ছবি প্রতীকী
ধর্ষণ প্রমাণে দু’ আঙুলের পরীক্ষা বা টু ফিঙ্গার টেস্ট আর কোনও ভাবেই করা যাবে না। সোমবার এমনই নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এই নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালতের বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি হিমা কোহলির বেঞ্চ। এ বিষয়ে আদালতের পর্যবেক্ষণ, টু ফিঙ্গার টেস্ট আসলে সমাজের ‘পুরুষতান্ত্রিক মনোভাবের প্রকাশ’।
সোমবার সুপ্রিম কোর্ট পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছে, এই পরীক্ষা একজন ধর্ষিতার উপর কোনও ভাবেই করানো যাবে না। এর পরও কেউ টু ফিঙ্গার টেস্ট করলে তাঁকে অসদাচরণের দায়ে পড়তে হবে। এ নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রককেও নির্দেশ দিয়েছে আদালত। দুই বিচারপতির বেঞ্চ, কেন্দ্রীয় এবং সব রাজ্য সরকারকে এই সংক্রান্ত গাইডলাইন মেনে চলার নির্দেশ দিয়েছে। সেই সঙ্গে সরকারি এবং বেসরকারি হাসপাতালকে এই নির্দেশিকার বিষয়ে অবহিত করার কথা বলেছেন বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি হিমা কোহলি।
আরও পড়ুন:
গুজরাত প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই ঝুলন্ত সেতু খুলে দেওয়া হয়! সেতু বিপর্যয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৪০
জীবনযুদ্ধে হার মেনে চলে গেলেন অভিনেত্রী সোনালি চক্রবর্তী
দু’ আঙুলের পরীক্ষা বা টু ফিঙ্গার টেস্ট নিয়ে আক্ষেপ সুরে ডিভিশন বেঞ্চ বলে, ‘‘টু ফিঙ্গার টেস্ট অবৈজ্ঞানিক। এই পরীক্ষা আসলে আমাদের সমাজের পুরুষতান্ত্রিক মনোভাবের পরিচয় দেয়।’’ উল্লেখ্য, দশ বছর আগেই টু ফিঙ্গার টেস্টকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। নির্ভয়া-কাণ্ডের পরের বছর অর্থাৎ ২০১২ সালে শীর্ষ আদালত এই পরীক্ষাকে মহিলাদের জন্য মর্যাদাহানিকর বলে মন্তব্য করেছিল। এর পরও ধর্ষিতকে এই পরীক্ষার মধ্যে দিয়ে কেন যেতে হয়, এই প্রশ্ন তুলে বেঞ্চ বলে, ‘‘ধর্ষিতকে যখন এই পরীক্ষা করা হয়, তখন তাঁকে আরও একবার একই ধরনেই মানসিক যন্ত্রণার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। ভুল ধারণার বশবর্তী হয়ে একজন ধর্ষিতকে এই যন্ত্রণা দেওয়া অর্থহীন।’’