বিলকিস বানো-কাণ্ডে দোষীদের মুক্তির সিদ্ধান্ত সংক্রান্ত মামলায় গুজরাত সরকারকে নোটিস দিল সুপ্রিম কোর্ট। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, ১১ ধর্ষকের মুক্তি নিয়ে গুজরাত সরকারকে জবাব দিতে হবে। সেই সঙ্গে শীর্ষ আদালত এই মামলায় ১১ দোষীকে যুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছে। মামলার পরবর্তী শুনানি হবে আগামী দু’সপ্তাহ পর।
উল্লেখ্য, ৭৬তম স্বাধীনতা দিবসে সাজাপ্রাপ্ত ১১ জনকে গুজরাত সরকার মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। এর পর গুজরাত সরকার ধর্ষকদের মুক্তির সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে গত ২৩ অগস্ট শীর্ষ আদালতে দ্বারস্থ হন সিপিআইএমের পলিটব্যুরো সদস্য সুভাষিণী আলি, তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্ররা। আইনজীবী অপর্ণা ভট্ট মামলাটি উত্থাপন করেন। সাজাপ্রাপ্ত ১১ জনের মধ্যে একজন মুক্তির জন্য সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানিয়েছিলেন। তখন আদালত সেই সাজাপ্রাপ্তের আবেদনের ভিত্তিতে গুজরাত সরকারকে সিদ্ধান্ত নিতে বলে। তার পরই গুজরাত সরকার গোধরা জেল থেকে ১১ জনকে মুক্তির সিদ্ধান্ত নেয়।
এ প্রসঙ্গে বিলকিস জানান, ‘গত ২০ বছরের আতঙ্ক ১৫ অগস্ট আমাকে আবার গ্রাস করল, আমি যখন শুনলাম আমার জীবন ও পরিবারকে ধ্বংস করে দেওয়া সেই ১১ জনকে মুক্তি দিয়ে দেওয়া হল। ভাষা হারিয়ে ফেলেছিলাম আমি। বোবা হয়ে আছি এখনও।’
উল্লেখ্য, ২০০২ সালে গোধরা-কাণ্ডের পর গুজরাতে সাম্প্রদায়িক হিংসা শুরু হলে দাহোড় জেলার দেবগড় বারিয়া গ্রামে ভয়াবহ হামলা চালানো হয়। ৩ মে ওই গ্রামের বাসিন্দা বিলকিস বানো-সহ তাঁর মা-বোনকে গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। সে সময় বিলকিস পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। বিলকিসের সামনেই হামলাকারীরা তাঁর তিন বছরের মেয়েকে পাথরে আছড়ে মারে বলে জানা যায়। এই ঘটনায় ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এমনকি, পরিবারের আরও কয়েক জনকেও হত্যা করা হয়।
উল্লেখ্য, ২০০২ সালে গোধরা-কাণ্ডের পর গুজরাতে সাম্প্রদায়িক হিংসা শুরু হলে দাহোড় জেলার দেবগড় বারিয়া গ্রামে ভয়াবহ হামলা চালানো হয়। ৩ মে ওই গ্রামের বাসিন্দা বিলকিস বানো-সহ তাঁর মা-বোনকে গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। সে সময় বিলকিস পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। বিলকিসের সামনেই হামলাকারীরা তাঁর তিন বছরের মেয়েকে পাথরে আছড়ে মারে বলে জানা যায়। এই ঘটনায় ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এমনকি, পরিবারের আরও কয়েক জনকেও হত্যা করা হয়।
সে সময় এই ঘটনাকে ‘বিরল থেকে বিরলতম’ বলে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা মুম্বইয়ের সিবিআই আদালতে কড়া সাজার পক্ষে সওয়াল করে। বিশেষ আদালত অভিযুক্ত ১২ জনের বিরুদ্ধে যাবজ্জীবনের রায় ২০০৮ সালের ২১ জানুয়ারি। এর মধ্যে সেই মামলা চলাকালীন এক অভিযুক্তের মৃত্যু হয়েছিল।