন) ধারায় এফআইআর দায়ের করার কোনও ভিত্তি নেই। এই মর্মে অভিযুক্ত যুবকের জামিন মঞ্জুর করেছে শীর্ষ আদালত। যদিও, বেঞ্চ জানিয়েছে, তদন্ত যেমন চলছে তেমনই চলবে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এর আগে ২০১৯ সালে সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচার্পতির ডিভিশন বেঞ্চ তাদের রায়ে জানিয়েছিল, লিভ-ইন সম্পর্কের ক্ষেত্রে একজন তরুণ-তরুণী ভালোবাসার খাতিরেই যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হন। পরবর্তীকালে তাঁদের সম্পর্কে ফাটল দেখা দিলে পুরুষসঙ্গীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করা যাবে না। তবে প্রতারণা কিংবা মিথ্যে পরিচয় দিয়ে যৌন সম্পর্ক লিপ্ত হলে সেটা অন্য কথা।

Skip to content