পুরীর এক ভক্ত জগন্নাথ মন্দিরে ইঁদুরের দৌরাত্ম্য বন্ধ করতে একটি অত্যাধুনিক যন্ত্র উপহার দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই যন্ত্র নিয়ে যত কাণ্ড। এর ব্যবহার করা নিয়ে তীব্র আপত্তি তুললেন মন্দিরের পাণ্ডা এবং সেবায়েতরা। তাঁরা মনে করছেন, ইঁদুরের তাণ্ডব কমানোর জন্য ওই যন্ত্র ব্যবহার করলে ভগবানের নিদ্রায় বিঘ্ন ঘটতে পারে!
শ্রী জগন্নাথ টেম্পল অ্যাডমিনিষ্ট্রেশেন (এসজিটিএ)-ই এই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেছে। এসজিটিএ জানিয়েছে, ওই যন্ত্রটির নাম আর্থ ইনোভেশন। ইতিমধ্যেই এসজিটিএ-র অফিসে ওই যন্ত্র নিয়মিত ইঁদুর তাড়ানোর কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। তাতে ভালো ফলও পাওয়া গিয়েছে। এর পরেই যন্ত্রটিকে মন্দির চত্বরকে ইঁদুর মুক্ত রাখার কাজেও ব্যবহারের প্রস্তাব আসে। কিন্তু মন্দিরের সেবায়েত এবং বিগ্রহের দেখভালের দায়িত্বে থাকা পাণ্ডারা তা নিয়ে তীব্র আপত্তি তুলেছেন। তাঁদের যুক্তি, ওই যন্ত্রে ইঁদুর তাড়ানোর জন্য একটি অদ্ভুত কম্পন সৃষ্ট হয়। সেই কম্পনের সঙ্গে সঙ্গে আওয়াজও হয়। এতে মন্দিরের শান্তি নষ্ট হতে পারে। এমনকি, শ্রী জগন্নাথ মন্দিরের আরাধ্য ভগবানের বিশ্রামে ব্যাঘাতও ঘটাতে পারে।
আরও পড়ুন:
বাংলায় এখনই থামছে না বৃষ্টি! সোমবারও কলকাতা-সহ জেলায় জেলায় চলবে বর্ষণ, আবহাওয়া বদলাবে কবে?
রহস্য উপন্যাস: পিশাচ পাহাড়ের আতঙ্ক, পর্ব-৬: দুয়ারে অপচ্ছায়া
এসজিটিএ-র নীতি প্রশাসক জীতেন্দ্র সাহু বলেছেন, ‘‘মন্দিরের অনেক নিয়ম আছে। তার মধ্যে একটি, ভগবান যখন ঘুমোন, তখন মন্দিরের জয়বিজয় দ্বার থেকে শুরু করে মন্দিরের গর্ভগৃহ পর্যন্ত বিস্তীর্ণ এলাকায় অন্ধকার এবং নৈশব্দ্য বজায় রাখা বাধ্যতামূলক। কিন্তু ওই যন্ত্রটি থেকে শব্দ তৈরি তৈরি হয়, যা ওই নৈশব্দ্য ভেঙে দেবে। তা নিয়েই সেবায়েতরা আপত্তি তুলেছেন।’’
আরও পড়ুন:
পঞ্চমে মেলোডি, পর্ব-৩: ‘তিসরি মঞ্জিল’ ছিল পঞ্চমের প্রথম অগ্নিপরীক্ষা
গল্পকথায় ঠাকুরবাড়ি, পর্ব-৫৫: নৌকো উল্টে সত্যেন্দ্রনাথের আইসিএস পড়তে যাওয়া বানচাল হতে বসেছিল
সাহু আরও বলেছেন, ‘‘মন্দির চত্বরে ওই যন্ত্রের ব্যবহার নিয়ে সেবায়েতদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলাম আমরা। এক ভক্তের দেওয়া ওই যন্ত্রের উপযোগিতা থাকা সত্ত্বেও, সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে মন্দির চত্বরে সেটি ব্যবহার করা হবে না। এ নিয়ে মন্দির প্রশাসন সংক্রান্ত সব পক্ষই একমত হয়েছে।’’ এখন মন্দির চত্বরে ইঁদুরের দৌরাত্ম্য কমাতে আগের মতো ইঁদুর মারার কলই ব্যবহার করা হবে বলে বলে জানানো হয়েছে।