শুক্রবার ২২ নভেম্বর, ২০২৪


আপাতত বন্ধ উদ্ধারকাজ।

গুজরাতের সেতু বিপর্যয়ে এখনও নিখোঁজ প্রায় ১০০ জন! আপাতত উদ্ধারকার্য বন্ধ রাখা হয়েছে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, দিনের আলো কমে আসার জন্য উদ্ধারকার্য বন্ধ রাখার এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
প্রশাসন আশঙ্কা করছে, এখনও মাচ্ছু নদীর জলের তলায় বহু মানুষের দেহ আটকে রয়েছে। সেই সংখ্যাটা প্রায় ১০০-র কাছাকাছি বলে প্রশাসন মনে করছে। একযোগে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে এনডিআরএফ, এসডিআরএফ এবং স্থানীয় প্রশাসন। যদিও রাতের ঘন অন্ধকারে ঘোলা জলে নিখোঁজ দেহগুলিকে উদ্ধার করা কঠিন বলে উদ্ধারের কাজ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় প্রশাসন।
রবিবার থেকে উদ্ধারকাজে নেমেছে এনডিআরএফ, এসডিআরএফ এবং স্থানীয় প্রশাসন। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এখন পর্যন্ত এই ১৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে। নদী থেকে প্রায় ১৭৭ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে।
এদিকে, প্রশাসন সূত্রে খবর, সেতুর রক্ষণাবেক্ষণের কাজ চলছিল। সেই কাজ শেষ হওয়ার পর পাঁচ দিন হল সেতুটি ফের চালু করা হয়। আর চালু হওয়ার ঠিক ছ’দিনের মাথায় ঘটে গেল এমন দুর্ঘটনা। সেতুটি সংস্কারের দায়িত্বে ছিল ‘ওরেভা’ নামের একটি বেসরকারি সংস্থা। সংস্কারের জন্য দীর্ঘ প্রায় ৭ মাস বন্ধ থাকার পর গত ২৬ অক্টোবর জনসাধারণের জন্য তা খোলা দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন:

খাই খাই: রাতে নিরামিষ পদে স্বাদ বদল চাই? বানিয়ে ফেলুন তেল পটল

বাইরে দূরেঃ প্যারিস, ইউট্রেকট, আমস্টারডাম হয়ে ব্রাসেলস—স্বপ্নের ভ্রমণ ডেসটিনেশন/২

এ নিয়ে মোরবি পুরসভার জনিয়েছে, ‘ওরেভা’ পুরসভার কাছ থেকে শংসাপত্র নেয়নি। এমনকি ঝুলন্ত সেতুটি সম্পর্কে পর্যাপ্ত তথ্যও প্রশাসনকে জানানো হয়নি বলে অভিযোগ। সরকারের কাছে সেতুটি নিয়ে বিস্তারিত তথ্য ছিল না বলে দাবি করেছে মোরবি পুরসভা।
তবে ‘ওরেভা’ দাবি, সেতু সংস্কারের কাজ ঠিকঠাক ভাবে করা হয়েছিল। তারা সব কাজ সম্পূর্ণ করেছে। যদিও কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ এনে ওই সংস্থার ৯ কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

Skip to content