রবিবার ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫


আবেদনকারীকে এত দিন পর্যন্ত বিবাহবিচ্ছেদের জন্য আবেদন করলে ৬ মাস অপেক্ষা করতে হতো। শীর্ষ আদালত এ বার সেই ‘বাধ্যতামূলক’ সময়সীমা কমানোর ইঙ্গিত দিয়েছে। এ প্রসঙ্গে সোমবার সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, বিশেষ পরিস্থিতিতে সংবিধানের ১৪২ নম্বর অনুচ্ছেদ প্রয়োগ করে বিবাহবিচ্ছেদে দ্রুত সায় দেওয়া যেতে পারে।
সোমবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জয় কিসান কউল, সঞ্জীব খন্না, এএস ওকা, বিক্রম নাথ এবং জেকে মাহেশ্বরীর পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ এমটাই জানিয়েছে। বিশেষ পরিস্থিতিটির ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, ভেঙে যাওয়া বৈবাহিক সম্পর্ক যদি কোনও ভাবেই জোড়া লাগানো সম্ভব না হয়, তবেই আদালত ওই বিশেষ অধিকার প্রয়োগ করবে।
আরও পড়ুন:

উত্তম কথাচিত্র, পর্ব-৩৩: হৃদয়পুরের লক্ষ্যপূরণ ‘কঙ্কাবতীর ঘাট’

আপনার জীবনে বাস্তুশাস্ত্রের আটটি দিকের গুরুত্ব ঠিক কতটা? জেনে নিন একঝলকে

এই বিশেষ অবস্থাকে ‘পুনরুদ্ধারের অসাধ্য বৈবাহিক সম্পর্ক’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। বিচ্ছেদের পর ছেলেমেয়ের দায়িত্ব কে নেবেন? সম্পত্তির ভাগই বা কে পাবেন—এই সব বিষয় পর্যালোচনা করার পরে আদালতই ঠিক করবে বিবাহবিচ্ছেদের যে আর্জি জানানো হয়েছিল তা দ্রুত মীমাংসার প্রয়োজন আছে কিনা।
আরও পড়ুন:

বিধানে বেদ-আয়ুর্বেদ, দীর্ঘদিন অম্লপিত্তের সমস্যায় ভুগছেন? আয়ুর্বেদে রয়েছে সহজ প্রতিকার

ডায়েট ফটাফট: ডাবের জলের এই গুণগুলির কথা জানতেন?

এত দিন কোনও ব্যক্তি বিবাহবিচ্ছেদের জন্য আবেদন করলে হিন্দু বিবাহ আইনের ১৩বি ধারা অনুযায়ী তা মঞ্জুর হতে ৬ মাস সময় অপেক্ষা করতে হতো। এই সময়সীমা পারস্পরিক সহমতের ভিত্তিতে বিবাহবিচ্ছেদ হলেও তা মেনে চলা বাধ্যতামূলক ছিল। কোনও বিচারাধীন বিষয়ের ‘সম্পূর্ণ আইনি নিষ্পত্তি’র জন্য সংবিধানের ১৪২ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী শীর্ষ আদালত তার ওই বিশেষ অধিকার প্রয়োগ করে জারি করতে পারে নির্দেশনামা। আবার রায়ও দিতে পারে।

Skip to content