কেন্দ্রীয় সরকারের নোটবন্দির সিদ্ধান্তে ভুল ছিল না, সোমবার রায় ঘোষণা করে এমনটাই জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট। নোটবন্দি নিয়ে শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, এ বিষয়ে কী ভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তা বিবেচনা করে কেন্দ্রের ওই সিদ্ধান্তকে পরিবর্তন করা যায় না।
আদালত এও জানিয়েছে, কেন্দ্রের ক্ষমতা রয়েছে নোট বাতিল করার। সে কারণে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে এই প্রস্তাব এসেছে বলেই নোটবন্দির সিদ্ধান্ত নেওয়ার পদ্ধতিকে ভুল ঘোষণা করা যায় না।
আদালত এও জানিয়েছে, কেন্দ্রের ক্ষমতা রয়েছে নোট বাতিল করার। সে কারণে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে এই প্রস্তাব এসেছে বলেই নোটবন্দির সিদ্ধান্ত নেওয়ার পদ্ধতিকে ভুল ঘোষণা করা যায় না।
শীর্ষ আদালতের বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চে তার রায়ে জানিয়েছে, নোটবন্দির উদ্দেশ্য সফল কি না তা প্রাসঙ্গিক নয়। রায় পড়ে শোনান বিচারপতি বিআর গাভাই। তিনি বলেন, ‘‘অর্থনৈতিক নীতির বিষয়ে ভীষণ সংযমী থাকতে হবে। এ নিয়ে আদালত নিজে থেকে সিদ্ধান্ত নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্তকে বদলে ফেলতে পারে না।’’
আরও পড়ুন:
প্রতি দিন এই ৩ যোগাসনে দূরে থাকবে কোভিডের নতুন উপরূপ
ঠিক কী কী কারণে আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছে কিশোর-কিশোরীরা?
সুপ্রিম কোর্টে ৫৮টি পিটিশন দায়ের হয়েছিল কেন্দ্রের নোটবন্দির সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে। আবেদনে বলা হয়েছিল, কেন্দ্র ঠিক ভাবে পরিকল্পনা করে নোটবন্দির সিদ্ধান্ত নেয়নি। তাই দ্রুত এই সিদ্ধান্ত বাতিল করা দরকার। এমনকি, পুরনো নোট পরিবর্তনের জন্য যে ৫২ দিন সময় দেওয়া হয়েছিল তাও ‘অযৌক্তিক’ বলে আবেদনে বলা হয়।
আরও পড়ুন:
উত্তম কথাচিত্র, পর্ব-১৮: দেখা-অদেখা চেনা-অচেনায় ‘মরণের পরে’
ইংলিশ টিংলিশ: জানো কি ‘বাজি ফাটানো’ কিংবা ‘মোমবাতি জ্বালানো’র ইংরেজি কী?
যদিও শীর্ষ আদালত পরিষ্কার জানিয়ে দিইয়েছে, নোট পরিবর্তনের জন্য যে সময় দেওয়া হয়েছিল তাতে কোনও ভুল নেই। কোনও ভাবে সেই সিদ্ধান্তকে অযৌক্তিকও বলা যায় না। সাংবিধানিক বেঞ্চের এও পর্যবেক্ষণ, এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে আরবিআইয়ের সঙ্গে পরামর্শ করা প্রয়োজন হয়। এক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকার ছ’মাস ধরে আরবিআইয়ের সঙ্গে পরামর্শ করেছিল। ফলে কেন্দ্রীয় সরকারের নোটবন্দির সিদ্ধান্তে কোন রকম ভুল ছিল না।